পাতা:লেখকের কথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সা হি ত্য স মা লো চ না  প্র স ঙ্গ

হলে প্রগতিশীল সাহিত্য হয় না, এ ধারণা ভুল। জীবনের যে কোন একটি ক্ষুদ্র অংশের মধ্যে রোগ এবং রোগারোগ্যের প্রচেষ্টা মিলিয়ে আধুনিক সমাজব্যবস্থার যে-সমস্যা তার প্রতিফলন আবিষ্কার করা যায়।”

 এত অল্প কথায় অচ্যুতবাবু সমকালীন বাস্তবতার জন্য লেখকদের সমস্যা কি ও তার সমাধান কি তা ধরে দিয়ে এবং সমগ্র প্রবন্ধটির বিচার-বিশ্লেষণে দৃষ্টির গভীরতার পরিচয় দিয়েও আসল বিচারে কেন গোলমাল করে ফেললেন ভেকে প্রথমটা আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর আবিষ্কার করলাম যে, অনেক আনুষঙ্গিক সত্যকে সঠিকভাবে জেনেও সেইগুলিকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রয়োগ করতে না পারায় এই বিভ্রাট ঘটেছে।

  তিনি বলছেন “আসল কথা হলো: প্রগতিশীল লেখকদের আজকে এমন একটা সমস্যার সামনে পড়তে হয়েছে যা কোন কালের কোন লেখককে উপলব্ধি করতে হয়নি।” কিন্তু আজকের লেখকদের সমস্যাটা বিশেষ কেন—আজকের বাস্তবতা বিশেষ বলেই তো? সেইজন্যই আজ লেখকের প্রয়োজন জীবনের ঐতিহাসিক গতি-প্রকৃতির মূল নিয়ম জানার সঙ্গে বাস্তব জীবনকে ঘনিষ্ঠভাবে জানা এবং তার গতি-প্রকৃতির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য উপলব্ধি করা।

  বেশ কথা। আজ বাংলার সমাজ-জীবনের ভাঙাগড়ার বাস্তবতা কি, বাঙালীর জীবন-সত্যটা কি? কি স্বরূপ জীবনের অন্তর্নিহিত গতি প্রকৃতির?

৮৯