পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৯৭

۶8ذ আপনারও গিরিরাঙ্গের সহিত এই সম্বন্ধও শ্রেয়স্কর জানিলে,—পদ্ম-নামক কঙ্গে আপনার নাভিকমল হইতে আমি উৎপন্ন হই, অতএব আমার ও আমার অংখ ঐ শৈলরাজেরও আপনিই গুরু। স্থত বলিলেন পরে জনাৰ্দ্দন ব্রহ্মার বাক্য যথার্থ বলিয়া আমোল করলেন এবং দেব মুণিগণ সকলে আর দেবদের শঙ্করও সেই ব্রহ্মবাক্য অনুমোদন করিলেন। এইরূপে প্রজাপতি পরযোলির বাক্য সৰ্ব্বসম্মত হইলে, পঙ্কজাঙ পাৰ্ব্বতীকে প্রণাম করিয়া হস্ত দ্বারা দেবদেবের পাদ প্রক্ষালন শুরিয়া আপনার, ব্ৰহ্মার ও গিরিরাজের মস্তক অভূক্ষণ করিলেন। পরে ভগবান বিষ্ণু বলিলেন, আপনার অৰ্দ্ধাঙ্গহুর মদীয় ভগিনী দেবী আপনারই সহিত বিবাহের মিমিত্ত যেমাগর্ভে জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন, এই কথা বলিয়া বিষ্ণু উদকদানপূর্বক পাৰ্ব্বতীকে দান করিলেন ও শেষে ঐরপে আত্মসমৰ্পণ করিলেন। অনন্তর নিখিল বেদার্থপরায়ণ মুলিশ্রেষ্ঠগণ আনন্দে রোমাঞ্চিত কলেবর হইয় বলিলেন যে, হে সভ্যগণ বিচার করিয়া দেখিলে এই দেবদেব হরই দাতা ও ইনিই গ্রহীতা, ইনিই ফল, ইনিই দ্রব্যাদি, যেহেতু ইহঁরই মায়ায় এই জগৎ স্বপ্ত হইয়াছে, এই কথা বলিয়া যেন ভক্তিভরে উন্নত হইতে না পারিয়া অবনত মস্তক হইয়া প্রণাম করিলেন। সেই সময় খেচর সিদ্ধচারণগণ পুষ্পবৃষ্টি করিতে লাগিল ; দেব-চুঙ্গুভির গম্ভীরনিদাদে জু পরিপূর্ণ হইল ; অপ্সরীগণ মৃত্য করিতে l আর মূৰ্ত্তিমানূ দেবগণও ব্রহ্মা ও মুনিগণের সহিত দেবদেব মহেশ্বরকে প্রণাম করিলেন। তখন ভগঞ্চ দেবদেব সলজ পাৰ্ব্বতীকে অবলোকন করিয়া তৃপ্তির আশা পরিপূর্ণ করিতে পারলেন না, মনোহরাবয়ব দেবী হৈমবতীও ভগবান বৃষধ্বজকে অবলোকন করিয়া পরিতৃপ্ত হইতে পারলেন না। তাহার পর শঙ্কর হরিকে বঞ্জিলেস, হে পুরুষোত্তম! আমি আপনাকে বর প্রদান করিতেছি, বাহা অভিলষিত হয় বলুন । হরি হ, প্রসন্ন স্থইর এই বর প্রদান করুন। ভগবান্‌ মহাদেৰ বিষ্ণুকে ব্ৰহ্ম নাম প্রদান করিলেন। পরে রন্ধ শঙ্ককে বলিলেন, হে দেব। যদি আপনি অনুমত্তি করেন, আহা হইলে জামি আচার্যপথে ব্রতী হইয়াহোৰ করিতে প্রবৃত্ত হই; কেননা এই কর্তব্যকার্বট এখনও করা হয় নাই। ৩৫-৫৬। দেবদেব শঙ্কর ব্রহ্মাৰ এতাদৃশ প্রার্থণাশ্রণে বলিলেন -ছে