২৪
দারোগার দপ্তর, ১৯৬ সংখ্যা।
অনাথনাথ আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেমন করিয়া জানিতে পারিলেন?”
আমি হাসিয়া বলিলাম, “যেরূপেই জানিতে পারি, আপনি বলুন, আমার অনুমান সত্য কি না?
অ। আপনার অনুমান সম্পূর্ণ সত্য কিন্তু আমি আশ্চর্য্য হইয়াছি যে, আপনি কেমন করিয়া তাহা জানিতে পারিলেন। তিনি শূকরের ব্যবসায় করিতেন, এ কথা আমিও জানিতাম না। একদিন একখানা পত্র পাঠ করিয়া জানিতে পারিলাম যে, তিনি ঐ প্রকার কার্য্য করিতেন।
আ। সেই জন্যই তাঁহার পুত্রদ্বয় ও তিনি অদৃশ্য হইয়াছেন এবং কন্যাও কোন্দিন অন্তর্দ্ধান হইবেন বলা যায় না। সোনার শূকরটী তিনি ইচ্ছা করিয়াই প্রস্তুত করাইয়াছিলেন।
অ। কারণ কি? বিমলাকে দিবার জন্য?
আ। না—না; ঐ প্রকার শূকর এদেশে জন্মায় না। তাঁহার ইচ্ছা ছিল; ঐ রকম শূকরের ব্যবসায় করেন। উহা এদেশে প্রস্তুত বটে কিন্তু কোন বিখ্যাত ইংরাজ-কারিগরের দ্বারা গঠিত।
অ। পত্রখানির অর্থ কি? কেমন করিয়া উহার অর্থ বোধ হইল?
আমি যেমন করিয়া সাজাইয়া উহার অর্থ উপলব্ধি করিয়াছিলাম, তাহা তাঁহাকে দেখাইয়া দিলাম।
তিনি আমার কার্য্যে সন্তুষ্ট হইলেন। আমি বলিলাম, আরও দুইবার এই প্রকার পত্র পাইবেন। তাহার পর আপনার স্ত্রীর সমূহ বিপদ, এখন তত ভয়ের কারণ নাই।
অনাথনাথ কিছুক্ষণ কোন কথা কহিলেন না। তাঁহাকে