প্র তি ভা
প্রতিভা সম্পর্কে সাধারণ লোকের—এবং স্বয়ং প্রতিভাবানদেরও—ধারণা আছে ওটা এক ঈশ্বরদত্ত রহস্যময় জিনিস। প্রতিভাকে এরকম রহস্যময় পদার্থ মনে করার ফলে লেখক-কবিদের এ জিনিসটার ওপর প্রায় একচেটিয়া অধিকার জন্মে গিয়েছে। বড় বৈজ্ঞানিকের ‘বৈজ্ঞানিক প্রতিভা’ থাকে কিন্তু বড় একজন কবি নিজেই প্রতিভা। বৈজ্ঞানিকের বেলা প্রতিভার অর্থ বিশেষ ক্ষমতা, কবির বেলা প্রতিভার অর্থ দুর্বোধ্য একটা গুণ। এর কারণটা অনুমান করা সহজ—লেখক-কবিদের সাধারণ লোক মানুষের পঙক্তি থেকে তফাতে সরিয়ে এক বিশেষ শ্রেণীর রহস্যময় জীব করে রেখেছে। এরকম ধারণা সৃষ্টির জন্য দায়ী অবশ্য লেখক-কবিরাই।
কিন্তু সেটা কে খেয়াল রাখে? লেখক-কবিরা তো খুশি হয়ে গর্বের সঙ্গে তাঁদের সম্বন্ধে সাধারণের এই ধারণাকে গ্রহণ করে নিজেদের সম্পর্কে নিজেদের ধারণায় পরিণত করে নিয়েছেন—তাঁদের প্রতিভা স্বতন্ত্র, অন্য সবরকম গুণী থেকে তাঁরা পৃথক। বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, নেতা, গায়ক, অভিনেতা, চিত্রশিল্পী সকলে গুণী—লেখক-কবি গুণীর মধ্যে গুণী, তাঁর জাতই আলাদা। তা, একথা কে অস্বীকার করবে
৪৬