পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বলীগ। হে পুত্র । তোমাকে আমার অসংখ্য নমস্কার । হে পরমেশ্বর, মহাভাগ বৎস! আমাকে রক্ষা কর। হে পুত্র। যেহেতু তোমাকর্তৃক আমি আনঞ্চি হইয়াছি, অতএব হে সুরেশ্বন্ধু! তুমি নন্দী নামে কীৰ্ত্তিত হইবে। অতএব আনন্দদাতা জগদীশ্বর নদীনামধারী তোমাকে সমস্কার করি । হে নদিৰ্‌! তুমি প্রসন্ন হও। আজ আমার পিত, মাত, পিতামহ, প্রপিতামহগণ রুদ্রলোকে গমন করিলেন। যহেতু মহেশ্বর আমার পুত্ররূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন। হে জগৎপ্রভো নন্দিন। আর আমারও ইহলোকে জন্ম সার্থক হইল। যে হেতু আমার রক্ষার নিমিত্ত ভগবান্‌ মদীয় সুতরূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন। হে নদীশ্বর ! তোমাকে নমস্কার করি। হে সুরেশান ! তোমকে নমস্কার করি। হে জগদ্বগুরে । মহাদেব ! হে পুত্র! আমাকে রক্ষ কর । হে নদীশ্বররুপিন ! শিব । হে মুরাসুরস্তব ! আমি আপনাকে পুত্র জ্ঞান করিয়া যাহা যাহা কহিলাম, তাঙ্গ সদয় হইয়া ক্ষমা করুন। যে আমার এই পুত্রস্তব প্লাঠ করে, ব। শ্রবণ করে, অথবা ভক্তিপূৰ্ব্বকও যদি কাহাকে শ্রবণ করায়, সে আমার সহিত আনন্দ ভোগ করিতে থাকে। সুত্ৰত শিলাদ বালক পুত্রকে এইরূপে স্তব করিয়া বহুমানপুরঃসর নমস্কার করত মুনিগণকে অবলোকন করিয়া বলিলেন,-হে মুনিগণ ! আমি কি মহাভাগ্যবান তাহ অবলোকন করুন, যেহেতু অব্যয় প্রভু মহেশ্বর আমার পুত্র নন্দীরূপে যজ্ঞাঙ্গনে অবতীর্ণ হইলেন। আজ আমার সমান ইহুলোকে কি দেব, কি দানব; কোন পুরুষ আছে ? যেহেতু এহেন নদী আজ আমার হিতের নিমিত্ত যজ্ঞভূমিতে জন্ম গ্রহণ করিলেন । ২১–৩৮ । দ্বিচতুরিংশ অধ্যায় সমাপ্ত।

  • s

ত্রিচারিংশ অধ্যায় । নন্দিকেশ্বর কহিলেন-নিধন ব্যক্তি যে মন ধন লাভ করিয়া আনন্দে সত্বর গৃহেগমন করে সেইরূপ পিতাও আমাকে লাভ করিয়া দেবদেব মহেশ্বরকে প্রণাম করত, আমার সহিত আপন উটজে শীঘ্র গমন করিলেন । যখন আমি পিতার উটজে উপস্থিত হইলাম, তখন দৈবহে পরিত্যাগ করত মানুফ {ग३ अश्वघ्न कम्नितम 4द९ ठश्म अनेिक#नौद्र ঈশ্বরেক্ষা আমার জৈবীকৃতি লোপ থাইল। পরে

