স্বৰ্গ-মর্ত্য > Գծ আছে । সেই ভীরুর ভয় ভাঙিয়ে দিতে কি আনন্দ | সেই ব্যথিতার মনে আশার সঞ্চার করতে কি গৌরব ! সেই চন্দ্রকান্তমণিকিরীটিনী নীলাম্বরীসুন্দরী কেমন করে’ ভুলে গিয়েছে যে সে রাণী ! তাকে আবার মনে করিয়ে দিতে হবে যে, সে দেবতার সাধনার ধন, সে স্বর্গের চিরদয়িত । ইন্দ্র । আমি সেখানে গিয়ে তার দক্ষিণ সমীরণে এই কথাটি রেখে আসতে চাই যে, তারই বিরহে স্বর্গের অমৃতে স্বাদ চলে গেছে এবং নন্দনের পারিজাত মান ;—তাকে বেষ্টন করে ধরে যে সমুদ্র রয়েচে সেই ত স্বগের অশ্রু, তারই বিচ্ছেদ-ক্ৰন্দনকেই ত সে মর্ত্যে অনন্ত করে রেখেচে । কাৰ্ত্তিকেয়। দেবরাজ যদি অনুমতি করেন তাহ’লে আমরাও পৃথিবীতে যাই। বৃহস্পতি। সেখানে মৃত্যুর অবগুণ্ঠনের ভিতর দিয়ে অমৃতের জ্যোতিকে একবার দেখে আসি । কাৰ্ত্তিকেয়। বৈকুণ্ঠের লক্ষ্মী তার মাটির ঘরটিতে যে নিত্যনুতন লীলা বিস্তার করেচেন আমরা তার রস থেকে কেন বঞ্চিত হব ? আমি যে বুঝতে পারচি আমাকে পৃথিবীর দরকার আছে, আমি নেই বলেই ত সেখানে মানুষ স্বার্থের জন্তে নিলাজ হয়ে যুদ্ধ করচে, ধৰ্ম্মের জন্তে নয়।
পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।