শ্ৰেষ্ঠ বাহ বা অভিপতি হয় তাহা অহা अनूब4 করিতে প্রবৃত্ত হুও। পিতামহ ! তোমরা যাগ যাহা করিতে বলিবে আমি অহাই করিব। - ফেবদেবের এতাদৃশ অনুমতি পাইয়া লোক-পিতামহ ব্ৰহ্ম প্রফুল্লাস্তকরণে ভগবানুকে প্রণাম করিয়া দেব-দেবীর পরম্পরের হস্তে হস্তে যোগ করিয়া দিলেন । স্বয়ং অগ্নিও সেই স্থলে কৃতাঞ্জলিপুটে উপস্থিত হইলেন। পরে ব্ৰহ্মা দেবদেবকে স্বয়ং মূৰ্ত্তিমান হইয়া উপস্থিত শ্রেীত বৈবাহিক মন্ত্রের দ্বারা যথাক্রমে যথাবিধি হোম করাইলেন। অনস্তর বিষ্ণুকর্তৃক আনীত বিপ্রগণকে বহুতর গোদানে পূজা করিয়া মহেশ্বরকে তিন বার অগ্নি-প্রদক্ষিণ করাইলেন। তৎপরে উভয়ের হস্তযোগ-মোচন করিয়া প্রফুল্লান্তঃকরণে সকল দেবপতি ও দেবগণ এবং সকল মনুষ্যগণের সহিত সেই দেবদেব উমাপতিকে নমস্কার কন্ধিলেন। পরে সেই প্রজাপতি পদ্মযোনি, ভবভবানীকে পাদ্য দান এবং শিবকে আচমন মধুপর্ক ও গো প্রভৃতি দান করিয়া আবার ইন্দ্রাদি সকল দেবগণের সহিত নমস্কার করিলেন। তাহার পর ভৃগু প্রভৃতি মুনি, ও হুৰ্য্যাদি গ্ৰহগণ সকলে যব, তিল তণ্ডুলাদি দ্বারা বৃষধ্বজকে প্রণাম করিয়া স্তব করিতে লাগিলেন । এই প্রকার উৎসবাদি ও বিবাহ-বিধি অনুষ্ঠানের পর ভগবান চন্দ্রশেখর রুদ্র বেদোক্ত কাৰ্য্য সকল সমাপন করিয়া, অগ্নিকে সংহার করিয়া আত্মাতে আরোপণ করিলেন । পরে সর্ব্বলোকের হিতের নিমিত্ত তিনি শৈলপতিতনয়া উমার সহিত সঙ্গত হইলেন। যে ব্যক্তি এই ভৰপরির্ণয়োপাখ্যান পাঠ করে, শ্রবণ করে, বা বেদবেদাঙ্গপারগ শুদ্ধ দ্বিজগণকে শ্রবণ করায়, সে গাণপত্য লাভ করিয়া, সেই ভবের সহিত মিলিত হইয়া অতুল আনন্দ তোগ করিতে থাকে। অতএব ধখাবিধি পূজাদি করিয়া এই উপাখ্যান কীৰ্ত্তন করবে, অন্যথা নছে। যেখানে বিপ্রগণ কর্তৃক এই ভববিবাহউপাখ্যান কীৰ্ত্তিত হয়, সেখানে দেবদেৰ নিয়ত অবস্থান করেন। আর এই দৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ভবোৰাহ উপাখ্যান ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়গণের বিৰাহুসময় কীৰ্ত্তম করবে। এইরূপে বিবাহকার্ধ্য-সম্পন্ন করিয়া ननौ ७ शैब्रभ१ श्रृंग्नित्वईउ. शहक्क शक्राभंनी পুরতে আগমন করিলেন। কোন সময়ে সেই কাশীক্ষেত্রে মুখোপৰিষ্ট বৃষধ্বজকে সন্থাগুবৰ্ণনা পাৰ্ব্বতী ভগবান জর্জেতিলক শঙ্কর বললেন হে রেশনি।