পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઇ-8 দ্বিষষ্টিতম অধ্যায় । ঋষিগণ বলিলেন, সুবুদ্ধিশ্রেষ্ঠ ধ্রুব, বিষ্ণুর প্রসাদে ফুিপে গ্ৰহগণের নিয়ন্ত হইয়াছেন, তাছা এক্ষণে আমাদিগকে বলুন। মৃত বলিলেন, হে দ্বিজগণ! আমি পূৰ্ব্বে পানশাস্ত্রবিশারদ মার্কণ্ডেয়কে এই বিষয় জিজ্ঞাসা করিলে তিনি আমাকে শুশ্ৰযু বুঝিরা তাহা কীৰ্ত্তন করেন। মার্কণ্ডেয় বলিয়াছিলেন, পূৰ্ব্বে শস্ত্র ধারিগণের অগ্রগণ্য, সাৰ্ব্বভৌম মহাতেজা উত্তানপাদ রাজা পৃথিবী পালন করিতেন। মুনীতি ও মুরুচি নামে তাহার দুই মহিষী ছিলেন। মহাযশ মহামতি কুলপ্রদীপ মহাপ্রাজ্ঞ প্রুব, প্রধান মহিষী সুনীতির গর্ডে উৎপন্ন হন। তিনি সপ্তম বর্ষ বয়সে একদিন পিতার ক্রোড়ে উপবেশন করেন। হে বিপ্রশ্রেষ্ঠগণ . তখন সেইরূপ গৌরবশালিনী বিমাত মুরুচি, ধ্রুবকে ক্রোড় হইতে তাড়াইয়া দিয়া সৃষ্টান্তঃকরণে নিজ পুত্রকে তথায় উপবেশন করাইলেন। মুবুদ্ধি ধ্রুব, পিতার ক্রোড়ে বসিতে না পাওয়ায় দুঃখিতান্তঃকরণে মাতার নিকটে আসিয় বারংবার রোদন করিতে লাগিলেন। ধ্রুবজননী সুনীতি, অতিশয় দুঃখাৰ্ত্ত হইয়ারোরুদ্যমান পুত্রকে বলিলেন, বাছা! সুরুচি, পতির প্রিয়তম মহিষী; তাহার পুত্রও র্তাহার প্রিয়তম। আমি অভাগিনী ; আমার গর্ভে তোমার জন্ম, অতএব তুমিও অভাগা ; কেন আর মিছামিছি বারংবার রোদন কত শোক প্রকাশ করিতেছ। বাছারে! তুমি দুঃখিড়চিত্ত হইলে আমার শোকের সীমা থাকে না। পুত্র রে! এখন তুমি হুস্থচিত্তে নিজশক্তিবলে, ধ্রুবস্থান লাভ করিতে যত্নবান হও, জননী এই কথা বলিলে, ধ্রুব, বনগমন করিলেন। অনস্তর তিনি, বিশ্বামিত্রকে দেখিতে পাইয়া যথাবিধি প্রণাম করত কৃতাঞ্জলিপুটে জিজ্ঞাসা করিলেন, ভগবল্ ! বলিয়৷ দিন, কি উপয়ে সৰ্ব্বোপরি স্থান লাভ হয়। তে মুনিসত্তম! আমি একদা পিতার ক্রেড়ে উপবিষ্ট ছিলামবিমাতা মুরুচি, আমাকে তাড়াইয়া দেন, আমার পি হাজও তাঁহাকে কিছুই বললেন না। ব্ৰক্ষন ! এই কারণে আমি ভৗত ও দুঃখিত হইয়া জননী সুনীতির নিকট গমন কুরিলে,তিনি আমাকে বলিলেন; পুত্র। শোক ৰুরিও না। নিজ কৰ্ম্মফলে नरलैंख्मि हननgड व कद्र । cश भशश्न ! आभि ভূঁহার কথা শুনিয়া আপনার আশ্রম—এই ভবনে জাসিয়া উপস্থিত হইছি। ব্ৰহ্মন : অধ্য আপনার সাক্ষাৎকার লাভ করিলাম। ভো আপনার ' লিঙ্গপুরাণ । প্রসাদেই আমি অদ্ভুত