এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সুয়োরাণীর_সাধ
৬৯
কুঁড়ে ঘর বানিয়ে দিলে। সে ঘর যেন তুলে-আনা বনফুল। যেম্নি তৈরি হল অম্নি যেন মুষড়ে গেল। বাস করতে গেলেম, কেবল লজ্জা পেলেম।
তারপরে একদিন স্নানযাত্রা।
নদীতে নাইতে গেছি। সঙ্গে একশো সাতজন সঙ্গিনী। জলের মধ্যে পাল্কী নামিয়ে দিলে, স্নান হল।
পথে ফিরে আস্চে, পাল্কীর দরজা একটু ফাঁক করে দেখি, ও কোন্ ঘরের বউ গা! যেন নির্ম্মাল্যের ফুল। হাতে সাদা শাঁখা, পরনে লালপেড়ে শাড়ি। স্নানের পর ঘড়ায় করে জল তুলে আন্চে, সকালের আলো তার ভিজে চুলে আর ভিজে ঘড়ার উপর ঝিকিয়ে উঠ্চে।
ছত্রধারিণীকে শুধোলেম, “মেয়েটি কে, কোন্ দেবমন্দিরে তপস্যা করে?”
ছত্রধারিণী হেসে বললে, “চিন্তে পারলে না? ঐ ত দুয়োরাণী।”
তারপরে ঘরে ফিরে একলা বসে আছি, মুখে কথা নেই। রাজা এসে বল্লে, “তোমার কী হয়েছে, কী চাই?’
আমি বল্লেম, “আমার বড় সাধ, রোজ সকালে