পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ পুরুষ নীল এবং লোহিতবর্ণ বলিয়া নীললোহিত নামে কীৰ্ত্তিত হয়েন। সেই দেব ভগবানূ বিভু কাল ব্ৰহ্ম দ্বারা সত্তোষ প্রাপ্ত হইলেন ; বিশ্বাত্মা দেবকে এইরূপ প্ৰীতমনা দেখিয়া ভগবান বিশ্বাশ্ম পিতামহ নামাষ্ট্রক কীৰ্ত্তনে স্তব করিলেন। পিতামহ বলিলেন,-হে ভগবান রুদ্র ভাস্কর! অমিততেজা ! আপনাকে নমস্কার করি। হে আকাশমুত্তে ভব! হে অম্বুময়! আপনি রসনিলয়, আপনাকে নমস্কার করি। হে ক্ষিতিরূপিন শৰ্ব্ব ! আপনি সৰ্ব্বদা গন্ধবিশিষ্ট, আপনাকে নমস্কার করি । হে বোমমুঙে ঈশ! আপনি স্পর্শগুণ ধারণ করেন আপ নাকে সদা নমস্কার করি । ১৩-৩০ । হে পাবকরূপিন! পশুপতে! আপনি অতিতেজঃ, আপনাকে নমস্কার করি। হে বোমমূৰ্ত্তে! হে ভীম ! আপনার শব্দমাত্র গুণ। হে সোমরূপিন্‌ ! মহাদেব ! আপনি অমৃতময়, আপনাকে আমার অসংখ্য নমস্কার। হে যজমানরূপিনৃ উগ্ৰ ! আপনি কৰ্ম্মফলভোক্ত জীবরূপী ; আপনাকে সৰ্ব্বদা নমস্কার করি। যে এই রুদ্র-উদেশে ব্রহ্মকর্তৃক উক্ত স্তব সমাহিতচিত্তে পাঠ করে, বা শ্রবণ করে, অথবা ব্রাহ্মণগণকে শ্রবণ করায়, সে এক বর্ষের মধ্যে অষ্টমূৰ্ত্তির সাযুজ্য লাভ করিতে সক্ষম হয়। পিতামহ এইরূপ মহাদেবকে স্তব করিয়া তাহাকে অবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। সেই সময় ভগবান মহাদেব অষ্টমূৰ্ত্তিতে চতুৰ্দ্দিকে অবস্থান করিতে লাগিলেন। সেই সময় হইতেই অগ্নি, স্বৰ্য্য ও চন্দ্র প্রকাশ পাইলেন। পৃথিবী, বায়ু, পুরুষ, জল ও সৰ্ব্বব্যাপী গগন সেই অবধিই সৰ্ব্বত্র বিরাজ করিতে লাগিলেন। সেই অবধিই ভগবান ঈশ্বর অষ্টমূৰ্ত্তি বলিয়া কথিত হন। ঐ অষ্টমূৰ্ত্তিরই প্রসাদে ভগবান বিরিঞ্চি পুনৰ্ব্বার সকল স্বজন করিলেন। এইরূপে ব্ৰহ্ম সমস্ত স্বজন করিয়া পুনৰ্ব্বার কল্পাস্তরে সহস্ৰ যুগ পৰ্য্যন্ত সকল চরাচর অপ্রবুদ্ধ থাকিলে, পরে প্রজাগণের স্বজনবাসনায় উগ্র তপস্যা করিলেন। এতাদৃশ ঘোর তপস্ত করিয়াও তাহার কিছুই ফল হইল না। পরে এইরূপে দীর্ঘকাল দুঃখ পাওয়াতে র্তাহার ক্রোধ জন্মিল। সেই ক্রোধাবিষ্ট ব্রহ্মার নেত্রযুগল হইতে অশ্রুবিন্দ পতিত হইল। সেই সকল অশ্রুৰি হইতে ভূত-প্রেত উৎপন্ন হইল। প্রথমেই সেই সকল ভূত-প্রেত নিশাচরগণকে জমিতে দেখিয়া তখন অজ ব্রহ্মা আত্মাকে নিন্দ করিতে লাগিলেন ; এবং ক্রোধাধিত হইয়া প্রাণ পরিত্যাগ করিলেন। পরে সেই প্রতু ব্ৰহ্মার মুখ হইতে