পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বক্ষণ । স্কৃসিংহরূপ সম্বরণ কর ; নচেৎ এখনই মহাভৈরবরূপী মূৰ্ত্তিমণি ক্ৰোধসদৃশ রুঞ্জের বজ্ৰকল্প : মাক্ষাৎ মৃত্যুস্বরূপ এই শরস্তমূৰ্ত্তি আগমন করিয়া তোমার বিলাশসাধন করবে। স্থত কহিলেন,-বীরুদ্ধের এতাদৃশগৰ্ব্বিতবাক্য-শ্রবণে নৃসিংহ ক্রোধবিহ্বল হইয়া ভীষণ শব্দ করিলেন ও দ্রুতবেগে বীরভূদ্রের আক্রমণে প্রবৃত্ত হইলেন। ঐ সময় শৈবতেজসমুদ্ভুত বিপক্ষের ভয়ঙ্কলক গগন্যাপী, তুৰ্ধৰ মহাঘোর বীরভদ্রের সেই শরক্তক্ষপ আবির্ভূত হইল। সেই মহেশ্বরূপ হিরন্ময় ও নয়, সৌরও নয়, অগ্নিসভূতও নয়, বিদ্যুৎসদৃশও নয়, বা চন্দ্রসদৃশও নয়, অথচ সৌম্যতেজোময় । সে সময় নিখিল তেজ সেই অনুপম মূৰ্ত্তিতে লীন হইল। তাহাতে সেই মহাতেজা অষ্যক্ত হইলেন। অনন্তর সেই শারভ ও নৃসিংহরূপ স্পষ্ট্ররূপে ব্যক্ত হইল। তখন দেই শরত্তমূৰ্ত্তি ভয়ঙ্কর হইয়া প্রকাশ পাইল এবং রুদ্ৰচিহ্নে চিহিত বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। সেই সময় পরমেশ্বর দর্শক দেবতাগণের জয়শবাদি মঙ্গলধ্বনিসমম্বিত হইয়া সংহাররূপে প্রকাশ পাইলেন। সেই শৱভরূপের সহস্র বাহু, মস্তক জটিল ও তাহাতে চন্দ্রকলা শেখররপে বিরাজমান । তাহার অৰ্দ্ধ শরীর মূগরূপ, পক্ষদ্বয় বিশাল :: নখ, কণ্ঠে কালিম, বাহু সকল গলসদৃশ, পাদচতুষ্টয় যেন বহ্নি হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, নয়নত্রয় কোপে রক্তবর্ণ ও কুপিত প্রলয়াগ্নির স্তায় ঘূর্ণায়মান এবং সেই নয়ন হুইড়ে অঙ্কিফুলিঙ্গ নিয়ত বহির্গত হইতেছে। ক্ৰোধে অধরোষ্ঠ হইতে দন্তপংক্তি বহির্গত হইয়াছে, নিয়ত বামমণ্ডল হইতে হুঙ্কার ভীষণাকারে বহির্গত হইতেছে। ৩৬–৬৯। তাহ দেখিয়া হরি বলবিক্রমশূন্ত হইয়া হুর্ঘ্যের অধোভাগে স্থিত খণ্যেতের স্তায় শোভা পাইতে লাগিলেন। অনন্তর সেই শরভরূপী হর নাভি ও পাৰয় বিদীর্ণ করিয়া পক্ষ স্বারা ঘূর্ণন করিতে করিতে পুচ্ছে পাদদ্বয় ও বাহু দ্বার বাহমগুল আবদ্ধ করিয়া হরিকে আক্রমণ করিলেন। গরুড় ৰেমল সপকে হরণ করে, তাহার পর সেইরূপ সেই শরতও হরিকে হরণ করত হঠাৎ উদ্ভট্টীয়মান হইয়া উজ্জ্বদিকে ক্ষেপ করিডে করিতে আবার দিয়ে। निष्कथं कब्रिज कब्रिटष्ठ ऊँदरक उरद्र ७ *टभग्न अकर्षबारा श्रश्न करििजन इन्धिक झुण कम्लि লক্টর বাইজেছন, ইছা মেধি দেবগণ २ं অনুগল্প করিতে লাগিলেম ও