পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

美妙 জগংবিধাতা নারায়ণ পিতামহকে কহিলেন । ৭–২৪ । পিতামহ! আমি ভগবান, আমি আদি অন্ত ও মধ্য ; আমি কাল, দিক্ ও আকাশ। হে অনঘ! তোমার উদরের অন্ত দেখিতে পাইলাম না, এই কথা কহিলে হরি পুনরায় পিতামহকে কহিলেন, আমিই ভগবান আমার শাশ্বত উদরে প্রবেশ করিয়া, হে মুরোত্তম! অনুপম এই সকল দ্বীপাদি তুমি দর্শন কর। অনন্তর আলোদযুক্ত বাণী শুনিয়া তাহার বাক্যে অভিনন্দন প্রকাশ করিয়া পিতামহ ব্ৰহ্মা স্ত্রপতির উদরে প্রবেশ করিলেন এবং স্তাহার গর্ভস্থ সেই সকল লে'ক দৰ্শন করিলেন হরি, উদরে পৰ্য্যটন করিয়াও যাহার অন্ত দেখিতে পাইলেন না। বিষ্ণু পিতামহের গতি জ্ঞাত হুইয়া সকল দ্বার নিরোধপূৰ্ব্বক আমি মুখে প্রসুপ্ত হুইব, এই চিন্ত৷ করিয়া শীঘ্রই এইরূপ করিতে মন করিলেন ২৫—২১। অনন্তর দ্বার সকল আচ্ছাদিত দর্শন করিয়া আত্মরূপ : মৃক্ষ করত নাভিদেশস্থিত দ্বার লাভ করিলেন। । পশ্চাৎ চতুরানন পদ্মস্থত্ৰমুসারে দেখিলেন ও পুস্কর হইতে আত্মরূপ উদ্ধার করিলেন । পদ্ম-গর্ভের ন্তায় কাস্তিমান ব্রহ্ম অরবিন্দ হইয়৷ বিরাজ করিতে লাগিলেন। তিনিই স্বয়ম্ভু ও জগংযোনি। ইতিমধ্যে জলমধ্যে উভয়ের সহিত একে একে সংঘর্ষণ উপস্থিত হইলে অপরিচ্ছিন্ন শরীর, জীব প্রভু উত্তম মুবর্ণময় অম্বরধারী শূলপাণি মহাদেব যেখানে নাগভোগপতি হরি বর্তমান, তথায় গমন করিলেন। বিক্রকারী সেই পুরুষের পদদ্বয়ের আক্রমণে পৃথুল তোয়বিলুরাশি পীড়িত হইয়া সত্বর আকাশে উদ্ভূত হইল এবং সেই সময় অত্যুঞ্চ অতি শীত বায়ুও বহন করিতে লাগিল। সেই আশ্চৰ্য্য ব্যাপার দর্শন করিয়া ব্ৰহ্মা বিষ্ণুকে কহিলেন । ঈষৎ শীত ও ঈষৎ উষ্ণ জলবিদু আজি পদুকে কেন অতিশয় কম্পিত করিতেছে, আমার এই সংশয় উপস্থিত হইয়াছে। কারণ বলিয়া তাহা দূর কর, অন্ত কি করিতে ইচ্ছা করিতেছ ? পিতামহ মুখনিৰ্গত এবংবিধু বাক শুনিয়া অনু সন্ধং ভূগবান লিলেন, হে পিতামহ তুমি আমার নাভিদেশে উৎপন্ন হইয়া কি জন্ত এই স্থানে বাস করিতেছ, এই স্থানেকেই রহিয়াছে ? তুমি অতিশয় প্রতিকর বাক্য কছিয়াছ। আমিই ইহার কোপের প্রতি কারণ, এই মানসমধ্যে ধান করিয়া প্রত্যুত্তর করবেন। অদ্য কি জন্ত ভগবান এই পুরে সন্ত্ৰমযুক্ত হইতেছেন, আমি কি কহিয়াছি। হে দেব! पूनि क् िछछ भब्रिाहक चट्रख्य बिक्रवांकों