পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বজাগ। কোথায় লতালিঙ্গিত মনোহর বৃক্ষ। কোন স্থানে বিলাসালসগ্রামিনী কি-পুরুষকামিনীসমুহ গমনাগমন করিতেছে। এই উদ্যানে শুভ্ৰ মনোহর চারুরূপ অভ্রঙ্কষ দেবগৃহের শিখরদেশে পারাবভকুল অনবরত কৃজন করিতেছে এবং আকীর্ণ পুপনিষ্করে হংসগণ প্রবিভক্ত-ভাবে ক্রীড়া করিতেছে ও দিব্য ত্ৰিদশকুল বাস করিতেছে। এই স্থানে দেবমাৰ্গসমূহ, প্রফুল্ল উৎপলদ্ধি-বিতানসহস্ৰযুক্ত জলাশয়সমূহে শোভিত এবং মার্গাস্তরের বৃক্ষশাখাসমূহ বিচিত্র উৎফুল্ল কুহুমনিকরে নিচিত। তুঙ্গগ্র উন্নতশাখাযুক্ত নীলপুপ্ত স্তবক-ভর-নত, মনোজ্ঞ অশোকতরুনিকরে উদ্ভাসিত হইতেছে। রাত্রিতে চন্দ্রকিরণের সহিত কুহুমিত তিলকবৃক্ষ একবর্ণ হইতেছে। ছায়ায় সুপ্ত অনন্তর প্রবুদ্ধ হরিণকুল দূৰ্ব্বাঙ্কুরাগ্র ভক্ষণ করিতেছে। পুষ্করিণীর স্বচ্ছ সলিলে হংসগণের পক্ষবায়ুতে কমল বিচলিত হইতেছে । তীরজাত প্রচলিত কদলীতলে ময়ূরগণ অট্রভাবে নৃত্য করিতেছে। ময়ূরের পক্ষচন্দ্র ধরণীতলে নিপতিত হওয়ায় ক্ষিতিদেশ রঞ্জিত হইতেছে। সকল স্থানেই প্রযোদযুক্ত বিলাসপরায়ণ মত্তহারীতবৃন্দ বিলীন রহিয়াছে। কোন স্থান সারঙ্গগণে শোভিত, কোন স্থানে প্রচ্ছন্ন বিচিত্র কুমুমনিকরে শোভা সম্পাদন করিতেছে । কোন স্থানে হৃষ্ট কিন্নরাঙ্গনা বীণা দ্বারা সুমধুর গান করিতেছে। কোন স্থানে পরস্পর সংস্কষ্ট উপলিপ্ত মুনিগণের আবাসে পুষ্প পাতিত হইয়াছে। আমূল পলানচিত উদ্ভুত্ব বিশাল পনসু-বৃক্ষ রহিয়াছে। ১২-২৬ ॥ কোন স্থানে প্রফুটিত অতিমুক্তক (মাধবী ) লতাগৃহে সমাগত সিদ্ধ ও সিদ্ধকামিনীগণের কনকনুপুরধ্বনিতে রমণীয় ; কোন স্থান প্রিয়সুতরুমঞ্জরীতে ভূজনিচয় আসক্ত হইতেছে, কোথায় বা মধুপমালা তাম্রবর্ণ কদম্বপুষ্পের মকরদ আশ্বাদন করিতেছে। পুপসমূহ সম্পৰ্কী বায়ুকর্তৃক সরসীসলিল বিঘূর্ণিত হইতেছে। রমণীয় দ্বিরেফমালা গুল্মসমূহে পতিত হইতেছে। গুল্মমধ্যে অতিভীত মৃগসমূহ বাস করিতেছে এবং অত্রত বায়ুস্পর্শও প্রাণিগুঞ্জের মোক্ষ দান করে। চন্দ্রকিরণস্তুল্য নানাবর্ণ মল্লাহর তিলক, সিন্ধুর কুঙ্কুম ও কুমুত্তসমিভ অশোক এবং স্বর্ণকুক্তিতুল্য কর্ণিকীরবৃক্ষের কুহুমনিকরযুক্ত বিশাল শাখায় কোয় স্থান অতি মনোরম হইয়াছে। কোন স্থানে ভূড়াগ অঞ্জনচুর্ণসদৃশ কুহুমসমূহে, (£సి বৃক্ষে শত শত পক্ষী কৃজন