সিদ্ধি ১২৭ কাঠকুড়নির উপরে একদিন মন্দনবনের হাওয়া এসে লাগল, আর তার দেহ মন একটা কোন উৎসুক মাধুর্য্যের উন্মেষে উন্মেষে ব্যথিত হয়ে উঠল। তার মনের ভাবনাগুলি চাক-ছাড়া মৌমাছির মত উড়তে লাগল, কোথা তারা মধুগন্ধ পেয়েচে । ঠিক সেই সময়ে সাধনার একটা পালা শেষ হল। এইবার তাকে যেতে হবে নির্জন গিরিগুহায় । তাই সে চোখ মেলল । سافة সামনে দেখে সেই কাঠকুড়নি মেয়েটি খোপায় পরেচে একটি অশোকের মঞ্জরী, আর তার গায়ের কাপড়খানি কুসুম্ভ ফুলে রং করা । যেন তাকে চেনা যায় অথচ চেনা যায় না। যেন সে এমন একটি জানা স্থর যার পদগুলি মনে পড়চে না । যেন সে এমন একটি ছবি যা-কেবল রেখায় টানা ছিল— চিত্রকর কোন খেয়ালে কখন এক সময়ে তাতে রং লাগিয়েচে । তাপস আসন ছেড়ে উঠল। বললে, “আমি দূর দেশে যাব ।” কাঠকুড়নি জিজ্ঞাসা করলে, “কেন প্রভু ?” তপস্বী বললে, “তপস্যা সম্পূর্ণ করবার জন্তে ।” কাঠকুড়নি হাত জোড় করে বললে, “দর্শমের পুণ্য হতে আমাকে কেন বঞ্চিত করৰে ?”
পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।