পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরভাগ সদা শিবের পূজা করিবে। ভগবান রুদ্র এই কথা বলিয়া সেই স্থানেই অস্তৰ্হিত হইলেন। সেই রুদ্রখ্যান-বিহ্বল মহাত্মা দেব ও মুনিগণ মঙ্গল নিমিত্ত শঙ্করকে প্রণাম করিয়াছিলেন ; অতএব বাক্য, মন ও কৰ্ম্ম আর শিবরূপী আদিত্যের অর্জন করবে। ঋষিগণ কহিলেন, হে সৰ্ব্বশাস্ত্রজ্ঞ ! সৰ্ব্বজ্ঞ ! মহাভাগ! ব্যাসশিষ্য! রোমহর্ষণ! সম্প্রতি ভক্তগণের হিতকামনায় দেবদেব শিব দেব-দানব-দৃশ্চর বিপুল তপস্ত করিয়া বড়ঙ্গযুক্ত বেদ ও সৰ্ব্বপ্রকার.সাংখ্যযোগ হইতে উদ্ধারপূর্বক অর্থ দেশাদিসংযুক্ত, গৃঢ়, অজ্ঞান নামকে, কোথাও বর্ণাশ্রমকৃত ধৰ্ম্মের সহিত বিপরীত কোথাও সম, ধৰ্ম্ম, কাম, অর্থ ও মুক্তির নিমিত্তস্বরূপ শিব-কথিত অগ্নিপুরাণ-প্রোক্তশাস্ত্র আমাদিগকে বলুন। সেই শাস্ত্রে বিভু মহাদেবের শতকোটি প্রমাণ পূজা ও স্নান যোগাদি কি প্রকার, তাহা শ্রবণ করিতে আমাদিগের কৌতুহল হইয়াছে। স্থত কহিলেন, পুৰ্ব্বকালে সুশোভন মেরুপৃষ্ঠে সনৎকুমার শিবপ্রিয় নন্দীশ্বরদেবকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। হে মুনিপুঙ্গবগণ! সেই সনৎকুমারকে কুলনন্দী নদী যে শিবজ্ঞান কহিয়াছেন, সেই শিবকর্তৃক বেদোক্ত সংক্ষেপ করিয়া পরিভাষিত, স্বতিনিদাবিরহিত সদ্যঃপ্রত্যয়-কারক, গুরু-প্রসাদ এবং অনায়াসে মুক্তিপ্রদ শৈব ধৰ্ম্ম শ্রবণ কর। ১—১৬। সনৎকুমার কহিলেন, হে ভগবন্‌! সৰ্ব্বভূতেশ! মহেশ্বর। নদীশ্বর শৈলাদি ! ধৰ্ম্ম, হইতে কাম, অর্থ মুক্তির জন্ত কিরূপে শস্তুর পুজা করিতে হয়, তাহ বিনয়পুৰ্ব্বক আমাকে বলুন। স্থত কহিলেন, বদতাংষর ভগবান নদী মুনিগণকে দর্শন ও র্তাহার বাক্য শ্রবণ করিয়া কালবেলাধিকারাদি বলিতে লাগিলেন। শৈলাদি কহিলেন, আমি গুরূপদেশ ও শাস্ত্রানুসারেই অধিকার বলিতেছি। শিবাচার্যের গৌরবেই এই সংজ্ঞা হইয়াছে, অন্তপুকারে হয় নাই। যিনি স্বয়ং আচার করেন ও আচারে স্থাপন করেন এবং শাস্ত্রার্থের আচয়ন অর্থাৎ নিরূপণ করেন, তিনি আচাৰ্য্য বলিয়া উক্ত হন। অতএব ভক্ত,-বেদার্থ শ্রুতিস্কৃতিপথামৃগ, বিদ্যারা অভয়দাতা লেল্য ও চাপল্যবর্জিত, , আচার-পালক, ধীর, খোসময়ে শিবের স্থায় পূজা করিবে। শিষ্য, শ্রদ্ধ ও বিজের অনুসারে স্বত্বে ও ধ্বস্থার গুরুপ্রসূক্ষ জ্ঞান ২২৩ করবে। মহাভাগ গুরু সুপ্রসন্ন