পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

গলি

 আমাদের এই শান-বাঁধানো গলি, বারে বারে ডাইনে বাঁয়ে এঁকে বেঁকে একদিন কি যেন খুঁজ্‌তে বেরিয়েছিল। কিন্তু সে যে দিকেই যায় ঠেকে যায়। এ দিকে বাড়ি, ও দিকে বাড়ি, সাম্‌নে বাড়ি।

 উপরের দিকে যেটুকু নজর চলে তাতে সে একখানি আকাশের রেখা দেখ্‌তে পায়—ঠিক তার নিজেরই মতো সরু, তার নিজেরই মতো বাঁকা।

 সেই ছাঁটা আকাশটাকে জিজ্ঞাসা করে, “বলো তো দিদি, তুমি কোন্ নীল সহরের গলি?”

 দুপুরবেলায় কেবল একটু খনের জন্যে সে সূর্য্যকে দেখে আর মনে মনে বলে, “কিচ্ছুই বোঝা গেল না!”