লে খ কে র ক থা
করেছিল শিক্ষিত বাঙালী উপার্জনের দুযোগ পেয়েই। ১৯৪৬ সালে প্রেস মালিক সমিতি যুদ্ধপূর্ব হারের তুলনায় ছাপার চার্জ তিনগুণ করায় বইয়ের দাম বেড়ে যাওয়াতেও বইয়ের বাজারে মন্দা আসেনি। বরং কাগজ একটু বেশি পাওয়া যেতে থাকায় প্রকাশিত পুস্তক ও সাময়িক পত্রিকার সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। যুদ্ধোত্তর ব্যাপক ছাঁটাই ও অর্থ নৈতিক অবনতিও শিক্ষিত বাঙালীর বই কিনে পড়ার নবজাগ্রত ক্ষুধার চাহিদাকে দমাতে পারেনি। দাঙ্গাহাঙ্গামার কলঙ্কিত অধ্যায় শুরু না হলে বই বিক্রির সংখ্যা থেকেই প্রমাণ হয়ে যেতো সন্দেহ নেই যে, গরীব বাঙালীর মনের খোরাক সংগ্রহেরও অনিবার্য প্রয়োজনীয়তা বোধ কমার বদলে দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু খাদ্যের দাম বাড়তে বাড়তে একটি সীমা ছাড়িয়ে গেলে সাধারণ লোক দুর্ভিক্ষে না খেয়ে মরে। মালিকদের রেটে ছাপাতে হলে বইয়ের দামও সেই সীমা ছাড়িয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষকে মানসিক দুর্ভিক্ষ বরণ করতে বাধ্য করবে। অনেক ছাত্রকে পাঠ্য পুস্তকের অত্যধিক দামের জন্য পড়া ছাড়তে হবে, স্কুল কলেজের শিক্ষার খরচের চাপে যে অসংখ্য ছাত্রও তাদের পরিবারকে অনেক কিছু 'ত্যাগ' স্বীকার করতে হয়, আরও খানিকটা ত্যাগের প্রয়োজন দেখা দেবে তাদের দুর্বহ জীবনে।
প্রেস মালিক সমিতি ছাপার হার এভাবে বাড়াবার
৭৪