পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ মপ্তক অকুর, ললাট দীর্ঘ অর্থাৎ আকার, দক্ষিণ নেত্ৰ ইকার,*ৰামলোচন ঈকার, তাহার দক্ষিণ কর্ণ উকার, বামকর্ণ উকার ; সেই পরমেষ্ট্রীর দক্ষিণ কপোল ঋকার ; বাম কপোল গ্লুকার ; তাহার উভয় নাসাপুট যথাক্রমে ঋকার ৯কার ; তাহার ওষ্ঠ একার উর্দ্ধ ঐকার ; সেই বিভুর অধর ও কার, দস্তপংক্তি ঔকার ; র্তাহার জামুদ্বয় অনুস্বার ও বিসর্গ। র্তাহার দক্ষিণ দিকৃস্থ পঞ্চ হস্ত কাদি পঞ্চ অক্ষর ; এবং বামভাগস্থ পঞ্চহস্ত চাদি পাঁচটী অক্ষর জানিবে। টাদি পঞ্চাক্ষর র্তাহার দক্ষিণ পাদ ; আদি পঞ্চাক্ষর তাহার বাম পাদ ॥ ৬৩-৭৮ ॥ পকার তাহার উদর, ফকার র্তাহার পার্শ্ব ; বকার বামপার্শ্ব ; ভকার স্কন্ধ। মকার শস্তুর হয়,যকার হইতে সকারাস্ত বর্ণ পরম যোগী মহাদেবের সপ্তধাতু বলিয়া কথিত হইয়াছে। হকার র্তাহার আত্মরূপ ; ক্ষকার ক্রোধ জানিবে। ভগবান্‌ বিষ্ণু, উমার সহিত ভগবান মহেশ্বরকে দর্শন করিয়া প্রণাম করিলেন এবং পুনরায় উৰ্দ্ধ দিকে ওকারপ্রভব কলাপঞ্চকসংযুক্ত মন্ত্রকেও দর্শন করিলেন । পুনরায় তিনি, শুদ্ধস্ফটিকসংকাস, মেধাকর সকল ধৰ্ম্ম ও অর্থসাধক শুভ অষ্টক্রিংশং বর্ণাত্মক সৰ্ব্ব বিদ্যামন্ত্র হইলেন। গায়ত্রীর মধ্যে প্রধান, চতুৰ্ব্বিংশতি অক্ষরযুক্ত চতুষ্ফল অনুত্তম বগুকারক হরিতবর্ণ রুদ্রগায়ত্রী মন্ত্র, অভিচার ক্রিয়ায় অতিশয় প্রয়োজনীয় অষ্টকলাযুক্ত, ত্রয়ন্ত্রিংশদ্বর্ণাঢ্য কৃষ্ণবর্ণ অথৰ্ব্ব বেদোক্ত অঘোর মন্ত্র। যাহাতে পঞ্চত্রিংশং শুভ অক্ষর বিদ্যমান; যেটা অষ্টকলাযুজ্ঞ শাস্তিকর ও উত্তম শ্বেতবর্ণ, সেইট যজুৰ্ব্বেদোক্ত সদ্যোজাত মন্ত্র ॥ ৭৯-৮৬ ॥ যাহার আদিতে জগতীচ্ছন্দে সন্নিবেশিত, যেটী বৃদ্ধি ও সংহারের কারণ ও রক্তবর্ণ যাহতে ত্রয়োদশকলা বৰ্ত্তমান ; সেই মন্ত্রই সামবেদপ্রভব বামদেব মন্ত্র । এই মন্ত্রপ্রবরের ষড়ধিক যষ্টিবর্ণ। ভগবান বিষ্ণু, এই পঞ্চমন্ত্র লাভ করিয়া জপ করিলেন। অনন্তর দিন ঋক্, যজু ও সামবেদ স্বরূপ; যিনি ঈশান ; র্যাহার মুকুট “ঈশান” এই মন্ত্রস্বরূপ; র্যাহার আস্ত তংপুরুষ মন্ত্র, চতুঃষষ্টিকলাই কাস্তি ; যিনি পুরাতন পুরুষ, করুণহৃদয় ও হ্য যাহার গুহুস্থান কুন্দর ; র্যাহার চরণ “সদ্যোজাত” এই মন্ত্র ; যিনি সদাশিব, মহাদেব ও মহাভোগীন্দ্রভূষণ; র্যাহার চরণ ও বদন বিশ্বময় ; ভগবান হরি সেই ব্ৰহ্মার অধিপতি ও স্বষ্টিস্থিতি ও সংহারের কারণ মহাদেৰ, শঙ্করকে দর্শন করিয়া পুনরায় ইষ্টবাক্য দ্বারা বরদ সেই ঈশ্বরকে স্তব করিলেন । ৮৭-৯২ ॥ 