পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q姆 হইবে এবং আশ্চৰ্য্য বৃষ্টি হইবে অর্থাৎ কখন কখন উত্তমরূপ বৃষ্টি হইবে। ঐ কলিকালে সকলেই বাপ্পুকি (অর্থাং হুদখোর) হইবে; কুৎসিত স্বভাবে ও আচরণে নিয়ত আসক্ত থাকিরে এবং বৈদিক মার্গপরিত্যা করিয়া কেবল আছিকগণের সহিত পরিবৃত থাকিবে, পরস্পরে বজ্রযাজন হইবে, সদাসৰ্ব্বৰ কুরবাক্য প্রয়োগ করবে, ঋজুতা পরিত্যাগ করিয়া কেবল অহুয়াতে অভিভূত হইবে এবং ঐ যুগে কেহ প্রত্যুপকৰ্ত্ত থাকিবে না। কেবল সকলে নিলুক ও পত্তিত হইবে। বসুমতী আর ধনধান্তপরিপূর্ণ না হইয়া স্বীয় অর্থনাম পরিত্যাগ করবেন ও পতিবিহীন হইবেন। দেশে দেশে নগরে নগরে কেবল জনশূন্ত স্থান হইবে। পৃথিবী অল্পজলা ও অন্সফল হইবেন। যাহার রক্ষক, তাহার রক্ষণাবেক্ষণ করিবে না। ঐ যুগের শেষে পৃথিবীতে পুরুষগণ অশাসন হইয়া পড়িবে, কেবল পরবিত্ত-হরণ, পরস্ত্রী-ধর্ষণ, সাহসপ্রিয়তা প্রভৃতি অবলম্বন করবে। সকলেই কামাভিভূতচেতা, অধম ও তুরাত্মা হইবে। কাহারও আর উদ্যোগ থাকিবে না, সদলেই রোগী, বেগুসমন্বিত ও নির্লজ্জ হইবে এবং তাহদের আয়ুর পরিমাণ ষোড়শ বংসর হইবে। শুদ্ৰগণ মুণ্ডিত-মস্তক ও শুভ্রদন্ত হইয়া রুদ্রাক্ষ কৃষ্ণসারচর্ম ও কাষায় বসন ধারণে যতিবেশ অবলম্বন করত ধৰ্ম্মাচরণ করবে। ১৭—৩ঞ্জ। ঐ কলিকালে সকলে শম্ভচের হইবে, ও বস্ত্র দেখলেই তাহার গ্রহণে অভিলাষী হইবে। চেীরের চেীরগণের পর্যাস্তু সম্পত্তি অপহরণ করবে। আর হরণকারীর দ্রব্যও অপরে হরণ করিবে । যখন যোগ্য কৰ্ম্ম সকল বিনষ্ট হইৰে ওলোক সকল নিক্রিয় হইবে, তখন কীট, মুষিক ও সর্প মানবগণকে হিংসা করিতে থাকিবে । ঐ সময়ে কি সুভিক্ষ, কি মঙ্গল, কি আরোগ্য, কি সামর্থ্য সকলই দুর্লভ হইবে । তখন প্ৰজাগণ ক্ষুধায় ও ভয়ে কাতর হইয়া আপন দেশ হইতে কৌশিকী মনীতে গমন করিবে। ৩৫-৩৭। ই কলিতে হ:খাভিভূত মনুষ্যগণের একশত বৎসর পর্যাপ্ত পরমায়ু ও ঐ কলিতে সমগ্র বেদ প্রায়ই সম্পূর্ণ ভাৰে কৃষ্ট হইবে না যজ্ঞ কেন অধৰ্ম্মে পীড়িত হইয়া উৎসাদ প্রাপ্ত হইৰে a ঐ যুগে মানবেরা কাষাধক্ষন-পরিমানদিতে ভিকেশধারী হইয়াও মুর্থ এবং অধিক সংখ্যক্ষই কপালী, আর কেহ কেহ বা রেকিয়ী ও কেহ কেহ বা শাস্ত্রবিক্ৰী হইবে। ফেমে স্কটল্পনিক মার্ক্স ধর্ণাশ্রমের পরীপহী, ঐ কলিযুগ ऎभश्छि श्नहे.cमहे नकण छ५°ग्न श्रेख। cर्कहे o "লিঙ্গপুরাণ গম পুত্ৰগণ ধর্থার্থবিজ্ঞা