পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* k. লিঙ্গপুরাণ একবিংশ অধ্যায় । স্থত কহিলেন, গরুড়ধ্বজ সেই মহাপুরুষ বিষ্ণু, ব্ৰহ্মাকে অগ্ৰে করিয়া অতীত, ভবিষ্য ও বর্তমান চ্ছন্দস নম্নদ্বারা এই স্তোত্র উদীরণ করলেন। বিষ্ণু কহিলেন, হে ভগবন! তোমাকে নমস্কার ; হে স্বত্রত। তোমার তেজ অনন্ত, হে ক্ষেত্ৰাধিপতে ! তুমি বীজী ও শূলধারী, অতএব তোমকে নমস্কার ; হে হুক্ষরেতঃ ! তুমি সুরেন্দ্র, অর্চিসজ্ঞ ও দণ্ডী অতএব তোমাকে নমস্কার। তুমি জ্যেষ্ঠ, শ্রেষ্ঠ, তুমি পুৰ্ব্ব ও প্রথম, তোমাকে নমস্কার । হে সদ্যোজাত! তুমি যান্য ও পূজা ; তোমাকে নমস্কার। তুমি গহ্বর ও চেষ্টমান জীবের ঈশ্বর, গগন তোমার চৗরাস্কর, তুমি অম্মদ দি জীবের প্রভু ; তোমাকে নমস্কার। তোমা হইতে বেদ ও স্মৃতি সমুদায়ের উৎপত্তি হইয়াছে, তুমি কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের উৎপত্তিস্থান ; তুমি দ্রব্যের জনক ; অতএব তোমাকে নমস্কার। হে যোগপ্রভো ! তোমাকে নমস্কার, হুে সাংখ্যপ্রভো ! তোমাকে নমস্কার। তুমি ধ্রু নিবদ্ধঋষিগণের অর্থাৎ সপ্তর্ষিগণের প্রভু ; তুমি নক্ষত্র ও স্বৰ্য্যাদি গ্রহেরও স্বামী ; অতএব তোমাকে নমস্কার । তোমা হইতে বৈদ্যুত, অশনি ও মেঘগণের গর্জন হইয়াছে। তুমি মহোদধি ও সপ্তদ্বীপের প্রভু, তুমি অদ্রি ও বর্ষার প্রভু ; তোমাকে নমস্কার । তুমি নদী ও নদেরও প্রভু। তুমি মহৌষধি ও বৃক্ষগণেরও প্রভু তোকে নমস্কার, ভূমি ধৰ্ম্ম-বৃক্ষ ও ধৰ্ম্ম । তুমি পরার্দ ও পরপ্রভু ; তুমি রস ও রন্থের আকর, তুমি ক্ষণ ৪ে লবের জনক ; অতএব তোমাকে নমস্কার। তুমি অহোরাত্র, অৰ্দ্ধমাস, মাস ও ইহুদিগেরও প্রভু; তোম হইতে ঋতুগণ ও সংখ্যার উৎপত্তি হইয়াছে ; তুমি পরার্থ ও অপরাদ্ধেরও প্রভু ; অতএব তোমাকে নমস্কার। তুমি পুরাণ প্ৰভু ও স্বজনের প্রভু। তুমি অর্থাং ধৰ্ম্ম উহাকে ৰাকৃত্বৰ কহে) তুমি পুরাণুের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠ ; অতএব তোমাকে নমস্কার, হে পশুপতে তুমি গোবৃষ, ইত্ৰধ্বজ, তোমাকে নমস্কার, তুমি দৈত্যদানব ও রকেগণের পাত ; তুমি গন্ধৰ্ব্ব যক্ষগণের পতি অতএব তোমাকে সমস্কার। তুমি গরুড়, উরগ, সৰ্পগণ ও পক্ষিগণের পতি ; অতএব তোমাকে নমস্কার; হে গুকাধিপতে! তোমাকে নমস্কার; তুমি গোকৰ্ণ, গোপ্ত। অর্থাং রক্ষক ও শঙ্কুকৰ্ণ তোমাকে নমস্কার। হে অপ্রমেয়! তুমি বরাহ ঋক্ষ ও বিরাজ, তোমাকে নমস্কার। ই গণপতে ! হে মুরপতে ! তোমাকে