পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। চতুবৃহমার্গ দ্বারা বিচারপূর্বক দর্শন করিলে সংসার (জনমমরণীদি ই সংসারহেতু, আর নিবৃত্তি (বিরাগ) মোক্ষের হেতু। চতুর্হিমাৰ্গ দুই প্রকারে জাছে ; তাহার মধ্যে কেহ প্রাণ, মন, বিজ্ঞান ও আন এ চারিটকে চতুবুহুমার্গ বলেন, কেহ বা ধোয়, ধ্যান বজমান ও প্রয়োজন এই চরিটাকেও চতুৰ্বাহমার্গ বর্ণনা করেন। চতুৰ্বাহমায় ব্রহ্মচিন্তক যোগিগণেরই আবঞ্জক। চিন্তা বস্থপ্রকার হইলেও কেবল তাহার বাসস্থান বুদ্ধি। পরশ্নেষ্ঠী ব্ৰহ্মা সেই রুদ্রবিষয়িণী চিস্তাকে মুনিষ্ঠ, এইরূপে নির্দেশ করিয়াছেন। এই জন্ত চিন্তার রৌদ্রী এই সংজ্ঞা হইয়াছে, ইহাতে সংশয় নাই। ইশ্রবিষয়িণী যে চিত্তা, তাহাকে ঐশ্রী চিত্ত কহে ; সোমবিষয়িণী চিস্তকে সৌম্য ; নারায়ণবিষয়িণী চিন্তাকে নারায়ণী চিন্তা কহে। সূৰ্য্য ও বহি বিষয়িণী চিন্তাকে পুৰ্ব্ববং ভগ্নামক চিত্ত কহে। এই সকল চিন্তা কদাচ মুখ্য হইতে পারে না ; কেবল রুদ্রবিষয়িণী চিন্তাই মুখ্য। যে পুরুষ এই প্রকার বিচারপূর্বক “সেই আমি, আমি সেই” এইরূপ দ্বিধাভাবে মনকে সংস্থাপন করে, সেই পুরুষ ভক্ত ও ঈশ্বর হইতে ভিন্ন নহে। এইরূপ চিন্তাই ব্রাহ্মী নামে অভিহিত হয়। হে সনৎকুমার ! ; প্রথম স্বই চরাচর জগৎ ব্রহ্মময় ও শিবের পূৰ্ব্বোক্ত অষ্টমূৰ্ত্তিস্বরূপ, এইরূপ চিন্তা করবে। ২২—২৭। সুস্থ পুরুষ, অভিপ্রেত ( ব্রহ্মা) স্মরণ করত চরাচর বিভাগ ত্যাগ করবে। ত্যাজ্য, গ্রাহ, অলভ্য, কৃত্য ও অকৃত্য এই কয়টা যাহার নাই তিনিই তৃপ্ত ; আঁহারই ব্রান্ধী চিন্ত হইয়া থাকে ; অন্তপ্রকারে হয় না । ক্রমে আভ্যন্তর অভ্যর্চন কথিত হইল। আভ্যন্তরপূজকই পূজ্য। যে ব্ৰহ্মবাদির বিরূপ ও বিকৃত তাহারাও নিন্দনীয় নহে। আভ্যস্তর-অৰ্চকদিগকে পরীক্ষা করিবে না। যদি কেই ৬ বিজ্ঞাত হইয়া পরীক্ষা করে, তাহা হইলে তাহাদিগকে নিশাক, এই শবে ব্যবহার করিব ও তাহারা দুঃখপীড়িত ও অল্পচেতা হইবে; যেমন পূৰ্ব্বকালে দারুবনে মুনিগণ রুদ্রনিদা করিয়া কুখপীড়িত হইয়াছেন অতএব বর্ণাশ্রমশূন্ত ব্ৰহ্মবাদিগণ বর্ণাশ্রমীদিগের সেবা ও নমস্কার্য্য। ২৮-৩৩ । অষ্টবিংশ অধ্যায় সমাপ্ত। | 8S উনত্রিংশ অধ্যায় সনৎকুমার