স্বৰ্গ-মর্ত্য ১৮১ ভুল হয়, বা না দেখা দেয়, তারই উপর চিরদিন ভরস রাখতে হবে। 孚 কাৰ্ত্তিকেয়। কিন্তু সুররাজ, আপনার ললাটের চিরোজ্জল জ্যোতি আজ স্নান হ’ল কেন ? বৃহস্পতি । মর্ত্যে যে যাবেন তার গৌরবের প্রভা আজ দীপ্যমান হয়ে উঠুক। ইন্দ্র । দেবগুরু, জন্মের যে বেদনা সেই বেদন এখনি আমাকে পীড়িত করচে । আজ আমি দুঃখেরই অভিসারে চলেচি—তারই আহবানে আমার মনকে টেনেচে । শিবের সঙ্গে সতীর যেমন বিচ্ছেদ হয়েছিল, স্বগের আনন্দের সঙ্গে পৃথিবীর ব্যথার তেমনি বিচ্ছেদ হয়েচে —সেই বিচ্ছেদের দুঃখ এতদিন পরে আজ আমার মনে রাশীকৃত হয়ে উঠেচে । আমি চলুম সেই ব্যথাকে বুকে তুলে নেবার জন্যে। প্রেমের অমৃতে সেই ব্যথাকে আমি সৌভাগ্যবতী করে তুলব। আমাকে বিদায় দাও । কাৰ্ত্তিকেয় । মহেন্দ্র, আমাদের জন্তে পথ করে? দাও, আমরা সেইখানেই গিয়ে তোমার সঙ্গে মিলব। স্বৰ্গ আজ দুঃখের অভিযানে বাহির হোক । বৃহস্পতি। আমরা পথের অপেক্ষাতেই রইলুম, দেবরাজ। স্বর্গ থেকে বাহির হবার পথ করে দাও, নইলে আমাদের মুক্তি নেই। কাৰ্ত্তিকেয়। বাহির কর, দেবরাজ, স্বগের বন্ধন
পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।