লে খ কে র ক থা
কথাই। কিন্তু পাঠক সমাজ নাড়া খাচ্ছে না, সাড়া দিচ্ছে না, গ্রহণ করছে না——এটাই কি বাংলার প্রগতিবাদী লেখকদের অভিজ্ঞতার শিক্ষা? পাঠক পাঠিকা —অর্থাৎ দেশের লোকের উপেক্ষা বা খাতিরটাই সাহিত্যের সার্থকতার নিরিখ। বাংলার লেখকরা অভিজ্ঞতা থেকে এই শিক্ষা লাভ করেছেন? লোকের মুখ চেয়ে বাংলার লেখকেরা দিশেহারার মতো একবার “প্রচারধর্মী” এবং একবার “সূক্ষ্মভাবে আঙ্গিক-সর্বস্ব” হয়ে যাচ্ছেন!
অচ্যুতবাবুর এ সিদ্ধান্ত মানতে পারলে আমি নিজে অন্তত চিরদিনের জন্য লেখা বন্ধ করে সাহিত্যের ক্ষেত্র থেকে দূরে সরে গিয়ে বড়বাজারে মশলার দোকান নিতাম।
দেশের লোকের গ্রহণ বা বর্জনের প্রশ্নটা মোটেই তুচ্ছ নয়—লেখকের কাছে বরং সেটাই প্রধান কথা। দেশের জন্যই তো লেখক লেখেন। কিন্তু লেখক কি নিজের স্বার্থে লেখেন? দেশের লোকের আদর আর অনাদরের হিসাবটা কি লেখক কষবেন নিজের স্বার্থের মানদণ্ডে?
নিজের স্বার্থে পাঠকদের কাছে পাত্তা পাবার জন্য “প্রচারধর্মী” হয়ে সাহিত্যের আসরে নেমে সুবিধা হচ্ছে না দেখে “অভিজ্ঞতার শিক্ষা” স্বীকার করে পাঠকের মন যোগানোর জন্য ভোল পাল্টে লেখক “সূক্ষভাবে আঙ্গিক-সর্বস্ব” হবেন?
অচ্যুতবাবু কী করে বাংলার লেখকদের এরকম ছোটলোক (খারাপ লোক অর্থে—গরীব চাষী মজুর অর্থে
৮২