সা হি ত্য স মা লো চ না প্র স ঙ্গ
সাজিয়ে গেঁথে দেওয়াই গল্প উপন্যাস লেখার আঙ্গিকের মোট কথা—তারপর আর কি করার থাকে লেখকের?
জীবনের খণ্ডিত অংশগুলি লেখকের বেছে নেবার কথা খেয়াল করেননি বলে অচ্যুতবাবু বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। সমাজের খণ্ডিত ও বিচ্ছিন্ন অংশের জীবন-সত্যই হোক, আর সমাজের বৃহত্তর জীবন-সত্যই হোক, সে সত্য কতটুকু রূপায়িত হবে তা নির্ভর করবে জীবনের খণ্ডগুলি বেছে নেওয়ার উপর। এই বেছে নেওয়ার কাজটা ঠিকমতো না হলে হাজার শিল্পকৌশল প্রয়োগ করেও লেখক সত্যকে রূপ দিতে পারবেন না।
জীবনের খণ্ডাংশগুলি স্বভাবতঃই বাছাই হবে লেখকের চেতনা অভিজ্ঞতা অর্থাৎ জীবন-দর্শন অনুসারে। জীবন-সত্যকে রূপায়িত করার জন্য তাই প্রধান কথা হলো লেখকের ওই জীবন-সত্যটা ধরতে পারা ।
শুধু বুদ্ধি দিয়ে জানা নয় যে, সমাজজীবনে ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে পুনর্গঠনের কাজও চলছে—ভাঙাগড়ার প্রক্রিয়াটা কি ভাবে ঘঠছে কেন ঘটছে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে জানা, চেতনায় উপলব্ধি করা।
মহাত্মা গান্ধীকে তাঁর খণ্ডগুলির যোগফল হিসাবে দেখলে অবশ্যই তাঁকে নিউরোটিক মনে হবে, কিন্তু গান্ধীচরিত্র ঠিকমতো ফোটাতে গেলে বাছাই করে নিতে হবে তাঁরই বিশেষ কতগুলি খণ্ড। কোন খণ্ডগুলি বেছে গান্ধীচরিত্রকে কেমন রূপ দেবেন তা নির্ভর করবে কে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে
৮৫