পাতা:লেখকের কথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সা হি ত্য  স মা লো চ না  প্র স ঙ্গ

কিন্তু তাতে জীবনের কোন অন্ধকার কোণে নতুন আলোকপাত ঘটে না”—এর কারণ অচ্যুতবাবু বলছেন— এটাই তাঁর “আঙ্গিকের বিশেষত্ব”।

 অচ্যুতবাবু অত্যন্ত স্পষ্টভাবে অনুযোগও দিয়েছেন যে, গোপালবাবু তাঁর বই-এ একটিমাত্র কৃষক চরিত্রও আনতে সাহস পাননি।

 অথচ অচ্যুতবাবুর কাছে এ সত্য স্পষ্ট নয় যে, বুদ্ধিজীবী সত্তার জন্যই গোপালবাবুকে জীবনের এমন অংশগুলি বেছে নিতে হয় যাতে তিনি তাঁর ডায়ালেকটিক চিন্তাধারাকে কাহিনীর পর কাহিনী সাজিয়ে প্রকাশ করতে পারেন।

 আঙ্গিকের ভূমিকা সম্পর্কে বিভ্রান্তির জন্যই বর্তমান প্রগতি সাহিত্য সম্পর্কে অচ্যুতবাবু “আশান্বিত” হবার কারণে খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রবন্ধের গোড়াতেই তিনি প্রগতিশীল শিল্পের স্থূল সংজ্ঞা নির্দেশ করতে গিয়ে সমাজ-জীবনের বাস্তবতার উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সাহিত্যের বাস্তবতা বিচার করতে নেমে ওই বাস্তবতাকে পিছনে ঠেলে দিয়েছেন। সাহিত্যের বাস্তবতার বিচার অর্থাৎ সমাজ-জীবনের বাস্তবতায় যে জীবন-সত্য সাহিত্যে তা কিভাবে কতটুকু রূপায়িত হচ্ছে বা হচ্ছে না তার বিচার যে সর্বদা সমাজ-জীবনের বাস্তবতার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে করা দরকার এটা খেয়াল না রাখায় অচ্যুতবাবুর বিচার বিশ্লেষণ অবৈজ্ঞানিক হয়ে গিয়েছে।

 এদিকে আবার সঠিক জীবন-দর্শনের গুরুত্ব সম্পর্কে অচ্যুতবাবু মোটেই অচেতন নন। বর্তমান বাংলা প্রগতি

৮৭