পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাণী

চলে। তার মনটি যেন বেণুবনের উপরডালের পাতা, কেবলি ঝির্ ঝির্ করে কাঁপচে।

 আজ দেখি সেই দুরন্ত মেয়েটি বারান্দায় রেলিঙে ভর দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে—বাদলশেষের ইন্দ্রধনুটি বল্লেই হয়। তার বড় বড় দুটি কালো চোখ আজ অচঞ্চল, তমালের ডালে বৃষ্টির দিনে ডানা-ভেজা পাখীর মত।

 ওকে এমন স্তব্ধ কখনো দেখিনি। মনে হল, নদী যেন চল্‌তে চল্‌তে একজায়গায় এসে থম্‌কে সরোবর হয়েচে।

 কিছুদিন আগে রৌদ্রের শাসন ছিল প্রখর; দিগন্তের মুখ বিবর্ণ; গাছের পাতাগুলো শুক্‌নো, হল্‌দে, হতাশ্বাস।

 এমন সময় হঠাত্‍‌ কাল আলুথালু পাগ্‌লা মেঘ আকাশের কোণে কোণে তাঁবু ফেললে। সূর্য্যাস্তের একটা রক্ত-রশ্মি খাপের ভিতর থেকে তলোয়ারের মতো বেরিয়ে এল।

 অর্দ্ধেক রাত্রে দেখি দরজাগুলো খড়্খড়্ শব্দে