পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়া আগমন করত ক্ষণে ক্ষণে মৃত্যগীত ও ক্ষণে ক্ষণে চঞ্চলভাবে’ইতস্তত বিচরণ করিতে লাগিলেন। র্তাহার। মুখে প্রভূত বাদ্যবাদন করিতে লাগিলেন। কেহ রখে, কেহ গজে, কেহ অশ্বে, কেহ সিংহে, কেছু মৰ্কট-বাহনে ও কেহ কেহ রত্নখচিত রথে আরোহণ করিয়া আগমন করত ভেরী, মৃদঙ্গ, পণব, ঢাক, গোমুখ, পটহ, পুষ্কর ও অন্তান্ত বিবিধ বাদিত্র-বাদন করিতে লাগিলেন। ভেরী, মুরজ, ডিণ্ডিম, মৰ্দ্দল, বেণু, বীণা, দুর্দুর, কচ্ছপ প্রভৃতি বাদ্য সকল স্থতালে তলস্বাক্তবশতঃ তুমুল নিনাদে সভাস্থল প্রতিধ্বনিত করিল। তৎপরে সেই মহাবল পরাক্রান্ত সকল দেবগণের ঈশ্বরস্বরূপ গণেশ্বরসমূহ, দেবগণের সভাস্থলে উপস্থিত হইয়া রুদ্রদেব ও দেবীকে প্রণাম করত বলিলেন, ভগবন বৃষধ্বজ ! আপনি কি জন্য আমাদিগকে স্মরণ করিয়াছেন, আজ্ঞ করুন ; ত্ৰ্যম্বক! আমাদের কি কোন সাগরে গমন করিতে হুইবে ? কিংবা অনুচরবর্গের সহিত দেবরাজকে বিনাশ করিব ? কিংবা মৃত্যুতনয়৷ বা পদ্মযোনিকে পশুর স্তায় বিনাশ করিতে হইবে ? অথবা আমরা ক্রোধভরে দেবগণসহ ইন্দ্রকে, বায়ুর সহিত বিষ্ণুকে, কিংবা দানবকুলসহ দৈত্যদিগকে দৃঢ় ভাবে বন্ধন করিয়া আপনার সমক্ষে আনয়ন করিব ? দেব ! আপনার আজ্ঞাক্ৰমে আমরা অদ্য কাহার ঘোরবিপদ সম্পাদন করিব, কাহার বা অদ্য অভিলষিত সমৃদ্ধি পাইবার সুদিন হইবে ; গণেশ্বরকুল অতি সদৰ্পে এইরূপ বলিলে, ভগবানু তাহদের যথাযোগ্য অভ্যর্থনা করিয়া বলিলেন, বৎসগণ ! তোমরা জগতের হিতকারক, তোমরা যে জন্ত আহুত হইয়াছ তাহা শ্রবণ করিয়া মুদূর শঙ্কা পরিত্যাগ করত স্থির হও; সকলের ঈশ্বরের ঈশ্বর স্বরূপ এই নদীশ্বর আমার পুত্ৰ, তোমাদের সেনাপতি-পদের অতি উপযুক্ত লোক ; অতএব আমার আজ্ঞাক্ৰমে এই যোগপরায়ণ নদীশ্বরকে তোমরা সেনাপতিপদে অভিষেক কর, এই আমার অভিলাষ । ভগবান এই কথা বলিলে গণেশ্বরগণ “তাহাই হইবে,” এই বলিয়া * সেই বাক্যে অনুমোদন করত উপায়ন সমস্ত সাদরে ভগবানকে অপর্ণ করিলেন। তংপরে সুবর্ণখচিত মুমেরুসদৃশ মনোহর আসন প্রদান করিয়া, পরে নিৰ্মাণ করিলেন। তাহতে সারি সারি ক্ষুদ্র ঘটিকা সমূহ, বিদোলিত হইতে লাগিল; সেই মগুপের চরিত্র রত্নময়কথাটযুক্ত। এইরূপ মঞ্চণ নিৰ্মাণ रूहिक अशक्र ऋष ऊँीराज चङ्गा