এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গল্প
৪৫
মাণিকের সন্ধানে চলে সেও সত্য; আর সেই ভক্তিবিমুগ্ধ হনুমানের সরল বীরত্বের কথাও সত্য যে-হনুমান গন্ধমাদনকে উৎপাটিত করে আন্তে সংশয় বোধ করে না। এই মানুষের পক্ষে আরঞ্জেব যেমন সত্য, দুর্যোধনও তেমনি সত্য। কোন্টার প্রমাণ বেশী, কোন্টার প্রমাণ কম সে হিসাবে নয়; কেবল গল্প হিসাবে কোন্টা খাঁটি, সেইটেই তার পক্ষে সবচেয়ে সত্য।
মানুষ বিধাতার সাহিত্য-লোকেই মানুষ—সুতরাং না সে বস্তুতে গড়া, না তত্ত্বে—অনেক চেষ্টা করে’ হিতৈষী কোনমতেই এই কথা মানুষকে ভোলাতে পারলে না। অবশেষে হয়রান হয়ে হিতকথার সঙ্গে গল্পের সন্ধি-স্থাপন করতে সে চেষ্টা করে, কিন্তু চিরকালের স্বভাবদোষে কিছুতে জোড়া মেলাতে পারে না। তখন গল্পও যায় কেটে হিতকথাও পড়ে খসে, আবর্জ্জনা জমে ওঠে।