মানাবিধ জ্ঞ করিতে Σώ θ লাগিলেন। পরে এইরূপ নীয়মান হইয়। পরবশ হওয়াতে দীনবদন হরি কৃতাঞ্জলিপুটে পূমেরুর রঞ্জকে ললিত অক্ষর-মালায় স্তব করিতে লাগিলেন। নৃসিংহ বলিলেন,-যিনি "রুদ্র, ধিনি শৰ্ব্ব, ন্ত্রি মহাগ্রাম, ( অর্থাৎ, জগৎসংহারক) যিনি বিষ্ণু ; র্তাহাকে নমস্কার। বিনি উগ্র, যিনি ভীম? ধিনি ক্রোধ এবং যিনিই মনু ; তাহাকে সৰ্ব্বদা নমস্কার করি। র্যাহার নাম ভব, ও যিনি শৰ্ব্ব, শঙ্কর, শিৰ, কাল-কাল, মহাকাল, মৃত্যু, বীর, বীরভদ্র, শূলী ও ক্ষয়ীর (অর্থাৎ পাপনাশক), নামে কীৰ্ত্তিত হয়েন, র্তাহাকে অনবরত সমস্কার করি। যিনি মহাদেব ও ধিনি মহানৃ এবং যিনি পশুপতি, এক, নীলকণ্ঠ, ঐকণ্ঠ ও পিনাকী বলিয়া বিদিত, তাহকে নিরত নমস্কার করি । যিনি অনন্তু ও সূক্ষ্ম, র্যাহতে পর, পরমেশ্বর, পরাৎপর, মৃত্যু, মনু, বিশ্ব, প্রভৃতি নাম প্রযুক্ত হয়, সেই বিশ্বমূৰ্ত্তিকে নমস্কার করি। যিনি বিষ্ণুকলত্র, ও র্যাহাকে মুনিগণ বিষ্ণুক্ষেত্র বলিয়া থাকেন, সেই ভালুকে নিয়ত নমস্কার করি । ৭০—৮১। যিনি কৈবৰ্ত্ত, যিনি অর্জুনের পরীক্ষার নিমিত্ত “কিরাত" হইয়াছিলেন, যিনি মূগরূপী ব্ৰহ্মাকে বাণে বিদ্ধ করিয়া মহাবাধ’ নাম ধারণ কহিয়াছেন, যিনি ভৈরব ; যিনি শরণাগতের শরণ্য, যিনি মহাভৈরবরূপী, প্তাহার চরণে আমার কোটি কোটি ধিনি কাম, যম ও ত্রিপুরের জেত৷ বলিয়া, কীম,কাল, পুরারি বলিয়া প্রসিদ্ধ,ঘিনি নৃসিংহসংহৰ্ত্ত, যিনি মহাপাশৌম্ব-সংহৰ্ত্ত ও বিষ্ণুমায়ান্তকারী নামে কীৰ্ত্তিত হন এবং যিনি ত্র্যম্বক, ব্র্যক্ষর, (অর্থাৎ ভূত ভবিষ্যদ্বর্তমান এই ত্রিকালের মধ্যে কখনও র্যাহার নাশ লাই) ও র্যাহার নাম সকল ভূতের অন্তৰ্বামী বলিয়া শিপিবিষ্ট ও ভক্তের কামকল্পতরু বলিয়া মানুষ, এবং ধাহাকে মৃত্যুঞ্জয়, শর্ক, সৰ্ব্বজ্ঞ, মধারি, মধেশ্বর নাম প্রযুক্ত হয়, সেই বছিন্নপী বরেণ্য শস্তুকে নমস্কার করি। ধিনি মহাপ্ৰাণ, মিমি সকলের আস্বাদগ্ৰাহক বলিয়া জিহ্বানামে বিদিত, বিলি প্রাণপানপ্রবর্তী, খিনি ত্রিগুণ, যিনি ত্ৰিশূল (অর্থাৎ সত্ত্বাদিগুণের যোজক) যিনি গুণাতীত ধিনি যোগী, যিনি সংসার,যিনি কৰ্ম্মফলরূপ প্রবাহের উৎপত্তি-স্থিতি-লক্করণে মহাযজ্ঞের গ্রবর্তক, মিলি চক্ৰ অগ্নি ও হুর্খ বলির প্রসিদ্ধ, খিনি মুক্তিবৈচিত্র্যের । নিনি, মিমি বরঞ্চ, খিনি দাক্তিকের অধঃপতন্তু বলিয় অবতার ধারণ করুন; ধিনি গৰ্ব্বঞ্চরণের