পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৰ্ব্বভাগ। যে দিব বা রাত্রে বারম্বার ত্রস্ত হয় এবং দীপনির্বাণগন্ধের আল্লাপ পায় না, তাহার মৃত্যু উপস্থিত জানিবে। রাত্রিকালে ইশ্রধষ্ণু, দিবসে নক্ষত্রমণ্ডল দর্শন করিলে এবং পরনেত্রে আপনার প্রতিবিম্ব দেখিতে না পাইলে অধিক দিন জীবিত থাকে না । যাহার একনেত্র হইতে জল নির্গত হয়, কর্ণদ্বয় স্বস্থানভ্রষ্ট হয়, নাসিক বক্র হয়, তাহার নিকট মৃত্যু জানিবে। যাহার জিহ্বা প্রখর কৃষ্ণবর্ণ হয়, মুখ পঙ্কতুল্য পাণ্ডুরবর্ণ এবং কপোলৰয় খঞ্জুরফলবৎ রক্তবর্ণ হয়, তাহার মৃত্যু উপস্থিত। যে নর স্বপ্নে মুক্তকেশ হইয়া হাস্য-গান অথবা মৃত্য করিতে করিতে দক্ষিণ দিগভিমুখে গমন করে, তাহার জীবনের সীমা সেই পৰ্য্যস্ত। যাহার মূৰ্ত্তি শ্বেত মেঘের আভা এবং শ্বেত সর্ষপের স্তায় শ্বেতবর্ণ হয়, তাহার মৃত্যু নিকট। যে স্বপ্নে অশুভ উষ্ণু বা গর্দভযুক্ত রথে আরূঢ় হইয়া আপনাকে দক্ষিণদিকে গমন করিতে দেখে, তাহারও নিকটমৃত্যু ৷ ই হার মধ্যে শ্ৰেষ্ঠ দুইটী মৃত্যুচিহ্ন প্রাপ্ত হইলে, অতি শীঘ্র পরলোকে গমন করে । চিহ্ন দুষ্টট এই যে, কর্ণে শব্দ শ্রবণ না করা ও চক্ষুতে জ্যোতিঃ দৰ্শন না করা। যে স্বপ্নে গৰ্ত্তে, পতিত হয় এবং তাহা হইতে নিৰ্গত হইবার দ্বার আচ্ছাদন হয় এবং গৰ্ত্ত হইতে আর উঠিতে পারে না, তাহার জীবন সেই পৰ্য্যস্ত। একত্র অবস্থান উৰ্দ্ধবৃষ্টি এবং চক্ষু রক্তবর্ণ ও ঘূর্ণিত, মুখের শোষ, চ্ছিদ্র-নাভি ও মুত্র অতি উষ্ণ আসন্নমৃত্যু ব্যক্তির এই সকল লক্ষণ হইয় থাকে । দিবা বা রাত্রিতে যাহাকে প্রত্যক্ষ প্রহার করে এবং যে প্রহার করে তাহাকে দেখিতে পায় না সে গতায়ু । যে স্বপ্নে অগ্নিতে প্রবেশ করে এবং তাহার পর কি হইল তাহা স্মরণ করিতে পারে না তাহার জীবনের সীমা সেই পৰ্য্যস্ত। যে স্বপ্নে আপনার প্রাবরণ বস্ত্র শ্বেত কৃষ্ণ বা রক্তবর্ণ দেখে তাহার মৃত্যু উপস্থিত। দেহে অরিষ্ট হুচিত হইলে সেই কাল উপস্থিত হইলে বুদ্ধিমান নর খেদ ও বিষাদ ত্যাগ করিয়া সংসার উপেক্ষা করবে। পুৰ্ব্ব বা উত্তর দিকে নির্গত হইয়া জন্তুবর্জিত সম-নির্জন দেশে উত্তরাস্ত বা পুৰ্ব্বাস্ত হইয়া শুচি ও স্বস্থচিত্তে আচমন ও স্বস্তিকাসনে উপবেশনপুৰ্ব্বন মহেশ্বরকে নমস্কার করিয়া কায় মস্তক ও গ্রীবা সমভাবাপন্ন করিয়া ধারণা করত অন্ত কিছু অবলোকন মা করিয়া নিবাতস্থ দীপের স্তায় অবস্থান ৰুরিবে ২০—৩৮। পণ্ডিত ব্যক্তি