পাতা:লেখকের কথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

লে খ কে র ক থা

যাবেন এরকম শিশুর মতো অভিমানী লেখককে শুধু ধমক দিয়ে চটানো কেন, মেরে ধরে কাঁদালেই বা কি আসে যায়? দুটো মিষ্টি কথার লজেন্স দিলেই তো আবার তার মুখে হাসি ফুটবে!

 নিজের লেখার সমালোচনা নিয়ে বাদপ্রতিবাদে নামার প্রথা চালু করার বিপদ বরং লেখকদেরই,—নীতিভঙ্গের বিপদ।

 নিজের বই সম্পর্কে কোন সমালোচনার জবাবে লেখকের কিছু বলা সাংঘাতিক অনিয়ম।

 নিন্দা বা প্রশংসা, অন্যায় আক্রমণ বা পিঠচাপড়ানো -এ সম্পর্কে তো বটেই, বই-এর কাহিনী, আঙ্গিক, শিল্পমূল্য ইত্যাদির বিচার-বিশ্লেষণ, সমালোচনা সঠিক বা বেঠিক হয়েছে সে বিষয়েও লেখক মুখ বুজে থাকতে বাধ্য। একটি গল্প বা উপন্যাস লিখে বাজারে ছাড়া পর কে কোথায় কেন কিভাবে কি বলছে না বলছে লেখক নীরবে শুনে যাবেন। নির্ভেজাল সদিচ্ছা ও সৎসাহস নিয়ে নিজে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে, সমালোচনার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণকে স্বীকৃতি দিয়ে বা প্রতিবাদ জানিয়ে লেখক কিছু বলতে গেলেই সেটা দাঁড়াবে লেখকের নিজের ব্যক্তিত্ব খাটিয়ে ও প্রচার চালিয়ে পাঠক ও সমালোচক মহল বইখানা কিভাবে নেবেন তাদের সেই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা।

 কিভাবে লিখবেন সে স্বাধীনতা লেখকের। সে লেখা

৭৮