আগমনী Ꮌ&Ꮰ কাজ বন্ধ করে’ কান পেতে শুনি, পথ দিয়ে কেউ আস্চে কি না । ইচ্ছা হয়, আর ঘর না বাড়িয়ে ঘরে আলো জালি, আর সাজ-সরঞ্জাম ন৷ জুটিয়ে ফুলু-ফোটার বেলা থাকতে একটা মাল৷ গেথে রাখি । কিন্তু ভরসা হয় না। কারণ, আমার প্রধান মন্ত্রী হ’ল মন । সে দিন-রাত তার দাড়িপাল্লা আর মাপকাঠি নিয়ে ওজনদরে আর গজের মাপে সমস্ত জিনিষ যাচাই করচে। সে কেবলি বলচে, “আরো না হ’লে চলবে না।” “কেন চলবে না ?” “সে যে মস্ত বড় ।” “কে মস্ত বড় ?” বাস , চুপ। আর কথা নেই। যখন তাকে চেপে ধরি, “আমন করে এড়িয়ে গেলে চলবে না, একটা জবাব দিতেই হবে ।” তখন সে রেগে উঠে বলে, “জবাব দিতেই হবে, এমন কি কথা ? যার উদ্দেশ মেলে না, যার খবর পাইনে, যার মানে বোঝবার জো নেই, তুমি সেই কথা নিয়েই কেবল আমার কাজ কামাই করে দাও। আর আমার এই দিকটাতে তাকাও দেখি ! কত মামলা, কত লড়াই ; লাঠি সড়কি পাইক বরকন্দাজে পাড়া জুড়ে গেল ; মিস্ত্রীতে
পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।