পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ww. মে সময় বিৰকলিমা নীলকণ্ঠ উৎপন্ন হইলেন, তখন দেবগণের বিজয়লক্ষ্মী ও তাহার সহিত উৎপন্ন হইলেন। আর দেবরিপূখণের অভিলম্বিত অসিদ্ধির হুম্ৰপাত হওয়াতে তাহদের পরাজয়ও অম্বুজ হইয়া আবির্ভূতু হইল। সেকারণ তবভবানীর অসীম আনন্দও লন্ধ-প্রক্ষর হইল। সেই সময় সুরসিদ্ধগণ এবং ব্রহ্মা বিষ্ণু, ইস্ত্র প্রভৃতি সুরপতিগণও শিবনেত্রী হইতে উৎপন্ন অল্পিকল্প কালকন্ঠী কালীকে নিরীক্ষণ করিয়া ভয়ে পলায়ন করিলেন। ঐ দেবীর শিবের স্থায়ই ললাটে নয়ন হইল, নব শশিকলাও মস্তকের শেখর হইল, বিষকালিমায় কণ্ঠ আবৃত হইল এবং তাহার স্তায় হস্তে তীয় ত্রিশূল ও সর্প বলয়াদিও তাহার স্থায় হইল। আর সেই কালীর সহিত সৰ্ব্বাভরণে ভূধিতা দিববসনা দেবী সকল সিন্ধপতি সিদ্ধগণ এবং পিশাচগণও উৎপন্ন হইল। পাৰ্ব্বতীর আজ্ঞায় পরমেশ্বরী কালী, সুরপতিগণকে বিনাশ করিতে উদ্যত সেই দারুককে বিনাশ করিলেন। সেই কালীর বেগের আতিশয্যপ্রযুক্ত ক্রোধাগ্নিতে ত্রিভুবন কাতর হইয়া পড়িল। ভগবান ভূতভাবনও দেবীর ক্রোধাগ্নি পান করিবার মিমিত্ত মায়াবলে বালকরুপ ধারণ করিয়া প্রেতসন্ধুল শ্মশানে (অর্থাং কাশীতে) স্তন্য-পানেচ্ছা ছলে রোদন করিতে লাগিলেন। সেই পরমেশ্বরের মায়ায় মুগ্ধ হইয়া, দেবী কালী সেই বালকরুণী ঈশানকে বক্ষে উত্তোলন করিয়া চুম্বন করত স্তন্ত পান-নিমিত্ত মুখে ন দান করিলেন। সেই সময় দেবও তাহার স্তম্ভমুগ্ধের সহিত কোপাগ্নি পান করিলেন। ঐ কোপু পান করাতে সেই ৰালক ক্ষেত্রপালক হইলেন। " সেই ধীমান ক্ষেত্রপালের আট মুক্তি হয়। এইরূপে সেই বালক কালীর ক্ৰোধ সংহার করিয়া পরে সন্ধা উপস্থিত হইলে, সেই দেবী কালীর প্রসাদের নিমিত্ত সকল ভূতপতি ও প্রেতগণের সহিত মৃত্য করিতে লাগিলেন। পরমেশ্বরীও শস্তুর মৃত্যমৃত আকণ্ঠ পান করিয়া সেই প্রেতস্থানে যোগিনীগণের সহিত যথাঃখে মৃত্য করিতে লাগিলেন। সেইখানে ব্রহ্ম, বি. ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ কালীকে চতুর্দিকে বেষ্টন করিয়া স্তব করিতে লাগিলন । পুনৰ্ব্বার দেবী পাৰ্ব্ব তীকেও স্থৰ করিতে লাগিলেন। প্ৰভু শূীর এই প্রকায়স্কৃতোপাখান সংক্ষেপে কথিত হইল। দেক। দেখযোগজনিত জানল মৃত্য করুন, ইহাও কেহ। কেহ বর্ণনা করিয়া থাকেন। ১৫—২৮। ষণ্ডধিকশতত্ত