৪
আশ্চর্য্য করে দিলে। মামা এক সময়ে বস্বার ঘরে এসে দেখে, ছেলেটি ভারী ব্যস্ত।
কি কানাই, কি কর্ছিস্?
ভাগ্নে খুব আগ্রহ করে’ই দেখালে সে কি কর্চে। কেবল তিনটি মাত্র বই নয়, অন্ততঃ পঁচিশখানা বইয়ে ছাপার অক্ষরে কানাইয়ের নাম!
এ কি-কাণ্ড। পড়া-শুনোর নাম নেই, ছোঁড়াটার কেবল খেলা! আর এ কি-রকম খেলা!
কানাইয়ের বহু-দুঃখে-জোটানো নামের অক্ষরগুলি হাত থেকে সে ছিনিয়ে নিলে।
কানাই শোকে চীৎকার করে’ কাঁদে, তার পরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে, তার পরে থেকে থেকে দম্কায় দম্কায় কেঁদে ওঠে, কিছুতেই সান্ত্বনা মানে না।
বুড়ি ঝি ছুটে এসে জিজ্ঞেস কর্লে, “কি হ’য়েছে, বাবা?”
কানাই বল্লে, “আমার নাম।”
মা এসে বল্লে, “কি রে কানাই, কি হয়েছে?”
কানাই রুদ্ধকণ্ঠে বল্লে, “আমার নাম।”
ঝি লুকিয়ে তার হাতে আস্ত একটি ক্ষীরপুলি এনে দিলে, মাটিতে ফেলে দিয়ে সে বল্লে, “আমার নাম!”