প্রাণ 蟹> ময় রুদ্র বালার্কসদৃশ আকারে অন্ধনারীশ্বরূপে আবিভূত হইলেন। তাহার পর আত্মাকে একাদশ রুদ্রাকারে বিভক্ত করিলেন ও অন্ধভাগ হইতে উমাকে বিভক্ত করিলেন। সেই দেবীও সে সময় লক্ষ্মী, ইৰ্গ, শ্ৰেষ্ঠ সরস্বতী, বাম, রৌদ্র, মহামায়, বরঞ্জনয়ন বৈষ্ণবী, কলা, বিকিরিণী, কমলবাসিনী, বলবিকিরিণী ও বলঞ্জমথিনীকে স্বজন করিলেন এবং সৰ্ব্বভূত-দমনকারিণী, মনোন্মদিনী ও অন্তান্ত সহস্ৰ নারীগণ স্বজন, করিলেন। পরে সেই সকল রুদ্র ও সেই সকল নারীগণকর্তৃক পরিবৃত হইয়া ভগবান্‌ ত্রিভুবনেশ্বর সেই মৃত সৰ্ব্বাত্মা পরমেষ্ঠা দেব ব্রহ্মার অগ্রে গমন করিয়া অবস্থিত রহিলেন । তাহার পরে ভগবান ব্ৰহ্মপুত্র মহেশ্বর সদয় হইয়া সেই মৃত ব্ৰহ্মাকে পুনৰ্ব্বার উজ্জীবিত করিলেন। অনস্তর আত্মস্থ ব্ৰহ্মার প্রাণ প্রদান করিলেন। এইরূপে ব্ৰহ্মাকে প্রত্যাগত-জীবন দেখিয়া ভগবান দেবেশ প্রহষ্টচিত্তে র্তাহাকে পরমবাক্য বলিলেন;–হে জগদগুরো ! হে মহাভাগ বিরিঞ্চে । আমিই এখানে আপনার প্রাণ স্থাপন করিয়াছিলাম, অতএব ভীত ইইবেন না, উখিত হউন। প্রত্যগত জীবন ব্রহ্মা দেবদেবের তাদৃশ স্বপ্নপ্রায় মনোগত বাক্য শ্রবণে প্রসন্নচিত্তে প্রফুল্লকমলসদৃশ নেত্ৰে মহেশ্বরকে নিরীক্ষণ করিলেন। এইরূপে অনেকক্ষণ নিরীক্ষণ করিয়া ব্ৰহ্ম উত্থিত হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে স্নিগ্ধ-গম্ভীর বচনে বলিলেন, হে মহাতীগ। দেবেশ ! আপনি আমার চিত্তের সাতিশয় সন্তোষ প্রদান করিতেছেন, অতএব এই একাদশাত্মক অষ্টমূৰ্ত্তি আপনি কে ? পরিচয় প্রদান করুন। ইত্ৰ বলিলেন;–ব্রহ্মার তাদৃশ বাক্য শ্রবণে মুরারিরিপু, মহেশ্বর সুখ-স্পর্শ কর দ্বারা তাহাকে স্পর্শ করিয়া বলিলেন;–আমাকে পরমাত্মা বলিয়া জ্ঞাত হউন এবং এই দেবীকে অজ মায়া বলিয়া ও এই একাদশ জনকে রুদ্র বলিয়া অবগত হউন, আপনারই রক্ষার নিমিত্ত এখানে আগমন করিয়াছি। দেবদেবের তাদৃশ বাক্য শ্রবণে ব্ৰহ্মা তাহাকে প্রণাম করত কৃতাঞ্জলিপুটে হর্ষগদগদবচনে বলিলেন , হে ভগবন্থ দেবদেবেশ ! আমি অতিশয় দুঃখাকুলিত হইয়াছি, অতএব হে শঙ্কর। আমাকে এই সুসার হইতে মোচন করুন। ব্ৰহ্মার তাদৃশ বাক্য শ্রবণে “মুক্তও আবার মুক্তি প্রার্থনা করিতেছেন" এই বিবেচনা করিয়া হাসিতে হাসিতে দেবী ও সেই সকল রুদ্রগণের সহিত অন্তৰ্হিতু হইলেন। ইক্স কহিলেন ;-অতএব হে শিলা ! এই ত্ৰিলোকে মৃত্যুহীন অধোনিজ পুরুষ দুর্লভ জাৰিলন;