প্রে স মা লি ক দে র ষ ড় য ন্ত্র
দিয়ে একটি অস্ত্রে বাঙালী লেখক প্রকাশক সাধারণ পাঠককে ও ছাত্রছাত্রীকে কাবু করে প্রেস মালিক সমিতি বাঁচার যুদ্ধে বাঙালীর বৈপ্লবিক চেতনার অদ্ভুত জাগরণে ভীতগ্রস্ত শত্রুদের খুশি ও নিশ্চিন্ত করে দিয়েছেন। লিখে কোনদিন বাঙালী লেখকের পেট ভরেনি, বইয়ের লাভের যে সামান্য অংশ লেখকের জুটতো, এবার তা প্রেস মালিকদের গ্রাসে যাবে। তবু যদি সাহিত্য-ব্রতী না লেখা ছাড়েন —জীবিকার জন্যই তাঁকে অপচয় করতে হবে বেশির ভাগ শক্তি ও সময়। অখ্যাত উদীয়মান ও অল্পখ্যাত লেখকদের পাণ্ডুলিপি পচবে, প্রকাশকের সাহস হবে না তাদের বই ছাপিয়ে প্রকাশ করতে, বই মার খেলেও অন্তত মোটামুটি খরচ উঠে আসার নিশ্চয়তা শেষ হয়েছে। উৎসাহী প্রকাশক নিত্য নূতন বই প্রকাশের প্রচেষ্টা গুটিয়ে আনবেন, সাহিত্যিক মূল্য আছে এমন বইয়ের বদলে নজর দেবেন সস্তা চটকদার বই প্রকাশের দিকে, বেশি দাম দিয়ে টাকাওলা খদ্দেররা যে বই কিনবে উপহারের জন্য, যৌন বা ডিটেকটিভ থ্রিলের নেশা মেটাতে। যুদ্ধের বাজারে কাগজের দুর্মূল্যতা ও দুষ্প্রাপ্যতা, ছাপা বাঁধাইয়ের দর বৃদ্ধি, সরকারী কনট্রাক্টের মুনাফার দম্ভে বাংলা বই ছাপানো সম্পর্কে প্রেস মালিকদের নির্লজ্জ অবজ্ঞা এবং আরো নানা অসুবিধা সত্ত্বেও পুস্তক প্রকাশের ব্যবসায়ে নবজীবনের সূচনা দেখা দেয়। বাঙালী বই কেনে না অপবাদ মিথ্যা প্রমাণিত
৭৩