আর মেয়েটি শাক-পাতা নিয়ে খেলার হাঁড়িতে বিনা আগুনে রাঁধচে; রাম খাবেন, তারি আয়োজনে সীতার একদণ্ড সময় নেই।
রাজা বললেন, “আর ত সব দেখচি, কিন্তু রাক্ষস কোথায়?”
ছেলেটীকে মানতে হল তাদের দণ্ডক বনে কিছু কিছু ত্রুটি আছে।
রাজা বললেন, “আচ্ছা, আমি হ’ব রাক্ষস।”
ছেলেটি তাঁকে ভাল করে দেখলে। তার পরে বললে, “তোমাকে কিন্তু হেরে যেতে হবে।”
রাজা বললেন, “আমি খুব ভাল হারতে পারি। পরীক্ষা করে দেখ।”
সেদিন রাক্ষসবধ এতই সুচারুরূপে হতে লাগল যে, ছেলেটি কিছুতে রাজাকে ছুটি দিতে চায় না। সেদিন এক বেলাতে তাকে দশ বারোটা রাক্ষসের মরণ একলা মর্তে হল। মর্তে মর্তে হাঁপিয়ে উঠলেন।
ত্রেতাযুগে পঞ্চবটীতে যেমন পাখী ডেকেছিল সেদিন সেখানে ঠিক তেমনি করেই ডাকতে লাগল। ত্রেতাযুগে সবুজ পাতায় পর্দ্দায় পর্দ্দায় প্রভাত আলো যেমন কোমল ঠাটে আপন সুর বেঁধে নিয়েছিল আজও ঠিক সেই সুরই বাঁধলে।