পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& a স্বত্ব করিব। শৈলাদি বলিলেন, পভৃপতি বিষ্ণুবাক্য শ্রবণ করিয়া নারায়ণকে বলিলেন, আপনার বাহু ইচ্ছা তাহাই করুন। অনস্তুর ভক্তবংসল জগদগুরু ভগবান ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করিয়া মহর্ষি দধাঁচের আশ্রমে মনপূর্বক তাহাকে বলিলেন; শ্ৰীভগবান কহিলেন;–হে দধীচে! হে প্রস্বর্ষে! হে শিলেৰী তৎপর সনাতন! আমি আপনার নিকটে একটি বর প্রার্থনা করি, আপনি আমাকে সেই বর দান করুন। দধীচ মুনি এইরূপে দেবদেব বিষ্ণু কর্তৃক যাচিত হইয়া কহিলেন;–হে জনাৰ্দ্দন ! আমি আপনার সমস্ত অভিপ্রায় জানিতে পারিয়াছি, আপনি ব্রাহ্মণস্বরূপ ধারণ করিয়াছেন। হে জনাৰ্দ্দন ! আমি রুদ্রদেবের অনুগ্রহে ভূত, ভবিষ্যৎ, বৰ্ত্তমান সকলই জানিতে পারিয়াছি, এক্ষণে ব্রাহ্মণরূপ পরিত্যাগ করুন। হে মধুসূদ্বন! কুপর্তুগতি আপনাকে আরাধনা করিয়াছে। হে ভগবন্‌! হে হরে ! তোমার এই ভক্তবৎসলত আমি জানি, আপনার এই ভক্তবৎসলতা সৰ্ব্বতেভাবে উপযুক্ত। হে বরদ! হে পদ্মলোচন! যদি শিবারাধনতৎপর মাদৃশ ব্যক্তির কোন ভীতি থাকে, আপনি তাহা যত্বপূর্বক বলুন। ২১–৩৯। হে জনাৰ্দ্দন! আমি মিথ্যা বলিতেছি না, এই জগতে দেব, দৈত্য, দ্বিজ, কাহারও সমীপে আমি ভয় পাই না। নদী বলিলেন;–জনাৰ্দ্দন দধীচের বাক্য প্রাণ করিয়া ক্ষণমাত্রে দ্বিজৰূপ পরিত্যাগ ও স্বরূপ ধারণপুৰ্ব্বক সহান্তবদনে কহিলেন;–হে সুব্রত ! কোন স্থানে ভয় নাই; তুমি শিবারাধনায় নিযুক্ত ; সুতরাং তোমার কোন বিষয়েই অজ্ঞতা নাই। হে বিপ্রেস্ত্ৰ! আমি জেমায় নমস্কার করি, তুমি আমার লিঙ্গপুরাণ । ব্ৰহ্মাস্ত্র বা অঙ্গ কোন অন্ত্র দ্বারা আমাকে, আখাত করিতে চেষ্ট করুন। শৈলাদি বলিলেন, নারায়ণ তাহার সেই বাক্য শ্রবণ ও আপনার অস্ত্রকে নিবীৰ্য্য দর্শন করিয়া দীচকে আঘাত করিবার জন্ত চতুর্দিক হইতে সৰ্ব্বপ্রকার অস্ত্র নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন ! মহাবল অমরগণ একমাত্র ব্রাহ্মণের সহিত যুদ্ধ করিতে উদ্যত নারায়ণের সাহায্য করিতে লাগিলেন। বঞ্জময়াস্থি, জিতেক্রিয় দধীচ মুনি মহাদেবকে স্মরণ করত কুশমুষ্টি গ্রহণ ও দেবগণকে লক্ষ্য করিয়া পরিত্যাগ করিলেন । দধীচপরিত্যক্ত কুশমুষ্টি প্রলয়াগ্নিসদৃশপ্রভ দিব্য ত্রিশূলৰূপ ধারণ করিল। দধীচ মুনি দ্বিতীয় প্রলয়ারি ন্যায় ত্রিশূল দ্বারা দেবগণকে দহন করিতে উদ্যত হইলেন। হে মুনে! নারায়ণ ও ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ যে সকল অস্ত্র পরিত্যাগ করিলেন, সেই সমস্ত অস্ত্রই ত্রিশূলকে প্রণাম করিতে লাগিল। ৪৮-৫৫। হে দ্বিজোত্তম ! অনন্তর দেবগণ নিবীৰ্য্য হইয়া পলায়ন করিতে লাগিলেন । পুরুষোত্তম বিষ্ণু আত্মসদৃশ লক্ষ লক্ষ দিব্য যোদ্ধগণ আত্মশরীর হইতে স্বজন করিলেন। মুনির সে সমস্তই সহস ভস্মসাং করিলেন। অনন্তর হরি মুনির বিস্ময়সাধনার্থ, বিরাটুমূৰ্ত্তি ধারণ করলেন। মুনিবর ভগবান দধীচ, নারায়ণের শরীরমধ্যে পৃথকৃ পৃথক্ দেবগণ, কোটি কোটি রুদ্র ও প্রমথগণ, এবং কোটি কোটি ব্ৰহ্মাও অবলোকন করিয়া বিশ্বরূপ জগন্নাথ অনাদি, বিভু নারায়কে জলাভিষিক্ত করত সবিস্ময়ে বলিলেন;–হে মহাবাহো! বিচারপূর্বক প্রতিভা দ্বারা মায়া ত্যাগ করুন, হে মাধব ! বিজ্ঞানসহস্ৰ নিতান্ত দুৰ্ব্বিজ্ঞেয়। ৫৬—৬২। হে অনিন্দিত ! দেশানুসারে সভামধ্যে "আমি ভয় পাইতেছি । আমি তোমাকে দিব্য দৃষ্ট দান করিতেছি, তুমি এই কথাটি একবার ফুপতৃপতিকে বল। মহামুনি | আমায় শরীরমধ্যে তোমার সহিত সমস্ত জগৎ, নারায়ণের এই সত্ত্বিন-বাক্য শ্রবণ করিয়াও সাক্ষাং লন্ধ, রুদ্র, এই সমস্তই অবলোকন কর। এই কথা পিণাকী, শঙ্কর শস্তু, দেবদেব মহাদেবের প্রভাবে বলিয়া দধীচমুনি আপনার শরীরমধ্যে সমস্ত জগৎ আমি কাহাকেও ভয় করি না, এই কথা বলিলেন। অনন্তর সাবায়ণ মহামুনির বাক্য শ্রবণে কুপিত হইয়া সত্তম দধীচকে দগ্ধ করিবার ইচ্ছায় চক্র উত্তোলন করিলেন। দধীচপ্রভাবে সুদর্শনান্ত্র ক্ষুপ ভূপতির সমীপেই কুষ্টিও হইল। ৪-৫৭। দধীচমুনি বিষ্ণুচক্রের কুষ্ঠিত ভাব দর্শন করিয়া ঈষৎ হাস্ত করত জগৎকারণ বিষ্ণুকে কহিলেন, হে ভগব ! হে বিঞ্চে । আপনি পূৰ্ব্বকালে অতিযত্নসহকারে মুদৰ্শননামক স্থদারশ চক্র প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, মহাদেশের এই শুভক্ষ আমাকে জাম্বাত্ত করবে না। অতএব দর্শন করাইয়া, সৰ্ব্বদেবজনক হরিকে কহিলেন ;–হে প্ৰভো! হে বিষ্ণে ! ঈদৃশ মায়, মন্ত্রশক্তি, দ্রব্যশক্তি বা ধ্যানশক্তিতে কি হইবে ? অতএব এইরূপ মায়া পরিত্যাগ করিয়া, ষত্বপূর্বক যুদ্ধ করুন। দেবগণ র্তাহার এইরূপ বাক্য শ্রবণ এবং মহাত্ম্য দর্শন করিয়া, পুনরায় পলায়ন করিলেন এবং জগদগুরু ব্ৰহ্মা নিশ্চেষ্ট্র নারায়ণকে যুদ্ধ করিতে নিবারণ করলেন। দধীচপরাজিত ভগবান বিষ্ণু ব্ৰক্ষার স্বাক্য শ্রবণ করিয়া, মুনিকে প্রণাম করত গমন করিলেন। কুপরাজহাখাতুর হইয়া, দধীচ দিকে পূজা ও বদন করত বিহ্বলাঃ