অধ্যায় সমাপ্ত। লিঙ্গপুরাণ । সপ্তাধিকশততম অধ্যায়। ঋষিরা বললেন -হে স্থত। পূৰ্ব্বে উপমত্যু কিরূপে গাণপত্য ও দুগ্ধসমুদ্র লাভ করেন, সম্প্রতি তাহা বর্ণনা করিয়া আমাদিগের বাসন পূর্ণ করুন। স্থত বলিলেন ;–এইরূপে কালীকে স্বজন করিয়া ভগবান ত্র্যম্বক গমন করিলে পর উপমনু নামে এক মুনি, বাল্যাবস্থাতেই দেবদেবকে অর্জনা করিয়া তপস্তায় স্বীয় অভীষ্ট ফল লাভ করেন। তপস্যার ফল লাভ করিয়া মুনিবালক বাল্যকালেই কুমার কাৰ্ত্তিকেয়ের স্তায় তেজস্বী হইয়া ইচ্ছানুসারে ক্রীড়া করেন। তাহ সংক্ষেপে বলিতেছি। শ্রবণ করুন। কোন সময় সেই উপমন্ত্র্য মাতুলালয়ে অল্প পরিমিত দুগ্ধ পান করেন। তঁহাকে দুগ্ধ পান করিতে দেখিয়া মাতুল-পুত্র ঈর্ষায় তাহা অপেক্ষা উত্তম দুগ্ধ যত ইচ্ছা পান করিলেন। উপমনু্য তাহ দেখিয়৷ মাতার সকাশে যাইয়া বলিলেন, মা ! মা ! তোমাকে নমস্কার করিতেছি আমাকে অতিমুম্বাদু উষ্ণ গবা তুষ্ক অধিক পরিমাণে দাও। পুত্রের এতাদৃশ বিনীতভাবে প্রার্থনা ও নিৰ্ব্বন্ধতিশয় অবলোকনে মাত সাদরে পুত্রকে আলিঙ্গন করিয়া আপনার দারিদ্র্যাবস্থা স্মরণ করিয়া মনোদুঃখে কঁদিতে লাগিলেন পুত্র উপমন্ত্রাও বারম্বার সেই দুগ্ধের কথা মনে হওয়াতে দুগ্ধ জেন মা ! দেন মা ! বলিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। পুত্রের এরূপ আগ্রহাতিশয় লঙ্ঘনে অসমর্থ হওয়াতে মাতা তখন কাদিতে কঁদিতে উন্ন বৃত্তিতে উপার্জিতবীজ পোষণ করিয়৷ পরে তাহাই জলের সহিত বিলোড়িত করিয়া পুত্রকে সাস্তুলাপুৰ্ব্বক বৎস! এস এস এই দুগ্ধ খাও! বলিয়া আলিঙ্গন করত চুম্বন করিয়া সেই কৃত্রিম দুগ্ধ পান করিতে দিলেন। মহাহতি পুত্রও সেই মাতৃদত্ত কৃত্রিম দুগ্ধ পান করিয়া জানিতে পারিলেন যে ইহা দুষ্ক নহে। পরে মাতার সকাশে ধাইয়া আরও অতিশয় কাতর হইয়া মা ! এ-ত দুগ্ধ নয় বলিয়৷ কঁাদিতে লাগিলেন। তখন মাঙ্গ ক্ষতে ক্ষার প্রদানের স্কায় সেই পুত্রবাক্যশ্রবণে আরও অতিশয় দুঃখিত হইয়া অশ্ৰুজল বিসর্জন করিতে করিতে জলয়ের মস্তকে চুম্বন করত করকমলে তাহার উপদেশপরিপূর্ণ অন্তঃসার বাক্য বললেন, বৎস! বাহাজের পঞ্চম দিন শিৰে ভক্তি নাই, তাহার এই স্বৰ্গ মৰ্ত্ত পঞ্চালস্থিত রত্বপূর্ণ নদীও দেখিতে পায় না। ঘাহাদিগের প্রতি শিব প্রসন্ন মহেন তাহার রাজ্য স্বর্গ