হইলে সদ্যঃ পাপক্ষয় হয়। গুরু মান্ত, গুরু পূজ্য ও গুরুই সদাশিব। ১৭–২৫। গুরু ব্রাহ্মণ শিষ্যকে অতিপ্রিয় বস্তু প্রদান ও ইতস্ততঃ কর্ঘ্যে নিয়োগ করিয়া সংবৎসৱয় পরীক্ষা করবেন। উত্তম ব্যক্তিকে অন্ধু কধ্যে নিযুক্ত ও অধমকে উত্তম কার্ধ্যে নিযুক্ত করবেন। যে শিষ্যগণ আকৃষ্ট বা তাড়িত হইয়াও বিষা প্রাপ্ত হয় না, তাহারা যোগ্য। ধৰ্ম্মিষ্ঠ, শিবধর্মপরায়ণ, সংযত ধৰ্ম্মসম্পন্ন, স্মৃতিপথামুগ, সৰ্ব্বৰম্বসহ, ধীর, নিত্যউদযুক্তচিত্ত, পরোপকারানরত, গুরুশুশ্ৰষণরত, ঋজু, মৃদু, স্বস্থ, অমুকুল, প্রিয়ংবদ, অমানী, বুদ্ধিমান, -শৌচাচার-গুণোপেত, দস্তু , وکsپ ٤٦ মাংসৰ্য্যবর্জিত, শিবভক্তিপরায়ণ, এইরূপ সকল দ্বিজ যোগ্য। এই প্রকার শমলীলযুক্ত শিষ্যগণকে বাক্য, মন, কায় ও কৰ্ম্মম্বারা ইন্দ্রিয়াদি চতুৰ্ব্বিংশতিতত্ত্ব বিশুদ্ধিনিমিত্ত শোধন করিবে । শুদ্ধ, বিনয়সম্পন্ন, মিথ্যা-কটুবাক্যবর্জিত এবং গুর্বজ্ঞাপালক শিষ্য অনুগ্রহযোগ্য । শাস্ত্রজ্ঞ, প্রাজ্ঞ, তপস্বী, জনবংসল, লোকাচাররত, তত্ত্ববিৎ গুরুই মোক্ষদ বলিয়া উক্ত হইয়াছেন । সৰ্ব্বলক্ষণসম্পন্ন, সৰ্ব্বশাস্ত্রবিশারদ, সৰ্ব্বোপায়বিধানঙ্গ হইয়াও তত্ত্বহীন হইলে সকল নিষ্ফল হয়। ২৬—৩৬ স্বসংবেদ্য পরমতত্ত্বস্বরূপ আত্মায় যাহার নিশ্চয়ই নাই, তাহার প্রতি আয়ূরও অনুগ্রহ নাই, পরের অনুগ্রহ কিরূপে ? যে প্রবোধসম্পন্ন শুদ্ধ দ্বিজ কৰ্ম্মকাণ্ড সাধন করেন, তিনি তত্ত্বহীন হইলে বোধ বা আত্ম-পরিগ্রহ প হইবে ? যাহারা আত্মপূরিগ্রহবিনির্মুক্ত তাহারা পশু বলিয়া উক্ত হইয়াছে। যাহারা সেই পশুকর্তৃক প্রেরিত, তাহারাও পশু । অতএব যাহারা অত্বৰিং, তাহারা মুক্ত এবং পরকেও মোচন করিত শক্ত। তত্ত্ব হইতে সম্যক্ জ্ঞান ও পরম আনন্দ উদ্ভূত হয়। যে তত্ত্বজ্ঞান পাইয়াছে, সেই আনন্দ দর্শন করে। যিনি জ্ঞানরহিত নামমাত্র গুরু, তিনি শিষ্য ও আপনাকে তারণ করিতে পারেন না, পাষাণ কি আর একখানি পাষণের তরণ করিত্বে পারে ? যাহার বাস্তব আত্মজ্ঞান লাভ করিতে পারে মাই, কেবল নামমাত্রে আত্মজ্ঞানী, তাহদের নামমাত্রে মুক্তি হয়, বস্তুতঃ মুক্তি হয় না। যোগিগণের দর্শন, স্পর্শ বা সস্তাণে বৃক্কমোচনৰুর অনুগ্রহ অংকাং জন্মে। অথবা গুরু যোগবলে শি দেহে প্রবেশ করিষ্ণু যোগার, শোধনপূর্বক সৰ্ব্ব রেখ করাইনে-যোগিগণ জ্ঞামো" শুদ্ধ