লে খ কে র ক থা
করেছেন তা সঠিক ধরে নিলে বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশান্বিত হবার বদলে চরম হতাশা জাগাই স্বাভাবিক।
অচ্যুতবাবুর আঙ্গিকের বিচারও ত্রুটিপূর্ণ।
‘ইতিকথার পরের কথা'র চরিত্রগুলি 'আধা-নিউরোটিক কৃষক' আর ‘পুরো নিউরোটিক জমিদার-নন্দন' হয়ে দাঁড়িয়েছে কিনা—লেখকের নীরব থাকার নীতি অনুসরণ করেই যে আমি এ বিষয়ে কিছু বলবো না তা নয়, বলবার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু আঙ্গিক বিচারের যে নীতি অচ্যুতবাবু এখানে তুলে ধরেছেন আমি সেটা ভুল মনে করি।
অচ্যুতবাবু বলেছেন, “বৃহত্তর জীবন-সত্যকে রূপায়িত করতে হলে জীবনের খণ্ড খণ্ড অংশ একত্র করলেই চলবে না।······ খণ্ডগুলিকে সমন্বিত করে এমন একটা সামগ্রিক রূপ দিতে হবে যাতে এই সামগ্রিকতা যে কোন খণ্ড অংশকে অতিক্রম করে যাবে।”
তাঁর মতে, জীবনের খণ্ডিত অংশগুলি সমন্বিত করে তাতে এই সামগ্রিকতা না-দেওয়ার কৌশল কেবল সমাজের সংকীর্ণ ক্ষয়িষ্ণু একটা অংশের জীবন-সত্যকে (বাংলার মধ্যবিত্ত) রূপ দেওয়ার পক্ষে ‘অদ্ভুত উপযোগী'। জীবনের খণ্ড খণ্ড অংশ একত্রিত করে এই সামগ্রিকতা এনে দেওয়া বা না দেওয়াটা কি ব্যাপার? আমি তো জানি জীবনের খণ্ড খণ্ড অংশ বাছাই করে শিল্পকলা খাটিয়ে
৮৪