এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
মুক্তি বিরহিণী তার ফুলবাগানের একধারে বেদী সাজিয়ে তার উপর মূৰ্ত্তি গড়তে বসল। তার মনের মধ্যে যে মানুষটি ছিল, বাইরে তারই প্রতিরূপ প্রতিদিন একটু একটু করে গড়ে, আর চেয়ে চেয়ে দেখে, আর ভাবে, আর চোখ দিয়ে জল পড়ে। কিন্তু যে রূপটি একদিন তার চিত্তপটে স্পষ্ট ছিল তার উপরে ক্রমে যেন ছায়া পড়ে আসচে। রাতের বেলাকার পদ্মের মত স্মৃতির পাপড়িগুলি অল্প অল্প করে যেন মুদে এল । মেয়েটি তার নিজের উপর রাগ করে, লজ্জা পায় । সাধনা তার কঠিন হ’ল, ফল খায় আর জল খায়, আর তৃণশয্যায় পড়ে থাকে। মূৰ্ত্তিটি মনের ভিতর থেকে গড়তে গড়তে সে আর প্রতিমূৰ্ত্তি রইল না। মনে হ’ল, এ যেন কোনো