পূৰ্ব্ব বা উত্তরদিকে ক্রমনিম্ন স্থানে উপবেশন করিয়৷ সেই প্রকল্পে যোগ করবে। আহাদ্বারা কাম বিতর্ক প্রতি এবং মুখ ও Y4 ሣ দুঃখ এই সকল নিয়তচিত্তে লিগ্রহ করিয়া সাত্ত্বিক ধ্যান অনুসরণ করবে। ভ্রাণ রসন চক্ষু শ্রোত্র মন বুদ্ধি এই কয়ট ধারণা-স্থান । বক্ষঃস্থলে করিবে, যোগ-ধারণ দ্বাদশ অধ্যায়-সংজ্ঞক উক্ত হইয়াছে মস্তকে শত বা অৰ্দশত ধারণা ধারণ করবে। ধারণযোগে খিল্প হইলে বায়ু উদ্ধে প্রবৃত্ত হয়। অনস্তর ওঁকারযুক্ত হইয়৷ উৰ্দ্ধ বায়ুম্বারা দেহ পূর্ণ করিবে। এইরূপ করিলে ওঁকারময় যোগী অক্ষর ব্রহ্মসাযুজ্য প্রাপ্ত হয়। আমি ইহার পর প্রণবপ্রাপ্তির লক্ষণ বলিতেছি। এই প্রণব ত্রিমাত্র। ইহাতে ব্যঞ্জন মকার ঈশ্বর। প্রথম মাত্র বিদ্যুৎবর্ণ রাজসী, দ্বিতীয়া তামসীমাত্রা, অক্ষরগামিনী তৃতীয়মাত্রা নিৰ্গুণ । তৃতীয়মাত্রা গান্ধারস্বরসস্তুবা গান্ধারী। ইহার গতি পিপীলিকার গতির স্তায় মৃক্ষ। তাহ প্রযুক্ত হইয়া মস্তকে লক্ষিত হয়। প্রযুক্ত ওঁকার যেমন মস্তকে গমন করে, সেইরূপ ওঁকারময় অক্ষর যোগী শিবসাযুজ্য প্রাপ্ত হয়। ব্ৰহ্মপ্রাপ্তি-বিষয়ে প্রণব ধনুঃস্বরূপ, আত্মা শর ও লক্ষ্য ব্ৰহ্ম । শরবৎ তন্ময় হইয়া আলস্তম্ভ হইলে বেধ করিতে পারা যায় এই একাক্ষর পদ বুদ্ধিতে নিহিত আছে । ওঁ এই শব্দ তিনলোক তিনবেদ ও তিন অগ্নি, বিষ্ণুর তিন চরণ এবং ঋকু সাম ও যজুৰ্ব্বেদস্বরূপ ইহার মাত্রা সাদ্ধ তিন । প্রণবপ্রেরিত যোগী ব্ৰঞ্জর সালোক্য প্রাপ্ত হয়। অকার অক্ষর, উকারের সন্ধিপ্রাপ্ত, সানুস্বরে মক্কারসহিত ওঁকার ত্রিমাত্র, বলিয়া উক্ত হইয়াছে। অকার এই ভূর্লোক, উকার ভুবর্লোক, মকর সত্য জন ও স্বর্লোক বলিয়া গীত হইয়াছে । ওঁকার ত্রিলোকস্বরূপ, তাহার শির ত্রিপিষ্টপ, সে সমস্তই ভুবনাঙ্গ ও তৎপদ ব্রহ্ম। রুদ্রলোক মাত্রা পাম্বরপ, শিবপদ মাত্রাতীত ; এইপ্রকার বিশিষ্ট জ্ঞান দ্বার তুরীয় পদের উপাসনা করিতে পার! ধায়। অতএব নিত্য ধ্যানরতি হইবে। সুখইচ্ছু মানব প্রযত্নসহকারে মাত্রাতীত অক্ষর শাশ্বত শিবপদের উপাসনা করিষে। ৪৯—৫৭ । প্রথম মাত্রা ক্রুস্ক, দ্বিতীয়া দীর্ঘ, তৃতীয় ` সমুদয় মাত্র জ্ঞাত হইবে। সাধ্যানুসারে ইহাদিগকে ধারণা করিবে। যে আত্মায় মন, বুদ্ধি, অৰ্দ্ধমাত্র মকর ধ্যান করে, সে যে ফল প্রাপ্ত হয় তাহা শ্রবণ কর । শত্তাৰ মাসে মাসে অশ্বমেধ যজ্ঞ করিলে ৰে ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়, মাত্রাধান করিলে সেই পুg