छिछ क७ ৬ 3 তাহার সম্মুখে নীলবর্ণ হীরকোম্ভাসিত পাদপীঠ স্থাপন করিলেন এবং পাদপ্রতিষ্ঠার নিমিত্ত তাহার উভয় পার্থে উত্তমসলিলপুর্ণ দুইটী কলস স্থাপনপূর্বক তাহার মুখ মনোহর পদ্মযুগলে আবরণ করিঙ্গে । তাহার পরে গণাধিপগণ তীর্থঙ্গলপূর্ণ হব, রজত, তাম ও মৃত্তিকানিৰ্ম্মিত কলসসমূহ, মনোহর বস্ত্রযুগল এবং অষ্টান্ত দেবভোগ্য গন্ধদ্রব্য সকল আহরণ করত সাদরে তথায় সংস্থাপন করিলেন এবং কেয়ুর, কুগুল, মুকুট, হার, শতশলাকাযুক্ত ছত্র, তালবৃন্ত, ব্ৰহ্মপ্রদত্ত উপরি ও অধোভাগে সুবর্ণ-মণ্ডিত শঙ্খ, ব্যঞ্জন, চন্ত্রের ষ্ঠায় শুক্লবৰ্ণ হেমদও চামর, ঐরতে ও স্বপ্রতীকনামক শ্রেষ্ঠ গজায়, বিশ্বকৰ্ম্মৰনিৰ্ম্মিত কাঞ্চনময় মুকুট, মনোহর মুনিৰ্ম্মল কুগুলযুগল, বজ্র, শ্রেষ্ঠ ধনু, সুবর্ণ সূত্র। কেয়ূরযুগল ও অন্তান্ত বহুবিধ দ্রব্যজাত গণাধিপসমূহ সযত্নে আহরণ করত তথায় আনয়ন করিলেন ১–৩০ । তৎপরে ইন্দ প্রভৃতি দেবগণ, মুনিগণ, ব্রহ্মা ও দেবগণসহ ব্ৰহ্মার মানসপুত্র নয় জন সকলেই সেই দেবসভায় আগমন করিলেন । তাহার সকলে সেই দেব-সমিতিতে উপস্থিত হইলে, ভগবান ভূতভাবন কৰ্ত্তব্যক্ষার্ঘ্যের সমাধানের নিমিত্ত পিতামহ কমলযোনিকে আদেশ করিলেন। মহানুভাব ব্রহ্ম ভগবামের নিয়োগবশতঃ সাবধানে অভিষেকক্রিয়া সমাধান করিলেন । শিবের আদেশক্রমে প্রথমতঃ ব্রহ্মা করিয়া অভিষেক করিলেন, তৎপরে বিষ্ণু, ইন্দ্র ও লোকপালগণ ক্রমান্বয়ে নিয়মানুসারে এই গণেন্দ্র নদীশ্বরের অভিষেককার্য্য মমাপন করিলেন ৩১-৩৪ । তাহার পর ব্রহ্মপ্রমুখ ঋষিগণও মনোহর স্তব পাঠ করিতে লাগ্নিলেন। তঁহাদের স্তবপাঠ শেষ হইলে, জগৎপতি বিষ্ণু শিরোদেশে অঞ্জলি নিবদ্ধ করিয়া অতি যত্নের সহিত স্তব করিতে লাগিলেন এবং বন্ধাঞ্জলিপুটে প্রণত হইয়া পুনঃপুনঃ জয়শব্বোচ্চারণ করতে লাগিলেন। এইরূপে ক্রমে গণাধিপগণ ও সুরগণও অভিষেক করত স্তব পাঠ করিলেন । এইরূপে ব্ৰহ্মা প্রভৃতি দেবগণ এই মন্দীশ্বরকে স্তব ও অভিষেক করিলেন । এই নদী পিতামহের অনুমতিক্রমে মরুত্তনয় দেবী হ্যশাস্তুে পরিণয় করিয় তাহাতে যৌতুকশ্বরূপ চন্দ্রের স্থায় সুবিমল ছত্র, চামরধারিণী বহু পরিচারিক, উত্তম সিংহাসন, সমস্ত লাভ করিলেন। দেবী মহালক্ষ্মী মুকুটাদি মনোহর. ಥ್ರ ಫ್ಲಡ್ಕ ಆಳ್ವಗೆ ಕ್ಲಿಕ್ಗತ