স্বৰ্গ-মৰ্ত্ত্য ›ዓዓ ক্ষয় নেই। যুগ যুগ হ’তে অব্যাঘাতে তার এতই উন্নতি হয়ে এসেচে যে, বাহিরের অন্ত সমস্ত কিছু থেকে স্বর্গ বহুদূরে চলে গেছে। স্বর্গ তাই আজ একলা । ইন্দ্র। উন্নতিই হোক আর দুর্গতিই হোক ষাতেই চারদিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ আনে, তাতেই ব্যর্থতা আনে । ক্ষুদ্র থেকে মহৎ যখন সুদূরে চলে যায়, তখন তার মহত্ত্ব নিরর্থক হয়ে আপনাকে আপনি ভারগ্রস্ত করে মাত্র । স্বর্গের আলো আজ আপনার মাটির প্রদীপের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলেয়ার আলো হয়ে উঠেচে— লোকালয়ের আয়ত্তের অতীত হয়ে সে নিজেরও আয়ত্তের অতীত হয়েছে, নিৰ্ব্বাপনের শাস্তির চেয়ে তার এই শাস্তি গুরুতর। দেবলোক আপনাকে অতি বিশুদ্ধ রাখতে গিয়ে আপন শুচিতার উচ্চ প্রাচীরে নিজেকে বন্দী করেচে—সেই দুর্গম প্রাচীর ভেঙে গঙ্গপর ধারার মত মলিন মৰ্ত্তের মধ্যে তাকে প্রবাহিত করে? দিয়ে তবে তার বন্ধন মোচন হবে । তার সেই স্বাতন্ত্র্যের বেষ্টন বিদীর্ণ করবার জন্যেই আমার মন আজ এমন বিচলিত হয়ে উঠেচে । স্বর্গকে আমি ঘিরতে দেব মা, বৃহস্পতি, মলিনের সঙ্গে পতিতের সঙ্গে, অজ্ঞানীর সঙ্গে, দুঃখীর সঙ্গে তাকে মিলিয়ে দিতে হবে। বৃহস্পতি। তাহলে আপনি কি করতে চান ? ইন্দ্র । অামি পৃথিবীতে যাব। >ペ
পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৯৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।