পাতা:লেখকের কথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সা হি ত্য স মা লো চ না প্র স ঙ্গ


নয়) ভাবতে পারলেন কল্পনা করতেও আমার বিস্ময়ের সীমা থাকছে না।

 লেখক কে? পিতার মতো যিনি দেশের মানুষকে সন্তানের মতো জীবনাদর্শ বুঝিয়ে শিখিয়ে পড়িয়ে মানুষ করার ব্রত নিয়েছেন। পিতার মতো, গুরুর মতো জীবনের নিয়ম অনিয়ম, বাঁচার নিয়ম অনিয়ম শেখান বলেই অল্পবয়সী লেখক-শিল্পীও জাতির কাছে পিতার মতো, গুরুর মতো সম্মান পান। দেশের মানুষের মন যোগাতে চেয়েছিল বলে কি আমাদের কিশোর কবি সুকান্তকে দেশের বালবৃদ্ধবণিতা এত ভালোবাসে এত সম্মান করে? দেশের মানুষকে সন্তানের মতো দেখে কাব্যের মারফতে তাদের মানুষ করার ব্রত নিয়েছিল বলেই কিশোর কবিকে জাতি পিতার আসনে বসিয়েছে।

 এটাই আসল কথা। দেশের লোকের সস্তা খাতিরকে লেখক-শিল্পী খাতির করেন না। দরকার হলে দেশের মানুষকে কান মলে শাসন করার অধিকার খাটাতে লেখক-শিল্পীর দ্বিধা বা ভয় হবার কথা নয়। তেতো ওষুধ খেতে পচ্ছন্দ করবে না বলে বাপ কি রুগ্ন শিশুকে ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকেন? নানাভাবে মন ভুলিয়ে ধমক দিয়ে শাসন করে ওষুধ খাওয়ান।

 কাজেই বাংলার লেখকদের “অভিজ্ঞতার শিক্ষা” “মনস্তত্ত্বগত” কারণে তাঁদের সৃষ্টিতে কতকগুলি বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব ঘট। প্রভৃতি বিচার অচ্যুতবাবু যে দৃষ্টিভঙ্গি থেকে

৮৩