হিতৈষী মনে করে, নিছক দুষ্টমি, বেতের চোটে শোধন করা চাই।
দিদিমা গুরুমশায়ের গতিক দেখে চুপ। কিন্তু আপদ বিদায় হতে চায় না, এক যায় ত আর আসে। কথক এসে আসন জুড়ে বস্লেন। তিনি সুরু করে দিলেন এক রাজপুত্রের বনবাসের কথা।
যখন রাক্ষসীর নাক-কাটা চল্চে তখন হিতৈষী বল্লেন, ইতিহাসে এর কোনো প্রমাণ নেই; যার প্রমাণ পথে ঘাটে, সে হচ্চে তিন-চারে বারো।
ততক্ষণে হনুমান লাফ দিয়েচে আকাশে, অত ঊর্দ্ধে ইতিহাস তার সঙ্গে কিছুতেই পাল্লা দিতে পারে না। পাঠশালা থেকে ইস্কুলে, ইস্কুল থেকে কলেজে ছেলের মনকে পুটপাকে শোধন করা চল্তে লাগ্ল। কিন্তু যতই চোলাই করা যাক্, ঐ কথাটুকু কিছুতেই মর্তে চায় না, “গল্প বল!”
২
এর থেকে দেখা যায়, শুধু শিশুবয়সে নয়, সকল বয়সেই মানুষ গল্পপোষ্য জীব। তাই পৃথিবী জুড়ে মানুষের ঘরে ঘরে, যুগে যুগে, মুখে মুখে, লেখায় লেখায় গল্প যা জমে উঠেচে তা মানুষের সকল সঞ্চয়কেই ছাড়িয়ে গেছে।