পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{y e; সমূহের আধিপত্যে গণপতিকে, বীরগণের আধিপত্যে পিশাচগণের ভয়ঙ্কর বীরভদ্রকে, মাতৃরণের অধিপত্যে সৰ্ব্বদেবনমস্কৃত চামুণ্ডকে ও রুদ্রগণের আধিপত্যে দেমেশ্বরনীললোহিতকে নিযুক্ত করিয়াছেন, এবং বিষ্কসমূহের আধিপত্যে গণপতিকে, স্ত্রীগণের আধিপত্যে উমা দেবীকে বাক্যের আধিপত্যুে সয়স্বতীকে, মায়াবীদিগের আধিপত্যে বিষ্ণুকে, জগতের আধিপত্যে স্বীয় আত্মাকে, গিরিসমূহের আধিপত্যে জাহ্নবীকে, সকল সমুদ্রের আধিপত্যে পয়োনিধিকে, বৃক্ষগণের আধিপত্যে অশ্বখ বৃক্ষকে এবং গন্ধৰ্ব্ব বিদ্যাধর ও কিন্নরগণের আধিপত্যে চিত্ররথকে অভিষেক করিয়াছেন। এইরূপ উগ্ৰবীৰ্য্য বাসুকিকে নাগগণের অধিপতি, ভক্ষককে সর্গের অধিপতি, ঐরাবতকে দিগগজ সমূহের অধিপতি, সুপর্ণকে পক্ষীগণের অধিপতি, উচ্চৈঃশ্রবকে অশ্বগণের অধিপতি, সিংহকে মৃগগণের অধিপতি, বৃষভকে গোর অধিপতি, শরভকে মৃগাধিপ সমূহের অধিপতি, কাৰ্ত্তিককে সেনাপতিগণের অধিপতি, ও নকুলীশকে শ্রুতি ও স্মৃতি সমুহের অধিপতি-পদে অভিষেক করিয়াছেন এবং মুশৰ্ম্ম, শঙ্খপদ, কেতুমণ্ড ও হেমরোমাকে দিকের দিকুসমূহের আধিপত্যে নিযুক্ত করিয়াছে। পৃথিবীর আধিপত্যে মহেশ্বরকে এবং চতুর্মুক্তিতে শঙ্করকে অভিষেক করিয়াছেন, প্রজাপতি ভগবান শস্তুর অনুগ্রহে যথাক্রমে পুৰ্ব্ব অভিষেক করিয়াছেন। হে দ্বিজশ্রেষ্ঠগণ! য়াহদিগকে বিশ্বযোনি ব্ৰহ্মা অভিষেক করিয়াছে, ੋੜ কথা বিস্তাররূপে বর্ণন করিলাম। ১—১৭। অষ্টপঞ্চাশ অধ্যায় সমাপ্ত । উনষষ্টিতম অধায় । স্থত বলিলেন ; মুনিগণ এই প্রকার অভিষেকউপাখ্যাঙ্গ শ্রবণ করিয়া আবার সংশয়িতচিত্ত হইয়৷ পুনরায় স্থতকে উত্তর জিজ্ঞাসা করিলেন, হে বাঞ্চিশ্রেষ্ঠ হুক্ত আপনি এই ঘাহা বলিলেন, ইহা বিস্তার পৰ্বয় কীৰ্ত্তন করুন ও পুৰ্ব্বস্বচিত জ্যোতির্মণের নির্ণয় ও বিভায়রপে বর্ণনা করিয়া আমাদিগের সংশয় জগলেনন করুন। ঋষিগণের এড়াশ বাক্য শ্রণে স্বত্ব সমডিচিন্তে তাহাীিগের সংশয় দূর করিবাৰ निमिस गङ्गय बांक शनिर७ यांद्रख कब्रिट्नन। } বিষয় মহাপ্লাজ শাস্তবুদ্ধি ব্যাসাদি যাহা বলিরছেন, সেই হংচঙ্গ ভি ও নে প্রকার স্বধ আদি গ্রন্থ দেবগণের গৃহ হইছেন, তাহা বলিতেছি, শ্রবণ লিঙ্গপুরাণ করুন। এক্ষণে দিব্য ভৌতিক ও পার্থিব; এই তিন প্রকার অগ্নির ত্ৰিবিধ উৎপত্তি