লে খ কে র ক থা
হলেন বা নাম-করা লেখক, নতুন চিন্তা আর অভিজ্ঞতার কতই বা তার পুঁজি! পুঁজি খরচ করে বই লিখে তবেই তো নাম-করা লেখক হয়েছেন! পুঁজি ফুরিয়ে গেলে উপায়? পুঁজি বাড়াবার উপায় নেই, বেশি লিখে নতুন চিন্তা ও অভিজ্ঞতার পুঁজি সঞ্চয় করার সময় কই!
অগত্যা বলা কথাই আবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নতুনভাবে বলার চেষ্টা।
ব্যস্, খতম হয়ে গেল সাহিত্য সাধনা।
‘পেশাদার’ সাহিত্যিক বলে তাই কোন জীব হয় না। যে ‘পেশাদার’ সে সাহিত্যিক নয়। পৃথিবীর সর্বত্র এই নিয়ম।যে দেশে প্রচুর সাহিত্য বিক্রি হয়, নাম হলে লেখকের জীবিকার চিন্তা করতে হয় না—বাংলা দেশের সাহিত্যিকের সঙ্গে সে দেশের সাহিত্যিকের তফাত শুধু এই যে, পেটের চিন্তায় বিব্রত না হয়ে অকাজে সময় নষ্ট না করে সাহিত্যিক সাহিত্য-সাধনা চালিয়ে যেতে পারেন।
টাকার জন্য লিখলে সে দেশের সাহিত্যিকের ও সাহিত্যের অপমৃত্যু অবধারিত। সাহিত্য সৃষ্টি করে যে অর্থ মেলে তাতে সন্তুষ্ট না থেকে বেশি টাকা চাওয়া মানে এ ক্ষেত্রেও ক্রেতার মন যোগানো এবং বেশি লেখা।
বহুদিন ধরে অনেক বই লেখার পর পুরানো বইয়ের নতুন নতুন সংস্করণ হওয়া, সিনেমা রাইট বিক্রি হওয়া ইত্যাদি কারণে কোন বিশেষ সাহিত্যিকের ক্ষেত্রে হয়তো
৪২