পাতা:লেখকের কথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সা হি ত্য স মা লো চ না  প্র স ঙ্গ

বিচার করার স্বাধীনতা সকলের। এইজন্য অসৎ সমালোচকের উদ্দেশ্যমূলক সস্তা গালাগালিও লেখক নীরবে উপেক্ষা করবেন। অসৎ সমালোচককে শায়েস্তা করার দায় অবশ্য অন্যান্য সৎ সমালোচকের এবং সাহিত্য-রসিকের।

  নিজের বই সম্পর্কে নীরব থাকার নীতি কিন্তু লেখকের সমালোচক হবার স্বাধীনতা হরণ করে না। সাধারণভাবে সাহিত্যের এবং অন্যের বই-এর সমালোচনা করার অধিকার তাঁর সকলের মতোই বজায় থাকে। নিজের বই সম্পর্কে সমালোচকের বিচার-বিশ্লেষণ এবং মতামত সম্পর্কে চুপ করে থাকা নিয়ম হলেও সমালোচকের স্কুল অবাস্তব ভুল বা বিকৃতিগুলি লেখক দেখিয়ে দিতে পারেন। বই-এ যা আছে সমালোচনায় তা বিকৃত করলে অথবা যা নেই তা টেনে আনলে লেখকের প্রতিবাদ জানানো দোষের নয়।

  যেমন, 'ইতিকথার পরের কথা'র “জমিদার-নন্দন” বিলাত ফেরত উচ্চশিক্ষিত নায়কের নামে অচ্যুতবাবু অপবাদ দিয়েছেন যে, “আজকে, একচেটিয়া পুঁজিবাদের যুগে” তার মাথায় “গ্রামাঞ্চলে শিল্পবিস্তার করে জনসাধারণের জীবন উন্নয়ন” করার “বালখিল্য” কল্পনা এসেছে—সে আদর্শ “প্রথম অসহযোগ আন্দোলনের পর স্বাভাবিক ছিল।”

 এটা অচ্যুতবাবুর সম্পূর্ণ মনগড়া অপবাদ। বইটির

৭৯