दगिरजह, লিঙ্গপুরাণ পুরুষশ্রেষ্ঠ ! তাহা সত্য করিয়া বল। বেদনিধি প্ৰভু ব্ৰহ্মা এই প্রকার প্রশ্নকারী ও লোকযাত্রানুগামী দেবেশ অম্বুজ ক্ষকে কহিলেন, যে ব্যক্তি ত্বদীয় ইচ্ছাক্রমে পূৰ্ব্বে তোমার উদরে প্রবিষ্ট হইয়াছিল, আমিই সেই। হে প্রভো! আপনি যেমন আমার উদরে সকল লোক দর্শন করিয়াছিলেন, সেই প্রকার আমিও তোমার উদরে সমস্ত দর্শন করিয়াছি । অনস্তুর মৎসরভাবে আমাকে আপনি বশ করিতে ইচ্ছা করিয়া, সহস্র বৎসরান্তে উৎপন্ন, আমার চতুর্দিকের দ্বার সকল আপনি রুদ্ধ করিলেন। তারপর হে মহাভাগ! চিন্তা করিয়া স্বকীয় তেজে আমি আপনার নাভিপ্রদেশ দ্বারা পদ্মসূত্র হইতে বিনির্গত হইলাম। কোন প্রকারে মনের ব্যাঘাত না হউক, তোমাকে লক্ষ্য করিয়া এই গমন কেবল বিষ্ণু-কাৰ্য্যের অনুকূল জানিবে। অনন্তর আমার কি কৰ্ত্তব্য আছে ; আমিই বা কি করিব, তাহ বল। তৎপরে হিরণ্যকশিপু-স্বাতন সৰ্ব্বব্যাপক হরি, ব্ৰহ্মার এতাদৃশ প্রীতিকর ও মঙ্গলজনক বাক্য শুনিয়া মাৎসৰ্য্যশূন্ত বাক্য র্তাহাকে বলিলেন; ঈদৃশ কাৰ্য্য মং কর্তৃক অধ্যবসিত হয় নাই, কেবল তোমাকে জানাইবার জন্ত ইচ্ছাক্রমে ক্রীড় করণার্থ আমি দ্বার সকল রোধ করিয়াছি, আপনি ইহু অন্ত প্রকার জ্ঞান করিবেন না ; আপনি আমার মান্ত ও পূজ্য। হে কল্যাণময় ! আমি যে অপকার করিয়াছি, তাহা ক্ষমা করুন, আপনাকে আমি ত্যাগ করিলাম, হে প্ৰভো! তুমি পদ্ম হইতে অবতরণ কর। আপনি তেজোময় ও গুরু, অতএব আমি আপনাকে বহন করিতে সমর্থ হইব না। অনন্তর, ব্ৰহ্মা “হে প্রভো! আমাকে পদ্ম হইতে অধঃস্থাপন কর, যাহা অভিলাষ তাহ বল” তাহাকে এইপ্রকার কহিলেন। হে শক্রয়! তুমি আমার পুত্র হও এবং পরম আনন্দলাভ করিবে ॥ ৩০–৪০ ॥, হে ব্ৰহ্মন! তুমি মহাযোগী, পুজনীয় ; হে প্রণবাত্মক এই হেতুক পদ্ম হইতে অবতরণ কর এবং আমাদিগকে সম্ভাববাক্য প্রয়োগ কর, অদ্য প্রভৃতি তুমি সকলের স্বামী ও পদ্মযোনি এই নামে খ্যাত হইবে। হে ব্ৰহ্মন! তুমি আমার পুত্ৰ ; অতএব তুমি সপ্তলোকের অধিপতি ; এইপ্রকার বিষ্ণু প্রার্থনা করিলে পর ভগবান ব্ৰহ্মা ইহাই হউক, এইরূপ বরদান করিয়া প্রীতহদয়ে ও গতমৎসর হওত অতি সমীপবর্তী বালার্কসদৃশ-কান্তিমান, বিস্তৃক্ত বন ভবকে সমাগত দেখিয়া নারায়ণ কছিলেন, अयंत्मघ्न मददगन, मरकैं, लणदारु, झर्कलकों, লোকপ্ৰভু, অতি ভৈরব গর্জনকারী এই পুরুষ কে ?