কিছুক্ষণ পরে তাঁহারা শান্ত হইলে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “এত বিলম্ব হইল কেন? কোন নূতন বিপদ উপস্থিত হইয়াছে কি?”
অনাথনাথ লজ্জিত হইয়া উত্তর করিলেন, “আজ্ঞে না—আপনার আশীর্ব্বাদে আর কোন নূতন বিপদ ঘটে নাই। আমার ইচ্ছা ছিল, নিজের গাড়ীতেই আসিব। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ গাড়ীখানির স্প্রীং খারাপ হইয়া যাওয়ায়, এই ভাড়াগাড়ী করিয়া আসিতে বাধ্য হইয়াছি। আপনি সেই পত্রের কিছু করিতে পারিলেন? বিমলা বড়ই চঞ্চল ও ভীত হইয়া পড়িয়াছে।”
আমি হাসিতে হাসিতে বলিলাম, “পত্রখানির মর্ম্মভেদ করিয়াছি। ওখানি কেবল সাবধান পত্র মাত্র। আমি একে একে সকল কথাই বলিতেছি।”
অ। এখানে কোন কথা বলিবেন না। যেখানে বলিলে বিমলা আপনার মুখের কথা শুনিতে পাইবেন, আপনাকে সেইস্থানে গিয়া বলিতে হইবে। তাহা হইলে বিমলা সুস্থ হইতে পারিবে।
আ। বেশ কথা। এই ঘরের ভিতর ঐ যে দরজা দেখিতেছেন, উহা খুলিলেই বাড়ীর অন্দর দেখিতে পাইবেন। যদি আপনার স্ত্রী ঐ ঘরের ভিতর গিয়া বসেন, তাহা হইলে তিনি অনায়াসে আমাদের সকল কথাই শুনিতে পাইবেন।
অ। ভাল, আপনি সেইরূপই বন্দোবস্ত করিয়া দিন।
আমি তখন একজন দাসীকে ডাকিয়া সমস্ত কথা বলিয়া দিলাম। সেও অনাথ বাবুর স্ত্রীকে লইয়া সেই গৃহ মধ্যে প্রবেশ করিল এবং তাঁহাকে একস্থানে বসিতে বলিয়া নিজে তাহার নিকট দাঁড়াইয়া রহিল।