বলিলেন,-হে বিভো! পুৰ্ব্বকালে ই তপশ্চিন্তাত বো-ধ্ববাসী নিদিগের সেই দু কি কি ঘটনা উপস্থিত হইয়াছিল, এক্ষণে আমি তাই শুনিতে ইচ্ছা করি। উৰ্দ্ধরেতা দিগম্বর ভগবান মহাদেবপ্ৰকৃতরূপ ধারণ করিম কিরূপে দেবদারু-বনে প্রবেশ করিয়াছিলেন । সেই বনে পরমাত্মস্বরূপ রুদ্রদেব সম্বন্ধে কি কি ঘটনা উপস্থিত হইয়াছিল, দেবদেবের সেই বনচরিত্র যথার্থক্লপ বর্ণনা করিতে আজ্ঞা হয়। স্থত কহিলেন, শ্রুতিতত্ত্বজ্ঞোত্তম ভগবান শিলাভিনয় তাহার সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া মহাদেধকে স্মরণ করত কিঞ্চিং বলিতে প্রবৃত্ত হইলেন। শৈলাদি বলিলেন, সন্ত্রীক, সপুত্র ও সাল্পিক মুণিগণ মহাদেবের সত্তোষার্থ দেবদারু-বলে শুদারূণ তপস্তা করিয়াছিলেম। মায়াবলে নিতান্ত সংশয়োদ্ভাবক, ধূর্জটি, পরমেশ্বর, নীললোহিত, জগন্নাথ, ভগবান রুদ্রদেব সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন। দারুবনবাসি-মুনিগণ শ্রদ্ধাসহকারে সকাম ধৰ্ম্মআচরণ করিতেছেন কি না, সকৌতুকে তাহ পরীক্ষা করিবার জগু এবং দেবদারু-বনস্থ সকামধৰ্ম্মাচারীদিগের নিষ্কামধৰ্ম্মানুরাগ প্রতিষ্ঠাৰ্থ ভগবান শঙ্কর বিকৃতরূপ ধারণ করিয়ু অর্থাৎ দিগম্বর, বিষমলোচন, মুম্বর, হিন্ত, কৃষ্ণাঙ্গ হইয়া দিব্য দারুবনে প্রবেশ করিলেন। ১-৯। পরম সুন্দরাকৃতি ভগবান মহাদেব সুমন্দহদিতসহকারে রমণীগণের কামোদীপক ভ্ৰবিলাস প্রদর্শ ও সঙ্গীত করিলেন। সুমধুরাকৃতি অনঙ্গশক্ৰ মহাদেব নারীবৃন্দ অবলোকন করিয়া তুহাদিগের যৎপরোনাস্তি কামোদ্দীপন করিলেন। পতিব্ৰতা-কামিনীগণও বনমধ্যে বিকৃতরূপধারী পুরুষরূপী মহাদেৰকে দর্শন করিয়া সমান্বরে তাহারই অনুগমন করিল। বনস্থ পর্ণকুটীর-দ্বারস্থিত এবং বৃক্ষবাটিক বলম্বিনী রমণীগণ র্তাহার মুখারবিদে হাস্ত দর্শন করত গলিতবস্ত্র ও পতিতাভরণা হইয়া চেষ্টান্তর পরিত্যাগপুৰ্ব্বক তাহারই অনুগমন করিল। কেহ কেহ স্বভাৰত বিলাস শুষ্ঠ হইলেও তীহাকে অবলোকন করত কামদে ঘূর্ণিতলেচন হুইয়া ভ্ৰবিলাস প্লুকটিত করিতে লাগিলেন। অনঞ্জর কোন কোন কামিনী উইকে অবলোকন কুরি গতি বনে গন কল্পিত প্ৰদৰ বুলি। তাহাদিগের বসন জঙ্গ অঙ্গ স্থগিত ও কটিভূষণ গলিত হইতে লাগিল। কোন কোন বিপ্লক্সিলা ওখম 章