এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
লিপিকা
৪
এদিকে দিব্যি ঠাণ্ডায় ভূতের রাজ্য জুড়ে “খোকা ঘুমোলো, পাড়া জুড়োলো।”
সেটা খোকার পক্ষে আরামের, খোকার অভিভাবকের পক্ষেও; আর পাড়ার কথা ত বলাই আছে।
কিন্তু “বর্গি এল দেশে।”
নইলে ছন্দ মেলে না, ইতিহাসের পদটা খোঁড়া হয়েই থাকে। দেশে যত শিরোমণি চূড়ামণি আছে সবাইকে জিজ্ঞাসা করা গেল “এমন হল কেন?”
তারা একবাক্যে শিখা নেড়ে বললে, “এটা ভূতের দোষ নয়, ভূতুড়ে দেশের দোষ নয়, একমাত্র বর্গিরই দোষ। বর্গি আসে কেন?”
শুনে সকলেই বল্লে, “তা ত বটেই!” অত্যন্ত সান্ত্বনা বোধ কর্লে।
দোষ যারই থাক্, খিড়্কির আনাচে-কানাচে ঘোরে ভূতের পেয়াদা, আর সদরের রাস্তায়-ঘাটে ঘোরে অভূতের পেয়াদা; ঘরে গেরস্তর টেঁকা দায়, ঘর থেকে বেরোবারও পথ নেই। একদিক থেকে এ হাঁকে, “খাজমা দাও” আরেক দিক থেকে ও হাঁকে “খাজনা দাও।”