S(t8 লিপিকা তেমনি আমার সচেষ্ট প্রাণ যখনি ছুটি পেল। তখনি সেই গভীর প্রাণের মধ্যে স্থান পেলুম যেখানে বিশ্বের আদিকালের লীলাক্ষেত্র। পথ-চলা পথিক যতদিন ছিলুম ততদিন পথের ধারের ঐ বট গাছটার দিকে তাকাবার সময় পাইনি ; আজ পথ ছেড়ে জানলায় এসেচি আজ ওর সঙ্গে মোকাবিলা সুরু হ’ল । আমার মুখের দিকে চেয়ে চেয়ে ক্ষণে ক্ষণে ও যেন অস্থির হয়ে ওঠে। যেন বলতে চায়, “বুঝতে পরিচ না !" আমি সান্তন দিয়ে বলি, “বুঝেচি, সব বুঝেচি ; তুমি অমন ব্যাকুল হোয়ে না।” কিছুক্ষণের জন্যে আবার শাস্ত হয়ে যায়। আবার দেখি, ভারি ব্যস্ত হয়ে ওঠে ; আবার সেই থরথর, ঝরঝর, ঝলমল । আবার ওকে ঠাণ্ড করে বলি, “হঁ। হা, ঐ কথাই বটে ; আমি তোমারই খেলার সাথী, লক্ষহাজার বছর ধরে এই মাটির খেলাঘরে আমিও গঙুষে গঙুষে তোমারি মত সূৰ্য্যালোক পান করেচি, ধরণীর স্তন্তরসে অামিও তোমার অংশী ছিলেম।” তখন ওর ভিতর দিয়ে হঠাৎ হাওয়ার শব্দ শুনি, ও বলতে থাকে হা, হা, হা ।
পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।