、豊 श्रछेशि* अथांश्न । বিষ্ণু কহিলেন, হে রুদ্র ৷ একাক্ষরত্নপী তোমাক্ষে নমস্কার ; হে আত্মরূপিন! আকাররূপী তোমাকৈ নমস্কার; হে আদিদেব! বিদ্যাদেহ । উকাররূপীফ্লোমাকে নমস্কার, হে শিব! তুমি পরমাত্মা ও মক্কার ; তুমি স্বৰ্য্য অগ্নি সোমবর্ণ; তুমি যজমান। হে রুদ্র ! তুমি অগ্নি ও রুদ্রাধিপতি, তোমাকে নমস্কার । তুমি শিব, শিবমন্ত্র, তুমি সদ্যোজাত ও বেধা । হে বামদেব ! তুমি অমৃত, বরদ, তুমি বাম, তোমাকে নমস্কার। হে অতিঘের ! হে সদ্যোজাত ! হে অঘোর। বেগৰূপী তোমাকে নমস্কার । হে ঈশান ! তুমি শ্মশান অর্থাৎ কাণীক্ষেত্র ; হে অতি-বেগ ! তুমি বেগবান। হে উদ্ধৃলিঙ্গ ! তুমি লিঙ্গা ( বিচিত্ররূপী), হে জ্ঞেয় ! দেব তোমাকে নমস্কার । হে হেমলিঙ্গ ! তুমি হেম, তুমি জল, কারণ ও জল, তুমি মঙ্গলময় ; হে শিবলিঙ্গ ! তুমি বোমরূপী বা সৰ্ব্বব্যাপী; তুমি বায়ুও বায়ুবং বেগশালা বায়ুরাপী, তোমাকে নমস্কার। হে তেজোব্যাপিন! তুমি তেজ ও তেজোভৰ্ত্ত, তোমাকে নমস্কার। হে জলভূত ! তুমি জল ও জলব্যাপী, তোমাকে নমস্কার। তুমি অন্তরীক্ষ, পৃথিবী ও পৃথিবীব্যাপী, তোমাকে নমস্কার। ছে গণাধিপতে ! তুমি শব্দ, স্পর্শ, তুমি রস গন্ধ, তুমি গুহ হইতে গুহ্যতম ; অতএব তোমাকে নমস্কার" হে অনন্তপদার্থের আশ্রয় ! তুমি অনন্ত ও বিরূপ অর্থাৎ গরুড়। হে বারিগর্ভ! হে যোগিন ! তুর্মিশাশ্বত ও বরিষ্ঠ। হে জলমুৰ্ত্তে! ব্রহ্মা ও আমি এই উভয়ের মধ্যে তোমাকে প্রকাশমান দেখিতেছি । হে সংহার-মূৰ্ত্তে ! হে ঈশ্বর! তুমি কৰ্ত্ত এবং নিরস্তর সাধুদিগকে রক্ষা করিতেছ ও থাসময়ে আপনাতে র্তাহাদিগকে আবার লীন করিতেছ। হে অচেতন ! লোকে তোমাকেই চিন্তা করিয়া থাকে এবং তুমি জীবগণের জন্ম মরণ ক্লেশ হরণ করিয়া থাকে। তুমি নীরূপ এবং সাধকের জন্ত রূপবন হইয়াছ। হে অনঙ্গ। হে অনঙ্গহারিন । তোমাকে নমস্কার। ভানু, সোম অগ্নি ইহার তোমা হইতে উৎপন্ন ও তোমীর শরীর ভস্মলিপ্ত। হে হিমালয়বিহারিস্ । হে শ্বেত শ্বেতবর্ণ তোমাকে নমস্কার। হে শ্বেতলোহিত ! তুমি মু-শ্বেতবর্ণ,তোমার বদন অতি সুন্দর ; হে শ্বেতবক্র ! হে মহাপ্ত ! হে শ্বেতশিখ। তোমাকে নমস্কার। হে হর। হে শৰ্ম! তুমি বিশিষ্ট, তুমি ভি, হে পি হে