পুজনীয় পিতা আমার মনুষ্য-শরীর অবলোকলে সাতিশয় দুঃখার্জ হইয়া আত্মীয়জনপরিবেষ্টিত হইয়া রোম করিতে লাগিলেন। অনন্তর পুত্রবৎসল শালঙ্কায়সপুত্ৰ সৰ্ব্বৰিং পিতা, আমার জাতকৰ্ম্মাদি সম্পন্ন করিলেন এবং যথাসময়ে অর্থাৎ আমার সাত সংসর বয়স পুইলে আমাকে ঋগ্বেদ, যজুৰ্ব্বেদ ও সামবেদের সাঙ্গোপাঙ্গ শাখা সহস্র এবং আয়ুৰ্ব্বেদ, ধনুৰ্ব্বদ, গন্ধৰ্ব্বশাস্ত্র, অশ্বলক্ষণ, হস্তিচল্পিত ও নরলক্ষণ প্রভৃতি উপদেশ প্রধান করিলেন । তাহার পর একদিন মহাত্মা যোগবলাৰিত মিল্লবরুশ নামে মুনিশ্রেষ্ঠস্বয়, বিভু পরমেশ্বরের আজ্ঞায় আমাকে দেখিবার নিমিত্ত পিতার আশ্রমে আগত হইলেন। উপস্থিত সেই মহাত্মন্ধয় মুহুমূৰ্ছ আমাকে নিরীক্ষণ করত পিতাকে বলিলেন;–হে তাত! দুঃখের কথা আর কি বলিব ; এই সৰ্ব্বশাস্ত্রার্থপরায়ণ মন্দী অল্পায়ু ; আশ্চর্য্যের বিষয় যে, এ হেন সৰ্ব্বশাস্ত্রার্থপারগ তনয়ও আর এক বর্ষের অধিক জীবিত থাকিবেন না। র্তাহীরা এইরূপ নিদারুণ মৰ্ম্মম্পূকৃ কথা বলিলে, পুত্রবংসল শিলাদ মুখে সাতিশয় কাতর হইয়া, সন্তাপে রূদ্ধকণ্ঠ হইয়া, পুত্রকে আলিঙ্গন করত ই পুত্র! হা পুত্র! বলিষ রোদন করিতে লাগিলেন এবং রোদন করিতে করিতে, আহে । বিধাতা দৈববিধির কি বল ? এইরূপ খেদ জুরিতে করিতে ভূতলে পতিত হইলেন। র্তাহার এতাদৃশ আৰ্ত্তশ্বর শ্রবণে আশ্রমনিবাসিগণ শোকে বিহ্বল ইইয়া পতিত হইতে লাগিলেন, এবং মঙ্গল রক্ষা করিতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন এবং ভগবান্‌ উমাপতি ত্রিয়ম্বকের স্তব করিতে লাগিলেন, এবং ত্ৰিয়ম্বকমন্ত্ৰেই সৰ্ব্বদ্রব্যসমন্বিত অমুক্তসংখ্যক দূৰ্ব্ব মধুসিক্ত করিয়া হোম করিতে লাগিলেন। পরে পিতা ও পিতামহ বিলাপ করিতে করিতে বিগতচৈতষ্ঠ ও নিশ্চেষ্ট হইয়া মৃতবং পতিত হইলেম । তাহ দেখিয়া श्राभि “भाइ ऊँीशग्लिशद्र भूळू श्छ"; dहे उ** ७ আপন মৃত্যুভয়ে সেই মৃত্যুৎ পতিত পিতা-পিতামহকে ভূতলে মস্তক নত করিয়া সমস্কার ও প্রদক্ষিণ করিতে লাগিলাম; এবং হাস্যপদ্ধ-বিবরে ত্রিগুপালক ক্রিয়ম্বক দশভুজ পঞ্চ-বত্ত্ব সদাশিষকে ধ্যান্স করিয়া রুদ্রাধ্যায় জপ করিতে লাগিলাম। পরে পরমেশ্বর সোমার্ক-বিভূষণ উমাসঙ্গী মহাশেৰ পূৰ্ণাগরিতের তীরে অবস্থিত্ত প্রতি তুষ্ট হইয়া বলিলেন;– হে বংস মহাবাহো মস্!ি তোমার আবার মৃত্যুঞ্জয় কোথায় ? ঐ বিপ্রশ্বরকে আমিই o জানিবে ; আমাতে জেমাতে কিছুই ন্সে পাই,