উল্লম স্থান লাভ করব। ১–১৬। ধ্রুব এই কথা বললে, মুনির বিশ্বামিত্র হাস্ত করত বলিলেন, রাজনন্দন! শুন, সৰ্ব্বজ্ঞ মহাদেব শিবের বামাঙ্গসভূত, ক্লেশনাশক জগদীশ্বর কেশবের আরাধনা করিলে উত্তম স্থান লাভ করিতে পরিবে। হে মহাপ্রাজ্ঞ ! সংযতেন্দ্রিয় এবং জপহোমতৎপর হইয়া সনাতন বিষ্ণুকে ধ্যান করত সৰ্ব্বপাপবিনাশন, ইষ্ট্রসিদ্ধিকর পরম পবিত্র অতিনিৰ্ম্মল বিশুদ্ধ “ওঁ নমো ভগবতে বামুদেৰায়” এই উৎকৃষ্ট মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক নিত্য জপ কর। মহাযশ ধ্রুব মুনিকর্তৃক এইরূপ উপদিষ্ট হইয় তাহকে প্রণামপুৰ্ব্বক চষ্টান্তঃকরণে সনিয়মে পুৰ্ব্বমুখ হইয়া উক্ত মন্ত্র জপ করিতে লাগিলেন। ধ্রুব, এক বৎসর আলস্তগুষ্ঠ এবং শাকমূলক্ষলাহারী হইয়া অবিরত ঐ মন্ত্র জপ করিলেন। মহাত্মা প্রবের বুদ্ধিমেহোৎপাদনাথ, বেতাল, ঘোরতর রাক্ষস এবং সিংহাদি ভীষণ প্রবল জন্তুসকল, র্তাহার নিকটে বিচরণ করিতে লাগিল ; কিন্তু তিনি বাহুদেবনামজাপে একাগ্রচিত্ত হওয়াতে কিছুই জানিতে পারেন নাই। এক পিশাচী, মতি সুনীতির রূপধারণপূর্বক তাহার নিকট আসিয়া অতিশয় দুঃখিতচিত্তে রোদন করিতে লাগিল এবং তুমি আমার এক মাত্র পুত্র ; কি জষ্ঠ ক্লেশভোগ করিতেছ ; আমি অনাথ, আমাকে পরিত্যাগ করিয়া তপস্তা অবলম্বন করিয়াছ ? মুনীতি-রূপধারিণী পিশাচী এইরূপ মন কথা বলিতে লাগিল;-কিন্তু মহাতপ ধ্রুব, সে দিকে দৃষ্টিপাত না করিয়া হৃষ্টান্তঃকরণে হরিনাম জপ করিতে লাগিলেন ; কিছু দিন পরে আর কোনরূপ লিপ্পু রহিল না। অনস্তর কৃষ্ণ-জলধর কান্তি মহর্ষিগণ কর্তৃক স্কৃয়মান রিপুস্তদন ভগবান বিষ্ণু, সৰ্ব্বদেবগণে পরিবৃত হইয়া গরুড়ারোহণে ধ্রুবসমীপে সমাগত, হইলেন। মহাস্থ্যক্তি ধ্রুব, সেই জগদীশ্বর হৃষীকেশকে সমাগত দেখিয় “ইনি কে ?” এইরূপ চিস্ত করত অনিমেষ নয়নে একাগ্রভাবে র্তাহীকে দেখিতে দেখিতে বাসুদেব নাম জপ করিতে লাগিলেন । তখন, গোবিন্দ, পাঞ্চজন্ত শম্বের প্রান্তভাগ স্বারা প্রবের মুখ স্পর্শ করিলেন। ১৭—৩১ । ধ্রুব, ইহাতে পরম জ্ঞান লাভ করিয়া সৰ্ব্বলোকেশ্বর পুরুষোত্তম হরিকে কৃতাঞ্জলিপুটে স্তব করিতে লাগিলেন –হে শঙ্খ-চক্র-গদাধর । দেবদেবেশ প্রসন্ন হউন। হে সৰ্ব্বাত্মন! বেক্ষেও আপনার স্বরূপ নিরূপণ নাই। হে কেপৰ! আমি আপনার শরণাগত। যখন পরমাঙ্গরূপী জাপমাকে জানিতে সমকাদি মহধিগণ