বর্ণনা করিতেছি, তাহ সমাহিত চিত্ত্বে শ্রবণ করুন। অব্যক্তজন্ম। ব্ৰহ্মার রজনী প্রভাক্তপ্রায় হইলে, এই ব্ৰহ্মাও নৈশ অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকায় অব্যক্তভাবে ছিল । বিশেষতঃ এই চতুর্ভাগে বিভক্ত লোক বিনাশপ্রাপ্ত হইলে তখন সৰ্ব্বলোকার্থ প্রকাশক ভগবান স্বয়ম্ভু জগং স্বজন করিবার নিমিত্ত খদ্যোভের স্তায় বিচরণ করিতে লাগিলেন। তিনি প্রথমতঃ পৃথিবী জল আশ্রয় করিয়া অগ্নি স্বজন করিলেন। পরে সেই পুথিবী জল সংহার করিয়া লোক প্রকাশের নিমিত্ত সেই অগ্নিকে তিন প্রকারে বিভক্ত করিলেন। ইহলোকে যাহা পবন বলিয়া ও জ্ঞাত আছে, তাহ পার্থিব বহ্নি, আর যে এই সূৰ্য্য তাপ দিতেছেন, ইনি শুচিবহ্নি, আর বৈদ্যুত বহি জলীয় বলিয়। কথিত হয়, তাহদের লক্ষণ বলিতেছি শ্রবণ করুন। বৈদ্যুতাগ্নি জঠয়ারি ও সৌরাগ্নি এই তিন অগ্নি বারিগর্ভ অর্থাৎ ইহাদিগের অভ্যন্তরে জল আছে, সেই হেতুই স্বৰ্য্য জল পান করিয়া কিরণে দীপ্তি পাইয়া থাকেন। আর জলজ বৈদ্যুতাগ্নি জলেই থাকে ঐ অগ্নিও জলে নিৰ্ব্বাপিত হয় না। মানবগণের কুক্ষিস্থ পার্থিবাগ্নি অর্থাৎ যাহাকে জাঠর বলা যায় সে পাবকও জলে নিৰ্ব্বাপিত হয়। যখন অর্চিষ্মান পবন নিম্প্রভ হয় এবং যাহা মণ্ডলাকার ও শুক্লবৰ্ণ ধারণ করে ও উষ্মশুম্ভ হয়, তাহাকেই জাঠরাগ্নি বলিয়া থাকেন। ১—১৩। স্থৰ্য্য অস্ত গমন করিলে পরে রাত্রিতে সেই সৌরীপ্রভা অগ্নিতে প্রবেশ করে। তাহাতেই অগ্নি রাত্রিতে দূর হইতে প্রকাশ পাইয়৷ থাকেন। পরে আবার যখন স্থৰ্য্য উদিত হন, তখন সেই অগ্নির উষ্ণতা স্থৰ্য্যতে পুনৰ্ব্বার প্রবেশ করিয়া থাকে। ঐ অগ্নি পার্থিবাগ্নির প্রবেশেই তাপ দিয়া থাকেন। ঐ সৌর ও আগ্নেয় তেজের প্রকাশ ও উষ্মাই স্বরূপ। ঐ দেীর আগ্নেয় তেজ পরম্পর পরস্পরে প্রবিষ্ট হইয়া পরস্পরেরই তৃপ্তি (অৰ্থাৎ উজ্জ্বলতা) বৰ্দ্ধন করে। ঐ সুর্য্যাগ্নি কখনও উত্তর ভূমিভাগ ও কখনও দক্ষিণ ভূমিভাগ হইতে উদিত হন। আবার জলে প্রবেশ করেন; সেই হেতু দিবাতে জলে রাত্রি প্রবেশ করে বলিয়া, জল তাম্র বর্ণ হয়। আবার স্বৰ্য অঙ্ক ধাইলে, ঐ দিব জলে প্রবেশ করে বলিয় রক্রিডে জল শুক্লবৰ্ণ দেখা গিন্ধ থাকে। এই ক্রমানুসারে দক্ষিণ ভূমি ভাগে উদ্যাপ্ত হইয়া থাকে এবং নিতেই দিব ও রাত্রি দলে প্রবেশ করিতেছে। ঐ স্বৰ্য নিয়ত কিরণমালায় জল