করিতেছে, রক্তশোক স্তবকভরে বিনত হইয়াছে। উদ্যানের স্বযুীয় উপাস্তুদেশে ক্লেশহর ভবন রহিয়াছে এবং প্রফুল্ল পঙ্কজে ভ্রমরগণ বিলাস করিতেছে। সন্ধুর ভুবনের ভর্তা লোকনাথ মহাদেব, হিমালয়ক ভগবতী ও মত্ত হৃষ্টপুষ্ট প্রিয় প্রমথপ্রধান-সমর্ত্যিাহারে বিবিধৰিলাস-তরুপুর্ণ অতি রমণীর উদ্যান দেবীকে দর্শন করাইয়াছিলেন। মহাদেব বনজাত সুন্দর শত শত পূপে দিব্য অস্তিরণ প্রস্তুত করিয়া দেবীকে ভূষিত• করিয়াছিলেন । হিমালয়ুসুত দেবীও শত শত মনোহর কুসুমে ভক্তিপূৰ্ব্বক দেবদেব শঙ্করকে ভূষিত করিয়াছিলেন। ভগবতী দেবপূজ্য মহাদেবকে পূজা এবং অতি রমণীয় উদ্যান দর্শন করিয়া নদী প্রভূতি গণেশ্বরসহ অবস্থিত দেবকে প্রণাম করিয়া কহিলেন । হে দেব ! অসাধারণ ঐসম্পন্ন উদ্যান দর্শন করাইয়াছেন, এখন এই ক্ষেত্রের সকল গুণ অামার নিকট প্রকাশ করুন। হে দেবেশ ! এই অবিমুক্ত ক্ষেত্রের সৰ্ব্বপ্রকার মাহাত্ম্য আপনি বলুন। ২৭—৩৬। স্থত কহিলেন, দেবদেব শঙ্কর দেবীর সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া, তাহার বদনপঙ্কজ চুম্বনপূর্বক হান্ত করিতে করিতে কহিলেন। শ্ৰীভগবান কহিলেন,—এই আমার বারাণসীক্ষেত্র অতি গোপ্য, ইহা সকল জন্তুরই মোক্ষের হেতু। হে দেবি ! এই স্থানে সিদ্ধগণ সৰ্ব্বদা আমন্ত্ৰ ব্ৰতধারণ করত আমার লোকে গমনকামনায় নানাচিজু ধারণপূর্বক যুক্তাত্মা ও জিতেন্দ্রিয় হইয়া পরম যোগ অভ্যাস করিতেছে। নানাবৃক্ষ-পরিব্যাপ্ত নানঃক্ষিশোভিত কমল-উৎপল ও অন্তান্ত পুপযুক্ত সরোবরদ্বারা সমলস্কৃত, সৰ্ব্বদা অপরোগণ ও গন্ধৰ্ব্বসেবিত, এই ক্ষেত্রে যেহেতু সৰ্ব্বদা আমার বাস করিতে ইচ্ছা হয়, তাহা শ্রবণ কর । এই স্থানে আমার ভক্ত আমাতে মন ও ক্রিয় অপর্ণ করিলে যেমন মোক্ষ প্রাপ্ত হয়, অস্ত কুত্ৰাপি সেরূপ হয় না। ’ হে দেবি ! প্রাণিগণ এই স্থানে মৃত হইলে নিশ্চয় মোক্ষলাভ করে। আমার এই দিব্য পুর অতি গোপনীয়, ব্ৰহ্মাদি ও মুমুকু সিদ্ধগণ এই ক্ষেত্র অবগত আছেন। অতএব এই ক্ষেত্র অতি শ্রেষ্ঠ ও আমার প্রধানগতি, যেহেতু আমি এই ক্ষেত্ৰ,আগ করি নাই ও কখন করিব না, সেই নিমিত্ত আমার এই ক্ষেত্র অৰিযুক্ত বলিয়া উক্ত হইয়াছে। নৈমিষারণ কুরুক্ষেত্র, গঙ্গার ও পুরো ও সেবা করিলে মোক্ষ ছয় । ন, কিন্তু এইস্থানেলেই মোক্ষ প্রাপ্ত হওয়া যায়। কণ্ঠ এ পুরাক্ত তীৰ্ণ হইতে এই তীর্ণগঞ্জ গ্রীগ