হইয়া বোধ্যনেও স্বত থাকিবে; এবং ঐ শূদ্রেরাই রাজা হইয় অশ্বমেধ যজ্ঞ করিবে। তখন প্রজাগণ স্ত্রী বালক গে প্রভৃতি হনন করিয়া এবং পরস্পরে পরস্পরের হত্যা করিয়া পরস্পরে উপদ্রব করিতে থাকিবে। কলিতে প্রজাগণের অধৰ্ম্মে অভিনিবেশ থাকিবে বলিয়া প্রভূত দুঃখ অল্প আয়, দেহের উৎসা, নিয়ত রোগ, এই সকল । অমোগুণের কার্ঘ্য হইবে। তখন প্রজার ব্ৰহ্মহত্যাদি করিতে থাকিবে; অতএব কলিকালে সকলেরই রূপ, বল, আয়ু প্রভৃতি সকল কিষ্ট হইবে। কিন্তু ঐ কলিতে মানবেরা অল্প কালেই সিদ্ধি লাভ করিতে সক্ষম হইবে। ঐ কলিকাল আগত হইলে যে ব্রাহ্মণশ্রেষ্ঠগণ ধৰ্ম্ম অনুষ্ঠানে রত থাকিবে ও যাহারা অস্থয়া পরিত্যাগ করিয়া শ্ৰুতিস্মৃতিৰুধিত ধৰ্ম্ম আচরণ করবে, তাহারাই ধন্ত । কারণ ত্রেতা যুগে একবর্ষে ধর্ম উপাঞ্জন করিয়া যে ফল পাওয়া যায়, দ্বাপরে তাই এক মাসে পাওয়া যায় এবং কলিতে এক দিন নিয়মিত ক্লেশ করিয়া ধৰ্ম্ম অনুষ্ঠান করিলে, তাহার ফল পাওয়া যাইবে। ইহাই কলি যুগের অবস্থা; এক্ষণে সন্ধ্যাংশের বিষয় বলিতেছি, শ্রবণ করুন। প্রতি যুগে যুগশ্বভাব সিদ্ধি সকল তিন পাদ করিয়া ক্ষয় হইয় আইসে, আর যুগসন্ধ্যায় ঐ যুগসিদ্ধি মাত্র এক পদে অবশিষ্ট থাকে এবং সন্ধ্যাংশে সেই সন্ধ্যাসিদ্ধির এক পাদ মাত্র প্রতিষ্ঠিত থাকে। ৩৮–৪১। কলি যুগের অন্তে যখন এইরূপ সন্ধ্যাংশ কাল উপস্থিত হইবে, তখন স্বায়ভুব মন্বন্তরে যিনি প্রমিতি নামে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি অসাধু ভূতগণের নিননিমিত্ত শাস্ত হইয় সোমশৰ্ম্মনামক ব্রাহ্মণবংশে জন্মগ্রহণ করিবেন। তিনি পুর্ণ বিংশতি বৎসর পৃথিবীতে ইতস্ততঃ বিচরণ করিয়া রক বাজি-কুঞ্চরস্মতি সৈন্ত সংগ্রহ করবেন। পরে গৃহীতাস্ত্র ব্রাহ্মণগণ ও সেই সকল সৈন্তগণে পরিবেষ্টিত হইয়া সহস্ৰ সহস্ৰ মেচ্ছগণকে নিহত কল্পিবেন এবং শূদ্র রাজগণকে ও সবল বৈদিকমবিহীনগণকে নিঃশেষ করিবেন এবং যাহার অতিশয় ধৰ্ম্মপরায়ণ নহে, তাহাদিগকেও নিহত করবেন। আর যাহার বর্ণবিপৰ্য্যয়ে জন্সিয়াছে দেখিবেন, তাহাদিগকে ও তাহাদিগের অনুজীযিগণকে বিনাশ করিয়া চৰুদিকে স্বীয় জাঙ্গ প্রচারিত করিয়া, ম্লেচ্ছৰ্গণের ৰিলাশ সাধন করিকে। পরে সকল ভূতগণের খঞ্চ হুইং, পৃীি পরিচরণ করবেন। ধিমি পুৰ্ব্বজন্মে প্রমিতি নামে ছিলেন, তিনিবিষ্ণু ও মানবের অংশে কলিযুগ পূর্ণ হইলে, সোমশৰ্মনামক ব্ৰাহ্মণগোত্রে জন্ম গ্রহণ