এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
লিপিকা
রাজা বিস্মিত হয়ে বললেন, “জয়লব্ধ পুরস্কার গ্রহণ করবে না?”
কৌশিক বললে, “জয় আমারই থাক পুরস্কার অন্তের হোক।”
অধ্যাপক বললেন, “মহারাজ আর এক বছর সময় তার পরে শেষ পরীক্ষা।”
সেই কথাই স্থির হল।
৫
কৌশিক পাঠশালা ত্যাগ করে গেল। কোনোদিন সকালে তাকে বনের ছায়ায় কোনোদিন সন্ধ্যায় তাকে পাহাড়ের চূড়ার উপর দেখা যায়।
এদিকে রুচির শিক্ষায় অধ্যাপক সমস্ত মন দিলেন। কিন্তু রুচির সমস্ত মন কোথায়?
অধ্যাপক বিরক্ত হয়ে বললেন, “এখনো যদি সতর্ক না হও তবে দ্বিতীয় বার তোমাকে লজ্জা পেতে হবে।”
দ্বিতীয় বার লজ্জা পাবার জন্যেই যেন সে তপস্যা করতে লাগল। অপর্ণার তপস্যা যেমন অনশনের, রুচির তপস্যা তেমনি অনধ্যায়ের। ষড়দর্শনের পুঁথি তার বন্ধই রইল, এমন কি, কাব্যের পুথিও দৈবাৎ খোলা হয়।