পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । করণে প্রার্থনা করিলেন;–হে দধীচ। হে সখে! আমি জ্ঞানপূর্বক যাহা বলিয়াছি, তাহা ক্ষমা করুন। আপনি শিবভক্ত-বিষ্ণু বা দেবগণ আপনার কি করিতে পারেন ? হে ভক্তশ্রেষ্ঠ ! মঞ্চি ক্ষত্রিয়াথম হর্জনদিগের শৈবভক্তি নিতান্ত দুর্লভ। ৬৩-৭১ । তাপসশ্রেষ্ঠ ব্রহ্মধিসত্তম দধীচ ক্ষুপরাজার বাক্য শুনিয়া, র্তাহাকে অনুগ্রহ করিলেন এবং “মুনীপ্রগণ, ইন্দ্র ও নারায়ণের সহিত দেবগণ প্রজাপতি মহাত্মা দক্ষের পবিত্র যজ্ঞেতে রুদ্রকোপানলে বিনষ্ট হউন" এই বলিয়া অভিসম্পাত প্রদান করিলেন । দ্বিজোত্তম দধীচ মুনি এইরূপ অভিসম্পাত প্রদান করিয়া স্কুপ রাজকে অবলোকন করত বলিলেন ;- হে রাজেন্দ্ৰ ! ব্ৰহ্মণের দেবগণ, নৃপতিগণ ও অন্ত অন্ত সকলেরই পূজনীয়; কারণ, ব্রাহ্মণেরাই প্রকৃত বলবান এবং তাহারাই নিগ্রহাণুগ্রহসমর্থ। মহাস্থতি দধীচ এই কথা বলিয় আপনার পর্ণকুটীরে প্রবেশ করিলেন। ক্ষুপ রাজাও দধীচিকে বন্দনা করিয়া স্বগৃহে গমন করিলেন। সেই স্থান স্থানেশ্বর নামে তীর্থ হইল । স্থানেশ্বরে গমন করিলে শিবসাযুজ্য প্রাপ্তি হয়। ৭২—৭৭ । হে মহামুনে! ক্ষুপ ও দধীচের বিবাদ এবং দধীচি ও মহাদেবের প্রভাব-বৃত্তাস্ত তোমার নিকট সংক্ষেপে বর্ণন করিলাম। যে ব্যক্তি ক্ষপ ও দীচের দিবা বিবাদকৃত্তান্ত বর্ণনা করিবে, সে ব্যক্তি অপমৃত্যু জয় করিয়া দেহান্তে ব্ৰহ্মলোকে গমন করবে। যে ব্যক্তি এই বৃত্তান্ত কীৰ্ত্তন করিযা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করে, তাহার মৃত্যুভয় থাকে না এবং সে ব্যক্তি বিজয় লাভ করে । ৭৮-৮৮ ৷ ষট্রক্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত। সপ্তত্রিংশ অধ্যায় । সনৎকুমার বলিলেন;–আপনি কিরূপে উমাপতি মহাদেবকে প্রাপ্ত হুইয়াছেন, সেই সকল বৃত্তাস্ত শুনিতে ইচ্ছা করি, অনুগ্রহ করিয়া বলুন। শৈলাদি বলিলেন;–হে মহামুনে! আমার অন্ধ পিতা শিলাদ পুত্রার্থী হইয়া বহুকাল মুছুক্ষর তপস্যা করিয়াছিলেন। বঞ্জল্লুকু ইত্ৰ তাহার তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়া শিলাদকে বলিলেন, আমি তোমার তপস্তায় সন্তুষ্ট হইয়াছি, এক্ষণে বর প্রার্থনা কর। হে মুনিসত্তম! তদনম্ভর শিলাঙ্গ কৃতাঞ্জলি হইয়া অমরগণের সহিত দেবরাজ ইন্দ্রকে প্ৰণাম করত কহিলেন, & S. হে ভগবন ! হে বরপ্রস্থ ! হে দেবশত্রু-নাশক ইন্দ্র । আমি অযোনিজ মৃত্যুরহিত একটী পুত্র পাইতে ইচ্ছা করি। ইন্দ্র বললেন, হে বিপ্লর্ষে । আমি তোমাকে ধোনিজ এবং মরণধৰ্ম্মলীল একটী পুত্র দান করিব। অমর এবং অযোনিজ পুত্র দান করিব নু কারণ, মৃত্যুশৃষ্ঠ পুত্র কোন যতে হইতে পারে না ; ভগবান পিতামহও মৃত্যুহীন এবং অথোনিজ পুত্র তোমাকে দান করিবেন না, অন্ত লোকের ত কথাই নাই। সেই পরমেশ্বর ব্রহ্মাও মৃত্যুশুষ্ঠ নয়। তিনিও অগুজ, সুতরাং ধোনিসস্তৃত । মহেশ্বরাঙ্গজ ভবানীতনয়েরও পরাপ্তবয়-পরিমিত আয়ুঃ নির্দিষ্ট হইয়াছে। বহুকল্পের কোটি কোটি সহস্ৰ দিন অতীত হইয়াছে এবং অবশিষ্ট্রাংশ অদ্যপি বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। অতএব হে বিপ্রেন্দ্র । অযোনিসস্তব মৃত্যুহীন পুত্রের আশা পরিত্যাগ করিয়া আত্মসদৃশ পুত্র গ্রহণ কর। ১~১১। শৈলাদি বলিলেন, পুণ্যাক্স লোকবিখ্যাত আমার পিতা শিলাদ এই বাক্য শ্রবণ করিয়া পুনরায় মহেন্দ্রকে বলিলেন, হে ভগবন! ব্রহ্মর অগুযোনিত্ব, পদ্মযোনিত্ব এবং মহেশ্বরাঙ্গযোনিত্ব আমি শুনিয়াছি, হে মহেঙ্গ! হে মহাবাহো! আমি ব্ৰহ্মার জ্যেষ্ঠ পুত্র নারদের কাছে পূৰ্ব্বোক্ত বৃত্তাস্ত শ্ৰৱণ করিয়াছি, এক্ষণে শীঘ্র আমাদিগকে বলুন ; ব্ৰহ্মার পুত্র দক্ষ এবং দক্ষের পুত্ৰী দাক্ষায়ণী ; সুতরাং দীক্ষাষ্ট্ৰণী ব্ৰহ্মার পৌত্রী ; তবে ব্রহ্মা আবার ভবানীতনয় কিরূপে হইতে পারেন ? ইন্দ্র বলিলেন, হে বিগ্ৰ ! তোমার এই সংশয় স্তায্য ও প্রকত, এক্ষণে ইহার কারণ এবং তংপুরুষকল্পে •মহাদেবের বৃত্তাত্ত বর্ণন করিতেছি, শ্রবণ কর । মহাদেব সমস্ত উৎপাদ দ্রব্য চিত্তা করিয়া ব্ৰহ্মাকে স্বজন করেন । মেঘবাহন কল্পে জগন্নাথ জনাৰ্দ্দন নারায়ণ মেস্বরূপ ধারণ করিয় বহুমান ও সমাদরপূর্বক দিব্য সহস্রবর্ষ দেবদেব মহাদেবকে বহন করেন। মহাদেব শঙ্কর হরির ভক্তিভাব দর্শন করিয়া ব্ৰহ্মার সহিত সমস্ত জগৎ স্বাক্ট করিবার জন্ত তাহার উপর ভার অর্পণ করিলেন। ১২-১৯। এইজন্তই উক্ত কল্প মেঘবাহনকল্প নামে অভিহিত হইয়াছে। শুষ্করদেহোস্তব, অধুনা জনাৰ্দ্দনস্বত ব্ৰহ্মা তংকালে মহাদেবকে অবলোকন ঔ প্রাপ্ত হইয়া বলিলেন, বিষ্ণু আপনার বামাঙ্গসস্তব এবং আমি দক্ষিণাঙ্গ হইতে উৎপন্ন, তথাপি অচ্যুত আমার अश्ठि नमक छगर् ऋछन कब्रिटणन । दक्8ि प्रभंत्रद्र বিষ্ণু মেম্বরূপ ধারণ করিয়া জগদগুরু দেবদেব জাপ