পাতা:লেখকের কথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

প্রে স মা লি ক দে র ষ ড় ষ ন্ত্র

কোন কারণ দেখাননি। দেখাবার মতো কোন কারণ নেই। প্রেস কর্মীদের বেতন বাড়েনি, সরঞ্জামের দাম বাড়েনি, সরকারী কোন নতুন ট্যাক্স ঘাড়ে চাপেনি,— এমনও নয় যে, বাংলার প্রতি প্রীতি বশতঃ প্রেস মালিকরা এতকাল লোকসান দিয়ে বাংলা বই ছেপে আসছিলেন। বাংলা বই ছাপাবার জন্য মুনাফার হার কমেনি, বরং বইয়ের সংখ্যা বাড়ায় কাজের চাপের অজুহাতে একান্ত অবহেলার সঙ্গে যেমন তেমন করে খুশিমতো ছাপিয়ে দেবার স্বাধীনতা জুটেছে। যুদ্ধকালীন কনট্র্যাক্টের মোটা মুনাফা কমেছে কিন্তু বাংলা বইয়ের ঘাড় ভেঙে কি যুদ্ধোত্তর কালেও মুনাফার সেই স্ফীতি বজায় রাখার চেষ্টা চলবে? স্টেট্সম্যানে শ্রীযুক্ত 'বুদ্ধদেব বসুর প্রতিবাদ পত্রের জবাবে প্রেস মালিক যে সংক্ষিপ্ত ও অর্থহীন কৈফিয়ত দিয়েছেন তাতে ১৯৪৬ সালের মোট হার ১৯৪৭ সালে ডবল করা হলো কেন তার কোন উল্লেখযোগ্য যুক্তি নেই, বরং আত্মসমর্থনে একটি মজার কথা আছে। প্রকাশকেরা বই বিক্রি করে অন্যায়রকম লাভ করেন, যে লাভ একটু কমালেই নাকি বইয়ের দাম বেশি না বাড়ালেও চলবে, লেখক বা সাধারণের ক্ষতি হবে না। কোন কোন প্রকাশক বই থেকে অন্যায় লাভ করেন সত্য, কিন্তু সেটা করেন লেখকের ন্যায্য পাওনা ফাঁকি দিয়ে। একটি সংস্করণের সমস্ত বই বিক্রি হবে ধরে নিয়েও (যে সৌভাগ্য খুব অল্পসংখ্যক বইয়ের ঘটে)

৭৫