পাতা:লেখকের কথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

লে খ কে র ক থা

গান্ধীজিকে দেখে কোন খণ্ডগুলি বাছাই করবেন। একজন মার্ক্‌সবাদী এবং একজন অন্ধ গান্ধীভক্তের খণ্ড বাছাই করা স্বভাবতঃই একরকম হবে না এবং দু’জনের আঁকা গান্ধীচরিত্রও একরকম হবে না ।

 প্রিয়-বিরহকাতুরা রমণীর চব্বিশ ঘণ্টার চিন্তার তালিকা পড়লে হাসি পাবে সত্যই। কিন্তু এই উদাহরণটি তুলে ধরার মধ্যেও জীবন সত্য রূপায়ণে আঙ্গিকের ভূমিকা সম্পর্কে অচ্যুতবাবুর বিভ্রান্তি ধরা পড়ে। বিরহকাতুরার চব্বিশ ঘণ্টার চিন্তার মধ্য থেকে বাছাই করা চিন্তা নিয়ে ওস্তাদ শিল্পী কেন অনবদ্য সার্থক সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারবেন না, যা পড়লে হাসি পাওয়ার বদলে অভিভূত করে দেবে? বিরহকাতুবার মনে কি প্রিয়তম ও অন্যান্য মানুষের সঙ্গে বিচিত্র বাস্তব জীবন সংগ্রামের স্মৃতি এবং আরও অনেক বাস্তব চিন্তা রেখাপাত করে না? কেউ যদি বিরহকাতুরার কেবল ছাঁকা বিরহ-বেদনা ঘটিত চিত্তা বেছে নিয়ে ব্যথার কাব্য রচনা করেন সেটা তাঁর জীবনদর্শনের বৈশিষ্ট্যের জন্যই করবেন।

  বন্ধুবর গোপাল হালদারের সাহিত্য সম্পর্কে অচ্যুতবাবু বলেছেন: ‘গোপালবাবুর আঙ্গিকে তাঁর বুদ্ধিজীবী সত্তার স্বাক্ষর রয়েছে। তার ফলে তাঁর উপন্যাসে কি ঘটেছে তাও সুন্দরভাবে উপস্থিত করেছেন এবং গোপালবাবুর উপন্যাসের চরিত্রগুলি কেন মেটাফিসিক্যাল, কেন তারা বদলায় না, কেন “কাহিনীর পর কাহিনী যোগ হয়ে যায়

৮৬