নমস্কার; তুমি জলপতি ও ওজঃপতি, তুমি লক্ষ্মীপতি, শ্ৰীপতি ও ভূপতি ; তোমাকে নমস্কার ; তুমি বলাবলসমূহ ও অক্ষ্যেভ্য ক্ষোভক ; তোমাকে নমস্কার ; যতগুলি দীপ্তশৃঙ্গ আছে, তাহার মধ্যে তুমি প্রধান শৃঙ্গ। তুমি বৃষভ ও ককুদ্বী ; তেণাকে নমস্কার। তুমি অতীত ভবিষ্য ও বর্তমান ; তুমি উত্তম তেজঃ ও বীর্য, তুমি শুর অজিত, তুমি বরদ বরেণ্য ও মহাত্মা পুরুষ তোমাকে নমস্কার। তুমি ভূত, ভব্য, মহৎ ও প্রভু! তোমাকে নমস্কার । তুমি জন, তপ ও বরদ। তুমি মহৎ অণু ও সৰ্ব্বব্যাপী। তুমি বন্ধ, মোক্ষ ; তুমি স্বর্গ, ও নরক ; তুমি ভব, দেব, ইচ্ছা ও যাজক ; অতএব তোমকে নমস্কার । তুমি প্রত্যুদণ, দাপ্ত তত্ত্ব ও অতিগুণ, তুমি পাশ ও অস্তু; তোমাকে নমস্কার। তুমি আভরণ, ভূত দেবোদেশে পরিত্যক্ত দ্রব্য বিশেষ) তুমি উপকৃত (যজ্ঞের আদিতে যাহা হবনের বিষয় হয়, অহাকে উপস্থত কহে ) প্রভূত (অতিশয় ভক্তিসহকারে যাহা দেবোদশে দান করা হয় তাহাকে প্রভূত কহে ) ও প্রাশিত অতএব তোমাকে নমস্কার। তুমি ইষ্ট, পূৰ্ত্ত ( কুপ তড়াগাদি ) ও অগ্নিষ্ট্রোম্যাগকৃৎ দ্বিজ স্বরূপ। তুমি সদস্য, (বিধিদর্শক ) দক্ষিণাবভূথ ; অতএব তোমাকে নমস্কার। তোমার হিংসা নাই, অতিশয় লোভ নাই; তোমাতে পশুমন্ত্রৌষধ বিদ্য চতুর্দশ মহন্তর ও যোগের প্রভু। তোমা হইতে চতুৰ্ব্বিধ | মান। তুমি সুশীল সৎস্বভাব-সম্পন্ন। ১–৩৩। অর্থাৎ জরায়ুজ, অণ্ডজ, স্বেদজ ও উদ্ভিজ্জ এই চতুৰ্ব্বিধ জীবের স্বজনেরও গুঞ্জ। অনন্ত চক্ষুরূপী তে কেঁ নমস্কার; তুমি কল্প, ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও বার্তা এই সকলেরও প্রভু ; অতএব তোমাকে নমস্কার। তুমি বিশ্বপ্রভু ও ব্ৰক্ষাধিপতি; তোমাকে নমস্কার। তুর্মি বিষ্য-প্ৰভু ও বিদ্যাধিপতি; ভূমি ব্ৰত-প্ৰভু ও ব্রতাধিপতি ; তোমাকে নমস্কার। তুমি মঞ্জধিপতি ও মন্ত্রপ্রভু ; তুমি পিতৃগণের প্রভু ও পশুপতি ; অতএব তোমাকে নমস্কার । হে বাকৃষ্ণুষ ! ( যাহার বাক্যই বৃদ্ধ | তুমি অতীত, ভবিষ্য ও বর্তমান; তুমি মুবর্জ ও বীৰ্য্য,তুমি শুর ও অজিত তুমি বরদ, বরেণ্য ও মহাত্মা অতএব তোমাকে নমস্কার। তুমি ভূত, ভব্য ভবৎ; অতএব তোমাকে নমস্কার ! হে অতি তরুণ ! হে সুবৰ্ণরূপ! হে বরদ! তোমাকে নমস্কার। তুমি মহৎ ও নিদ্রিত ব্যক্তির পতি অতএব তোমাকে নমস্কার। তুমি জীবরূপে ইলিয়রূপ বাহনের আস্থান করিয়া থাক। তুমি বিশ্বরুপ ও বিশ্ব । তুমি বিশ্বশীৰ্ষ (বিশ্বখটক যা কিছু পদাৰ্থ বৃগুমান হয়, তাহারা